রবিবার, ৩ জুন, ২০১৮

কুহেলী কর্মকারের কবিতা।



বন্য পাশবিক প্রেমের হুঙ্কার আঙ্গিকে কলম।


#রূক্ষ_বসন্ত

ঘুনধরা রাতে ভাবতে চাইনা আর তোকে...
শব্দের চোরাগলি বেয়ে কুকুরের ডাক,
বিভীষিকা জ্বলে তরঙ্গ মেলে
আমার নখের ডগায় চিড় ধরে ঘুম।
একটা নিটোল বুকে ঠাঁই গেঁড়ে সুখ, আবেগের ধূলীখেলা চিকন আঁখিতে।
তুই বুঝি তুই নস, সাঁঝের বেলায় শুকতারা যেনো... যে কোণে পাশ সুখ ছুটে চলে যাস,
নুনের স্বাদ ভুলিস মিষ্টি গুড়ের পাকে।
একদিন গায়ে মেখে আলকাতরার রঙ,
পিচ ঢালা রাস্তায় মিশে যাবো অবয়ব ছেড়ে।
অগোছালো একলা নীড় ভেঙে বহুতল তুলে, উঁচু থেকে থুথু ছুড়ে জিভ ভ্যাঙাবো....


হাজার চেনার ভিড়ে খুঁজছি যে কাকে...
হাতড়ে বেড়িয়ে বুক পেলাম এক অচেনা নিজেকে।
কূলহীন-জাতহীন এক স্থূল কায়া,
শরীরের আহ্বানে হিংস্র হায়না যেন...
ভাঙা আয়নাময় হানা দিয়ে বেড়ায়, লালচে চোখের এক অমানব কোনো।
নীলচে রঙের আলো দিগন্ত পেরিয়ে ফুরোয়, সাগরের অতলে তলিয়েছি গভীর কালোয়।
পৃথিবীর বুকে গহ্বর খুঁড়ে লাভা,
তোকে ভাসিয়েছি তাতে এখন তপ্ত দুহাত।
সুপ্ত অধিকার জেনো আমারও আছে,
বিলীন করতে তোকে এক ফুয়ে এ বুকের ওম্ ও বুকেও যে ঠেকে।


নিশি শিশির ভেজা আঁখি মেলে,
রূক্ষ ঠোঁটের গোড়ায় কুয়াশা নামে নরম।
বুড়ো আঙ্গুলের ডগায় ওদের একচেটিয়া অধিকার যত, আমায় পাইনি ছুঁতে আক্ষেপ তত।
সত্ত্বা বিকোয় নি সস্তা দোকানে,
তাই চূড়া হতে দিয়েছি ঝাঁপ তবু ভাঙেনি যে বুক, শ্বাস ভরে একগাল ডুব দিয়েছি যাযাবরের এঁটো ঠোঁটে, তবু বাসী হয়নি যে সুখ।
চাইনা মুক্ত হতে ঝিনুকে বন্দি হয়ে,
ধূলোকণা হয়ে আমি এই বেশ ভালো আছি। পাঁকের পদ্ম হয়ে ওরাই ফুটে উঠুক....



1 টি মন্তব্য: