শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৯

সুতনু হালদার,,,,শুভ জন্মদিন,,,Once more


"চরম ভালোলাগা কিছু কবিতার উদ্ধৃতি",,,,,,

"এখন গভীর রাত",,,,,

চরকায় তেল নেই কচরমচর পত্রমিতালি করে টাইমমেসিন স্বাধীনতা ক্ষয়ে গিয়ে রাত্রি খোঁজে ভূগোলের আটোসাঁটো আইসোটোপে......

কালির দোয়াতে শুধু প্রেমিকার মুখ

আকাশে চাঁদের চাক ভেঙে গুঁড়ো হয়, জ্যোৎস্নার জলযোগে পিঁপড়ের ঢল, কী এক বিস্ফোরণ মাংসলোভী।

আমার প্রেমটা ছিল বহুব্রীহি, বেড়াজালে নিয়তির শত চুম্বন শিরায় চিড়িক মারে গভীর গোপন, একাহারী থেকে তবে পংক্তি ভোজন।


 "তন্বিষ্ঠা বসুরায়",,,,,,

নিপুণ শিল্পীর এক আঁচড় মাখানো ছিল যাবতীয় সত্তার বলিষ্ঠ শিশিরে....

অনেক গভীর জঙ্গলের আনাচে-কানাচে কয়েকটা ব্যাঙ্গার্থ জীবনের সহায়ক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে,,,,, স্তম্ভ ভাবলেও ভুল হবে না।

আমাদের যদিও কোন স্তম্ভ ছিল না, তাও আয়নার ছোপ লাগা প্রতিসরাঙ্ক আমাদের উহ্য রেখে অবয়বহীন করেছিল।

বিন্দুর লাগামছাড়া আকুতি সিন্ধুকে জন্ম দিতে কখনো অপারগ হয় না.....


"টিকে থাকা",,,,,,

জং ধরা রোদে ওৎ পেতে বাকল ছড়ায় শীত, প্রাক্তন প্রেমিকার মতো ওদের‌ও প্রতিটি সত্তায় রয়ে গেছে এক অমোঘ শিরশিরানি।

প্রথম প্রেমপত্রগুলোর নিঃশ্বাসে আধিভৌতিক ধুলো লেগে থাকে আর প্রত্যেক প্রেমিক পুরুষ সেগুলো চেটে খেতে গিয়ে ভাইরাল হয়ে পড়ে।

সংসারগুলো মোবাইলের চিপ হয়ে মেমোরি বাড়াতে থাকে.....


"সকাল",,,,,,

কথা বলে আধো আধো, বিছানার পরিভাষা বুঝে নিয়ে ভেঙে ফেলে আড়ষ্ট ভাব,,,,সকাল সকাল.....

মার্জিত রূপকের প্রত্যুষে যৌনগন্ধী চুরমার আবেগ....

এক একটা ডাক হরকরা মুহূর্ত অনুভূতির ক্লিভেজকে রোদ মাখাতে মাখাতে বড় হতে থাকে,,,,,

যাবতীয় ক্লেদ ধুতে ধুতে শিশুদের স্বপ্নে নিজেদের চিনে নিতে শিখি.....


"ক্যানভাস",,,,

কুয়াশা চিবোতে গেলে আদর করে চিবানোর দরকার,,, কারণ আদরের মধ্যে আগুনের চুম্বক থাকে,,,,

পরশ্রীকাতরতা খামচে ধরে তোমার মেয়েলি সত্তা,,,,
আমার পুরুষালি মুদ্রাদোষ অভয়ারণ্যের মতো দামাল অথচ স্তব্ধতার লিঙ্গভেদ করে পরজীবী চাঁদের গ্রহণে,,,,
বারোয়ারি বিভাজনের প্রতিশব্দ লিপস্টিকের মতো এঁটে থাকে ঠোঁটে,,, প্রতিটা চুমুতে,,,, ঠোঁট ফাঁক করি বিভাজন খাই,,,,

পরিচ্ছন্ন স্বপ্নের দীর্ঘশ্বাস যুবতির ব্যাকরণ আঁকতে আঁকতে নিজেই ক্যানভাস হয়ে যায়,,,,


সুতনু হালদার,,,,শুভ জন্মদিন,,,,Once more


((বিশ্লেষণ সংক্ষিপ্ত নিটোল সৌন্দর্যের মোড়কের....)),,,,,
সুপ্রীতি বর্মন,,,,,


"সেলফি",,,,,

অসম্ভব এক ডাকের সুন্দরী,,, এক অষ্টাদশী সম্পূর্ণ অচ্ছুৎ আর বিন্দু বিন্দু রিরংসা মনে আসক্ত হয়ে আছে। ঠিক তখন কিন্তু তার যৌবনকে হারিয়ে ফেলার আশঙ্কায় তৎপর হয়ে উঠছে উদ্বিগ্ন হয়ে সেলফি তুলতে। কিছুদিন আগেও ছিল সে নিটোল লাবণ্যে এক তন্বী,,, মেঝেয় চটা দাগ নেই,,, আর উৎকন্ঠায় প্রণয়ঘটিত আড্রিনালিন ক্ষরণ স্রোত তখন তার ঘুমন্ত মুখে গভীর রাতে। শুকনো ঠোঁটেও কি দারুণ জেল্লা। তখনি বসে গিয়েছিল তাকে ঘিরে চাঁদের হাট,,,,,
কিন্তু অদৃষ্টের পরিহাসে তার অমৃতে অরুচি ধরে যায়। নিঃশ্বাসের গুমোট রঙ তখন তাচ্ছিল্য ও ঘৃণার হুতাশনে চটে ওঠা মেঝে অসহায় হয়ে বোবাকান্নায় নিঃসাড় হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। যত‌ই সুখ্যাতির রোদ তাকে আলিঙ্গন করুক তবুও আপনজন ছাড়া এই অরণ্যানীর তমিস্রা সে আর সহ্য করতে না পেরে অক্ষি-নীরে নির্বাসনে যেতে চায়।।

অনিঃশেষ প্রচেষ্টায় মেঝের চটাগুলো ঢাকতে থেকে ক্লান্ত এক প্রিয়তমর চুমুর চিকন স্পর্শে জেগে থাকা রাত মাছির মতো ভনভনিয়ে দেওয়ালে গড়ে তোলে এক নির্ভেজাল রতিচিহ্ন। সেই অন্বেষণ এর কৃচ্ছসাধনে থাকতে গিয়ে যখন ভোর হল,,, তখন মেয়েটি আর সেলফি তুলতেই পারলো না,,,, সে কখন অপারগ হয়ে গেল,,,,

সুতনু হালদার,,,,শুভ জন্মদিন,,,,Once more


((বিশ্লেষণ সংক্ষিপ্ত নিটোল সৌন্দর্যের মোড়কের....)),,,,,
সুপ্রীতি বর্মন,,,,,


"বৃষ্টি ",,,,,,,


কোন এক উদ্ধত যুবতি উদগ্র রমণে ব্যাকুল হয়ে মুহ্যমান কটিদেশে চাঁদের রুগ্ন শরীরকে জাপটে রজঃস্বলার আঁচলে দুর্দান্ত জলোচ্ছ্বাস এ খরস্রোতা কে ডাক দিতে চায়,,, কামার্ত শীৎকারের আলিঙ্গনে,,,, অনন্তপ্রেতযোনি যাত্রাপথ ধরে অসম্ভব কৃচ্ছসাধনায় তার নগ্ন বক্ষবিভাজিকা থেকে যোনিভেদে সুতীব্র তৃষ্ণার্ত হৃদয় রতিস্নিগ্ধ পিপাসার জল খোঁজে মরীচীকা হয়ে। আর চাঁদের প্রৌঢ়ত্বে তখন অসীম সসাগরা আকাশ জুড়ে দেয় তাকে আরো জরাগ্রস্ত করে তোলে সঙ্গমে নোঙর ফেলার শোকে।
অগ্নিমান্দ্য জড়ানোর শোকে পোয়াতী যুবতি গর্ভে জলজ মেঘ তখন আরো ভরাট হয়ে উঠে প্রণয়ের বাস্পায়নের দীর্ঘশ্বাসের চাদরে,,,, যুবতির পীনোন্নত স্তনে ঘাড় গুঁজে মগ্নচৈতন্যে স্তব্ধতাকে ভালোবেসে বৃষ্টিকণায় দুঃসাহসিক নগ্ন হালের কর্ষণ চালায় প্রেমিক,,, যদি কোন দুগ্ধবতী শস্যের বীর্যবতী রসে আরক্ত চুম্বন ঝরে পড়ে মিষ্টি শ্যামলী কান্ডের ঘাড়ে,,, ঠোঁটে,,, মায়াবী স্পর্ধার স্পর্শ সুখের ইঙ্গিতে ঐ যে লাল সোহাগী জিহ্বার জাজিম ঢাকা নগ্ন আরোহণ এ অধিরুঢ় শেহেজাদার হাত ফসকে তখন ধর্তব্যের বাইরে ভেসে যায় স্রোতে কোন রমণীর প্রেতযোনির অঙ্কুরোদ্গম।
তবুও অবাধ্য ন্যাওটা দেহলগ্ন প্রেমিকের দুষ্টুমিতে রহস্যঘন আড়াল করা প্রিয়ার নিষিদ্ধ ঠোঁটের লিপস্টিকের দাগ বহুরূপতায় পরম আমেজে অহর্নিশ চুম্বন করে যেতে থাকে। প্রেমিক তোমার রক্ষাকবচে আবদ্ধ দেহের আগোল খুলে বন্য আদিমতার রমণীর কাঁখের আগে অব্যয়ীভাব সমাসের মতন চিরকাল রতি স্বভাবের মুদ্রাদ্রোষে প্রেমিক তোমার সাদামাটা ক্যানভাস,,,, রঙীন আর তৈলাক্ত করে ছিঁড়ে ফেলে,,,,কারণ অঝোর ধারায় যখন তখন বৃষ্টি নামে পুরুষালি অরণ্য আর রমণীয় প্রকৃতি মাঝে,,,,

সুতনু হালদার,,,,,শুভ জন্মদিন,,,Once more


((বিশ্লেষণ সংক্ষিপ্ত নিটোল সৌন্দর্যের মোড়কে....)),,,,,,,
সুপ্রীতি বর্মন,,,,,,,


"কবিতার জন্ম",,,,,


এলোকেশী রাতের সুগন্ধি প্রহসনের মুমূর্ষু গন্ধে প্রেমিক ঈপ্সিত ভ্রূণ আঁচড় কাটে এলোমেলো প্রিয়ার বিবস্ত্র অঙ্গমুদ্রায়। তাকে ছুঁয়ে কাছে পেতে চাওয়ার প্রতিহিংসার প্রেমিক রৌদ্র তার স্তনকে আরো আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়।
উন্মুক্ত জঙ্ঘা থেকে নিতম্বে সে মাখিয়ে রেখেছে রাজহাঁসের মতোন অহংকারী পিচ্ছিল উদ্বায়ী পেট্রোলের মতন এক উদগ্র জ্যামিতিক স্রাব,,,, এই উন্মুখ যোনি কখন‌ই মৃত হতে পারে না। প্রেমিকের মরমি কৌতুহল প্রেয়সীর ব্রেসিয়ারের হুক হয়ে শক্তপোক্ত সংযমী গার্হস্থ্য বন্ধনে সংযত থাকার পরেও আর নিজেকে তাতে কুক্ষিগত করে না রাখতে পারার অভ্যাসে অনর্গল ঐ আড়াল করা স্ত্রীধন নিটোল ও কারুকার্যময় স্তনদ্বয়ের মাংসগুলোতে চুম্বন করে চলেছে,,,,,

অথচ কি ভীষণ সে নিরাসক্ত ভাবাবেগে সমর্পণ আঙ্গিক রতিমুদ্রায় এঁটো করা চুমু দাগ লাগা সিক্ত শরীর জ্যোৎস্নার মত অনায়াসে এলিয়ে দিল সে প্রেমিকের কোলের কাছে।প্রেয়সীর শরীর আজ সম্পূর্ণ তার প্রেমিকের স্বত্বাধিকার সম্পত্তি । বহুব্রীহি ছলনায় প্রেমিকের রুগ্ন চাঁদকে আড়চোখে করল সে কটাক্ষ।
ওদিকে তখন তাদের লম্ব ও ভূমির ঘর্ষণে একাকার হবার শিহরণে ভৌগলিক শীৎকারে শরীরী যান্ত্রিক শিরা উপশিরার শেকড় বাকড়ে গড়ে উঠে গতিজাড্যে এক অপুর্ব আভিজাত্য সঙ্গমকল্পমুদ্রা। আর তোমার আলপথে ঘন ঘন উত্থান পতন শ্বাসের দৈহিক রগড়ারগড়ি কলিঙ্গ যুদ্ধে বেজে উঠে সঙ্গীত।প্রিয়ার কোঁচকানো তলপেটের উদগ্র রমণে প্রকট শীতের আঁতুরতায় নাভিতে চিত্রকল্প শোভিত হয়ে উঠে,,, কিছুটা কলিঙ্গ যুদ্ধের পূর্বাভাসের ট্যাটু এঁকে দেয়,,,,

জলীয় অভিস্রবণে যখন শঙ্খলাগা দুটি রিক্তসিক্ত শরীর জলফড়িং এর মতোন উড়ুক্কু হয়ে থৈ খুঁজে না পেয়ে হন্যে হয়ে আরোহণ ও অবরোহনে রূঢ়দশায়,,, উটের মতন জঙ্ঘাদেশে আরো উগ্র ও কামার্ত হয়ে ল্যান্ডস্কেপের বলিষ্ঠতা খোঁজে,,,, ঠিক তখনি ঘনিষ্ঠ কামদগ্ধ অক্ষরগুলো প্রিয়ার স্তনলগ্না হয় আর জন্ম নেয় একটি প্রণয়াসক্ত কবিতার,,,,,

সুতনু হালদার,,,,শুভ জন্মদিন,,,Once more


কাব্যগ্রন্থ: ‌আহ্নিকগতির কালশিটে রং,,,,,
কবি: সুতনু হালদার,,,,,

কাব্যগ্রন্থের আলোচনা,,,,,
সুপ্রীতি বর্মন,,,,


ক্ষুদ্র সংসারে জাগতিক পৃথিবীর আহ্নিকগতির রোজনামচা বিবর্তন//

 ঘূর্ণন আর ফেলে যাওয়া অনিচ্ছাকৃত সম্পর্কের কালশিটে ঝরা ঘাম রঙ//

যেন বাতায়নের নতুন হাওয়া -১৯ বহন করে নিয়ে এলো।।
"আহ্নিক গতির কালশিটে রং",,,,এই পুস্তকের কালজয়ী স্রোতে,,, কবি সুতনু হালদারের কলমের ডগায়।।

গ্রন্থস্বত্ত্ব ও প্রকাশক: বোধিসত্ত্ব পাবলিকেশন
প্রথম প্রকাশ,,,, শ্রীপঞ্চমী, ২০১৮,,,,


"আহ্নিকগতির কালশিটে রং",,,,,,

"একপশলা বৃষ্টিতে রংচটা রোদের সোঁদা গন্ধে
চাঁদের আলো সন্ন্যাসীর মতো হেঁটে আসে এই জীবনে। জীবন একসময় পঞ্চভূতে মিশে যায় কিন্তু কম্পাঙ্কের দীর্ঘশ্বাস বিচ্ছুরিত হয় আমাদের মজ্জায়।

ক্ষয়ে যাওয়া বীতরাগ সমস্ত রাগিণীতে ঝংকার তোলে,

জীবন্ত অভিস্রবণ তর্জনীতে হিমালয়ের ঔদ্ধত্য শিখে লিটমাসের মতো একাকীত্বকে ভুলে যেতে চায়।

রঙীন তপস্যা ঢুলঢুল চোখের মৌতাত খুঁটে খেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।

সেলফির আড়ালে মুখোশের বিক্ষুদ্ধ ক্যানভাসে ফুটে ওঠে আহ্নিকগতির কালশিটে রং".....

পঞ্চভূতে মিশে যাওয়া ভবিতব্যে এই হাড়কঙ্কাল মধ্যবর্তী জীবন প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছে গিয়ে রংচটা যৌবনের ক্ষয়াটে রোদে একপশলা বৃষ্টি পেলেও সেই সোঁদা গন্ধে আদুরে আহ্লাদী চাঁদের পাগল প্রলাপে উন্নাসিক প্রেমিক সন্ন্যাসীর মতন হয়ে যায়। তখন কম্পাঙ্কের দীর্ঘশ্বাসে গুমোট মজ্জায় ক্ষয়ে যাওয়া বীতরাগে সমস্ত রাগিণীতে ঝংকার তোলে।
তর্জনীতে হিমালয়ের ঔদ্ধত্য এর পাঠ শিখে স্বীয় অহংকারে মদমত্ত এই সন্ন্যাস জীবন তখন একাকীত্ব কে ভুলে রঙীন তপস্যায় ঢুলঢুল চোখের মৌতাতে সঞ্চিত রতি খুঁটে খেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।

কিন্তু এতসব আয়োজনের পরেও মননের প্রয়োজনে জীবন্ত অভিস্রবণে নিজেকে একটু ভালো রাখার তাগিদে মুখোশ সেলফির আড়ালে থেকে যায় মনমরা ব্যক্তিস্বত্তা। নির্লিপ্ত ক্ষণে বিক্ষুদ্ধ ক্যানভাসে ফুটে ওঠে শাশ্বত চিরন্তন ধ্রুবসত্য,,,, সেই আহ্নিকগতির কালশিটে রং।।


"জন্মদিন",,,,,

"ধুয়ে যায় ওতে লেগে থাকা যাবতীয় উজবুক স্বপ্নগুলো। মানুষের শেকড়গুলো জন্মদিনেই একটু একটু করে গভীরে যায়, প্রতিটা জন্মদিন আসলে অস্তরাগের গন্ধমাখা নির্বাণ প্রত্যাশী"....

জরায়ুর প্রস্ফুটিত অঙ্কুরোদ্গম হল জন্ম। জন্মদিন যা স্বভাবতই বিশেষ একটি দিন প্রতি মানুষের জীবনচক্রের আবর্তনে। শুধুমাত্র সেই দিন কবির চোখে লেগে থাকা যত উজবুক স্বপ্নগুলোকে,,,, মৃতকোষের মতন,,, অবাঞ্ছিত ধূলোর মতন,,,, বাস্তবতার প্রায়োগিক পাতিত জলে ধৌত করে দিতে চান। ধুয়ে মুছে সাফ করে ফেলতে চান একেবারে।
যাতে প্রাক্তন গুমোট অবসাদের কালো ধোঁয়ায় অস্বচ্ছ যেন না হয়ে ওঠতে পারে কার্ণিয়াটা।
হতাশার চৌকাঠে কালচক্রে ক্ষতবিক্ষত হয়ে ঠোকড় খেতে খেতে যখন কারোর পিঠ চরম অসহায়তায় যখন দেওয়ালে ঠেকে যায় তখন সে আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে।
তখন স্বল্প মাথাচাড়া চারাগাছের সাথে বন্ধুত্বের উষ্ণ আলিঙ্গনে সাবলম্বী হয়ে ওঠে। ওদের শিকড়ে শিকড়ে নিজেকে জড়িয়ে নিজেকে নতুন করে খুঁজে পায়।
        কিন্তু কবির আক্ষেপ চির শূন্যতার এক আস্ফালন একটা যতিচিহ্নে বিসর্গ প্যাশনে আটকে দমবন্ধ হয়ে আসে এটা ভেবে যে বয়োবৃদ্ধ হতে হতে মানুষের শিকড়গুলো একটু একটু করে গভীরে যায়। যেটা আবার বিপ্রতীপ আলিঙ্গনে অভিজ্ঞতার সঞ্চার করে। তখন অভিজ্ঞ কবি মহার্ঘ মূল্যের মর্মকথায় বিশ্লেষণ করে জন্মদিন কে,,,যে জন্মদিন হল প্রকৃতপক্ষে "অস্তরাগের গন্ধমাখা নির্বাণ প্রত্যাশী",,,,,এই ছাইপাশ জীবন গোঁজামিল ছেড়ে শুধু মুক্তি পিয়াসী,,,,



"যাপন",,,,,,

"কিছু জীবাশ্ম আবেগের গন্ধ আমার প্রতিটা ভাতের দানার মাঝে লেগে থাকে, আমাদের থেকে আমরা-আলাদার সূত্রগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বুঝে নিতে নিতে কোথাও কি সুনামির মতো উত্তাল হ‌ইনি!

বিছানার ব্যকরণগুলো কয়েকটুকরো আর্তিতে ভেঙে যায়, তোমার ছ্যুৎমার্গ....টেবিলের ওপার থেকে এপারে বৃষ্টির ছাঁট এসে ভিজিয়ে দেয় যুবতির ঔদ্ধত্য"....

সাংসারিক কলকব্জা শরীরে মনোমালিন্য এর অতর্কিত বিকৃত ঢেকুরে কিছু জীবাশ্ম গন্ধ(‌আবেগের) ভাতের দানার মাঝে লেগে আছে। ইচ্ছার পবিত্র আঁচে ছুঁতে চেয়েছে তোমার শরীর কোন এক বৃষ্টিস্নাত দিনে। কিন্তু মর্মস্পর্শী আজ পরিণয় যেন কোন বিলুপ্ত ইতিহাস। তাই আমরা আলাদার সূত্রগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বুঝে নিতে গিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তার করালগ্রাসে তোমাকে হারিয়ে ফেলার কালবৈশাখীর ঝড়ে কোন এক সুনামির মতন উত্তাল হয়ে উঠি। প্রেমিক মনে তখন স্বামীর আত্মার বিষাদ-‌অগ্নির মোচড় তখন পরিলক্ষিত হয়।।
        তোমার ছ্যুৎমার্গে প্রেমের করুণ আর্তিতে বিছানায় সম্পর্কের ব্যাকরণ গুলো ভেঙেচুরে একাকার হয়ে যেতে চায়। কিন্তু প্রকান্ড প্রস্তরপ্রতিম প্রতিবন্ধকতা হিসাবে অগ্নির লকলকে ঈর্ষায় যুবতির ঔদ্ধত্য জেগে ওঠে। যাকে তখন ভিজিয়ে দিতে চায় পরাগ মিলনের খুনসুটির বৃষ্টিকণা কিন্তু আত্মচেতনার স্থবিরতায় তা মুহূর্ত এর জন্য থমকে থাকে আর কবির তখন আত্ম‌উপলব্ধি জেগে ওঠে,,, সেটা বোধহয় কোন ভ্রম,,, কোন ভুল।।
তাই কবির সহ্য করা দগ্ধ যাতনার মাটির সমীকরণ পাল্টে খুঁজে পেতে চায় দুজনের মাঝে তখন বিন্দু বিন্দু পরকীয়ার প্রসবণ।।



"পুতুলখেলা",,,,,,,

"মিথোজীবীয় সন্ধ্যাগুলোর সন্ধিবিচ্ছেদ করতে গিয়ে মোবাইলের মেমোরি ফুল লোড।
রথের দড়ি টানের হিংস্র সমবায়ে দধীচির মতো আত্মত্যাগে কখনো শীতল শিরশিরানির ছোবল।
দিনগুলো ক্ষমাসুন্দর চাহনিতে নকশি কাঁথার মতো দীঘল চোখের সূর্য আড়চোখে দেখে পরাগমিলনের খুনসুটি......
পুতুলের খেলাঘরের নৈব্যক্তিক আচ্ছাদন খুব প্রিয় ছিল, পুতুলগুলোর ভাগ্যিস কোন মন থাকে না"......

বিরহযন্ত্রণায় ক্ষতদগ্ধ উষ্ণ ছোঁয়াচে ব্যধিক্রান্ত কোন প্রেমিক (ভ্রমর) সংসারের কড়িকাঠ ভেদ করে নির্জনে একাকীত্বে কাঁদে। মিথোজীবীয় সন্ধ্যাগুলোর সন্ধিবিচ্ছেদে স্মৃতির জেল্লায় আবছা প্রিয়ার মুখচ্ছবি মেমোরি লোড করতে থাকে আপন খেয়ালে।
         নৈঃশব্দ্যে স্বপ্ন গুমড় ভাঙে আর বুকের নীচে ঘন হচ্ছে প্রিয়াকে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত এ কাছে পাবার, তাকে নিয়ে একাত্ম হয়ে যাবার। সেখানে অনিচ্ছাকৃত সম্পর্কের টানাপোড়েনের আঁচে যেন রথের টানা কোন কষাদড়ি একপ্রকার হিংস্র সমবায়। আর কবির প্রেমিক আঘ্রাণ ঠিক তখন রূপান্তরিত হয় দধীচির আত্মত্যাগে যেন কোন শীতল শিরশিরানির হিংস্র ছোবলে। চরকার আবর্তনের ক্ষিপ্ত ক্ষুধায় তখন বাক-ফসলের বীজ। না বলা কথাগুলো তখন চোখের সামনে আরো বাঙ্ময় হয়ে ওঠে‌।কিন্তু কথাগুলো ভঙ্গুর তাই চিরকাল‌ই ওরা ভাঙে।।
          সামঞ্জস্যের আচ্ছাদনে যৌবনের দামাল রক্তে (তরল যোগকলা) ঘনীভূত আস্কারায় তখন অবাধ্য প্রেম। সারাজীবন ধরে কবির নখদর্পণে জ্যামিতিক আকার অবাধ্য হয়নি বরং অনেকটাই তা সংযত, সংযমে স্থিরতায় চলন শূন্য তাপাঙ্ক,,,, ফ্লাজেলীয় চলন হয়ে থেকে গেছে।
          কিন্তু তবুও প্রাক্তন সেই ঘুমন্ত দিনগুলি এখন‌ও বিরহী প্রেমিকের ক্ষমাসুন্দর চাহনিতে নকশি কাঁথার মতো দীঘল চোখের সূর্য আড়চোখে দেখে পরাগমিলনের খুনসুটি।।
            তাই এখন পাগলপারা সময় শুঁকে পড়ে থাকা মৃতবৎ প্রেমিকের অভিমানের কুরুশ কাঁটায় অপেক্ষার চাদরে প্রত্যক্ষ হয় যে অনেক আগের ঝাউবনে ঢাকা ছোটখাটো পুতুলের খেলাঘরের নৈব্যক্তিক আচ্ছাদন খুব প্রিয় ছিল তার কোন এক সময় সেই শৈশবে। তার কারণ হয়ত একটাই,,, সেটা আজ চলমানশীল বাস্তব প্রেক্ষাপটে স্পষ্ট যে পুতুলগুলোর ভাগ্যিস কোন মন থাকে না। সেটাই জাগতিক সংবেদনশীলতার একমাত্র প্রেক্ষাগৃহ হয়ে ওঠে।।



বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৯

সম্পাদকীয় কলম,,,, সুপ্রীতি বর্মন


মহাত্মা গান্ধী (চতুর্থ ঘাত),,,,,

এক আগুন প্রজন্মের কচিকাচা ফিনিক্স পাখি সবে উড়তে শিখেছে শাখাপ্রশাখা তেমন একটা পাকাপোক্ত হয়নি তবুও বিহঙ্গের বিষ হাড় হিম উচ্ছন্নে স্বভাবদোষে জাপটিয়ে ডানা উড়তে চায় বাঁধাধরা গন্ডী ছেড়ে,,,, মুখে চোখে তার অগ্নিভাষণ,,,, কোন কথাই সহ্য হয়না পারদের উর্ধ্বগতির চাপে তার ফটাফট উত্তর প্রেরণ,,,, দিতে জানে ভালো করে ঘষে মুখে তাদের ঝামা,,,  

যখন চারপাশে এই পার্থিব জগতের আগাছা জঞ্জালের অষ্টপ্রহর যাতনায় তাকে হতাশার ঝরাপাতা করে চেপে ধরতে লাগে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে,,,,
এই নষ্ট পচনশীল সভ্যতা যা ভয়ে দু পা পিছিয়ে সঙ্কোচনশীলতায় গুটিয়ে কাপুরুষের মোটা গন্ডারের চামড়া গায়ে সেটাকে অহিংসার নাম দিয়ে মোটা নাকে একটা নোটিশ ঝোলাতে থাকে মুখে বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে চুপ চুপ করো বলে,,, তখন সেই ফিনিক্স পাখি দিনে রাতে তার মগজে গুজে গুজে অবসাদের জীবাশ্ম কঠিন পাথরে বা স্তরীভূত শিলায় দ্রোহের উচ্চারণ শিখতে থাকে আর উত্থিত লাভার স্রোতের মতন উদ্গিরণ করতে থাকে,,  তাতে আশেপাশে গুমোট দশা কেবল ছাই হয়ে যাবার উপক্রম সেই উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার দাবানলে,,,, তখন সকলে মিলে তাকে চুপ করিয়ে দিতে উদ্যত হয়ে ওঠে,,,, বলে অহিংস হ‌ও,,,,চুপ করো,,, তুমি কিন্তু প্রচন্ড ভুল করছো,,,,, লক্ষণসীমা ডিঙিয়ে আজ পর্যন্ত কিন্তু গৃহস্থের শুধু অমঙ্গল হয়েছে,,,, তাই অপেক্ষা করো,,,,

কিন্তু চাক্ষুষ তার প্রতিহিংসাপরায়ণ সত্য বা ফলশ্রুতি সে দেখতে পায়,,,,, যে মিথ্যা তখন ঝলসে যেতে শুরু করে দিয়েছে,,  আর দুর্বলচিত্ত অসংগতির মিথ্যা খোলসে মুখোশে দুঃশাসন অত্যাচারীরা অবচেতনে ভাঙা শিরদাঁড়া নিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে পালাতে উদ্যত হয়েছে,,,, ভূমি ছেড়ে পলাতক নপুংসক,,,, তবে তুমিই কী হবে জনক আগামী প্রজন্মের,,,,


উদ্ভট উটের পিঠে হেলতে দুলতে চলতে থাকা জনগনমন,,,, কোথায় জনক তোমার,,, আছে না তাকে শুধু রেখেছো দর্শনে মনন তার ঘোলাটে বোধ অপসারণ,,,, সৌন্দর্য দেখতে দেখাতে কিন্তু নিতে নয়,,,, তাইতো চোখে সেই অগ্নিপ্রজন্মের ফিনিক্স পাখির জেগেছিল বিধ্বংসী আগুন,,,,ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল সেই মিথ্যাচারে অধ্যুষিত প্রতিষ্ঠিত কাঞ্চনমূল্যের জগত কে।  পরিবর্তে আনতে চেয়েছিল প্রতিশ্রুতিশীল স্বচ্ছ নির্মল ভারত নাগরিকত্ব,,,,, আমাদের সার্বভৌম অধিকার,,,

কারণ এমন প্রতিশ্রুতিশীল আগুন লেলিহান ভীষণ প্রয়োজন এখন
প্রতিটি মহান সৃষ্টির আগে নষ্টকে ধ্বংস করা জরুরী যখন।

সম্পাদকীয় কলম,,,, সুপ্রীতি বর্মন


মহাত্মা গান্ধী (তৃতীয় ঘাত),,,,

সমালোচক যখন বিষ কামড় দেয় তার উদ্ভট বিশ্লেষণী আত্মসমালোচনার আড়ি দিয়ে কাটতে থাকে তোমার সমৃদ্ধির রসালো খেজুর গাছের গুড়ি,,, তখন নিশ্চয়ই অহর্নিশি নিজের কীর্তি হারিয়ে ফেলার ভয়ে হীনম্মন্যতায় ভুগে তাকে বিরুদ্ধাচরণ করে কেটেকুটে তাকে সরিয়ে উহ্য করে দিতে কী যেন প্রকট ইচ্ছা হয় তোমার কেমন করে,,, তখন তুমি কী সেই দুর্বলতা কে পাথেয় করে ভঙ্গুর এই জীবনশৈলীর পথকে আরো জঙ্গম করে তুলবে,,,, না আপোষ করে তাকে না মেনে নিয়ে এড়িয়ে যাবে সেই বোধহয় ভালো,,,, তাতে বলা যায় ধরি মাছ না ছুঁই পানি,,,,, আমার তো তাহলে আজকের মতন কাজ শেষ হবে তোমাকে গুরুচণ্ডালী দোষে উহ্য করে মুহ্যবাক্যলাপে না অহিংস আত্মস্থ উপলব্ধি তেই হয়তো সকল ক্ষোভের ক্ষুধা মেটানো যাবে স্বরচিত এই কৌশলে,,,,

স্বদেশপ্রীতি যেন আজো ঐ চশমা পড়া মুরুব্বির দীর্ঘায়িত ভ্রুজটায়ুর আগলে রাখা ঐশ্বর্য দেশমা,,,, তাই হিংস্র রাবণের অসির আঘাতে ভেঙে পড়ে কেটে যায় বা ছেঁটে যায় উড়তে পারার ইচ্ছার ডানা,,,, খুব করে তোমার ডানা গজিয়েছিল তাই না স্বাধীনতার,,,,,
এবারে তবে মুড়িয়ে কেটে দেওয়াই ভালো,,, কারন অহিংস তো আমাদের ধৈর্য ধরতে ও সংযমী অভ্যাসে গড়ে পিঠে নেবে,,,  কারণ অভাগার বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না,,,,

সম্পাদকীয় কলম,,,,সুপ্রীতি বর্মন


মহাত্মা গান্ধী (দ্বিতীয় ঘাত),,,,


অস্ফুট সংলাপ যখন ভাসা ভাসা চাহিদার মুহ্যমান কোরকে কিশোরী মুখ লুকায় দোচালার আটপৌরে গেরস্থালির উঠোনে তখন ঝনঝন অনাসক্তির পিতৃত্বের সাইকেলের ঘন্টা তোমার বেকারের দশার অনিশ্চিত ঘুম ভাঙানোর ঠেকা নিয়েছে কী,,,, তোমার জনক,,, ঐ যে মূল্য না অপচয়ে স্বদেশপ্রীতির অমূল্য চেতনা,,, মহাত্মা গান্ধী উনি তো জাতির জনক তবুও কেমন যেন নীরব দর্শক হাহাকার বুকে চেপে মুখ টিপে হাসে আর গড়গড়িয়ে নাগরিকত্বের অগ্রগতির ঋণে শুধোয় সকলে দিনের শেষে দেখা হলে পথে ঘাটে,,, কেমন আছো,,, ভালো তো,,,,, জানি তো সকলেই বোদ্ধা,,,, সব জানে তবুও কিছুই জানে না,,, সবকটা ধর্মের ষাঁড় খালি সুযোগ পেলেই অহিংসা কে টিস্যু পেপারের মতন হাত মুছে হিংসার ভোগে পাত ফেলে চেটেপুটে খেতে উদ্যত হয়ে যায়,,,, ও তাহলে তো মহাত্মা তোমার মাহাত্ম্য এখন বারণ স্মরণ করা,,,, ঘন্টা বেজে গেছে গৃহযুদ্ধের,,,, শকুনের ইতিউতি চাউনি কখন ঠোকর মেরে তোমার অন্তর্দৃষ্টি গিলে খেয়ে তোমাকে অন্ধচৈতন্যে অন্তর্দহনে ভোগাবে,,, তখন তোমাকে কে উদ্ধার করবে শুনি,,, আমার অতো সময় নেই বাপু ঐ টাকাটা যাতে তুমি সেই কবে থেকে বন্দিশ টেনে অভাব আর আভিজাত্য এর বাঘবন্দি খেলায় আধিপত্য বিস্তার করে চেপে বসে আছো,,, তোমাকে টেনে তুলে ওখান থেকে সরানো জগদ্দল এর সামিল,,, নতুন শিলান্যাস না না রূপান্তর না হলেও চলবে,,, ঐ একটু আডজাস্ট তো করতেই হবে অভাগীর সংসারে না হলে যে গাঁড় ফেটে যাবে,,, তখন কে কৈফিয়ত দেবে বাপু শুনি,,,, কে দেবে তৈরী হ‌ওয়া সম্পদ ভাঙানোর সুখ থেকে বঞ্চিত করে পুনর্বাসন ক্ষতিপূরণের জন্য,,,,,


ব্রেক কষে মাজাঘষা জীবনে হোঁচট খেতে খেতে চলতে গিয়ে মাথার চুল সব উড়ে গেছে সংসারের সংসদের চাপে কী কী বিল পাশ করবে না অপেক্ষায় থাকবে কখন সুদিন আসবে আর ভোলে বাবা পার করে দেবে,,,,, তবুও ফাটাফাটা লাইফ থেমে যায় কিছুতেই সিডিউল হয়না,,, তবুও দেখি দিনের শেষে তোমার মুখে কী দারুণ নির্মল অমলিন হাসি,,,, আত্মবিশ্বাস এ এতটুকু বিষ জমা হয়নি সিঁদুর কৌটো উপুড় করা গেরস্থালির সোহাগে,,,,,
উৎপাত তো শুরু হয়ে যাবে নাভিকুন্ডের জলে,,, উতরোল অসুখী উন্মাদনা কাল কী জুটবে খাদ্য আগামী দিনে জঠোরের উপোসি জ্বালা উপশমে না ঢাকে কাঠি পড়বে আর বলবে ঐ দেখো পুজো এসে গেছে এসব অপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে আর মাথা ঘামিও না,,,একটু ভোগ করে নাও বুঝলে,,,, কিন্তু সেই কৌশিকী কম্পনেও এতটুকু অমাবস্যার কালিমা লাগেনি সোহাগ চাঁদ বদন পূর্ণিমার মুখে,,, এখনো হাসছো আর জামা কাপড় পরিবর্তন করে নেবে না তুমি এই সীমিত পরিসরে,,,,, পুজো এসে গেছে তো নাহলে তো তুমি পূজার ট্রেন্ড হারিয়ে অপ্রচলিত হয়ে মুখ গুঁজে ঘরের কোণে বা স্বচ্ছল পকেটের কোণে লুকিয়ে বসে থাকবে,,,,, তবুও কোন চিন্তা নেই তোমার বাপু এই ভাইরাল হ‌ওয়া অস্বস্তিকর সীমানা ক্রসে ঢোক গিলে চলতে থাকে এই জনগনের ট্রামরেল উন্মার্গ এর পথে তোমাকে ছেড়ে,,,,,,

সম্পাদকীয় কলম,,,, সুপ্রীতি বর্মন


মহাত্মা গান্ধী,,,,(প্রথম ঘাত),,,,

(সামঞ্জস্যের সমীকরণ সূত্র),,,

সুপ্রীতি বর্মন,,,,,


৫০০ টাকার নোটে প্রতিমূর্তি তেলা টাক চকচকে চোখের উপর ভাঙা হাতল ভগ্ন হৃদয় জনগনের হাড় ক্যালানে হাসি মুখে গুঁজে বছরের পর বছর জাতির জনক তুমি বিকলাঙ্গ সভ্যতার এক এবং অদ্বিতীয় জনক। বিধ্বংসী আগ্নেয়গিরি চোখের ভেতর আর এক চোখ আত্মদর্শন ও বিচক্ষণতা মণিকোটরে অহিংসার শস্ত্র,,,,,


এই মেরো না মেরো না ওকে ছেড়ে দাও,,,,,
আমরা আজকে যেন এই অস্থির সময়ে আগাছার গোত্রনির্ণয় করতে বিশ্লেষণী তলোয়ারের উপর দিয়ে একা হেঁটে চলেছি,,,, আমরা তার বদলে আজ কিছুটা নিমকহারামি করি,,,, হারামজাদা হয়ে যার খাই তার থালায় বসে বসে চক্রবৎ মীনের আবর্তনে গড়বা নাচে গর্ত খুঁড়ি,,,,রমণীর রতিস্নিগ্ধ কোমর দুলিয়ে লুটিয়ে পড়ি তোমার পায়ে কারণ দিনের শেষে তোমাকেই তো হাতে লাঠি নিয়ে ছড়িদার পাহারাদার হয়ে শুষ্ক অস্থিচর্মসার দেহে হনহন পদাঙ্ক এ ছুটে যেতে হবে অশ্বদৌড়ে অস্তগামী সূর্য স্বাধীনতা খননে সত্যাগ্রহ অভিযানে,,,,,


তোমার মতন শাকমন্ড রসালো নিরামিষ ভোজন আমিশাশি লকলকে অজগর জিহ্বার মাংসভক্ষণে কখনোই পোষাবে না,,,, কি সব ছাইপাশ রাবিশ আবর্জনা পেটের গর্ত গোজাতালা এই প্লীজ এই তাহার চাবি কোনদিন তুমি উৎকণ্ঠা নিয়ে চিরুনি তল্লাশি করতে যেও না তাহলে ভাঁড়ার ঘরের অন্নপূর্ণা রাগ করবে বলবে হতচ্ছাড়া বুঝিস না এখনো যে তুই ছেলেমানুষ আছিস,,,, বোঝ বোঝ,,,  বোঝা না সামঞ্জস্য এর ঐকিক নিয়মের সমতা বিধান কাকডাকা ভোরে দীর্ঘায়িত দুশ্চিন্তা গলা টিপে ধরে বলে এই বয়স টা তো তোর কম হচ্ছে না,,, এবার ঊণকোটি চৌষট্টি সংসারের রতি কলা কামমুদ্রা ছেড়ে একটু দায়ের জাদু কি জাপ্পি ঘাড়ে চাপা,,,, মিষ্টি মিষ্টি ঐকতানের সুরে,,,, বাবু দে না দু আনা,,,, কিনে খাবো মিছরির দানা,,,,, তোমার দেওয়া নুনে পোড়া এক তরকারি ভাত,,,, নাগরিকত্ব,,, এর কোন বিকল্প সিভিলাইজেশন নেই,,,, আরে না একেবারে না,,, এসব ওসব ছাড়া ছাইপাশ ফ্যান্টাসি ভাবা,,, তুমি তো ভারি অদ্ভুত,,, এ জগতের কী তুমি বাসিন্দা ন‌ও,,,,
মগের মুলুকে একটু সামলে চলবো ধ্যাস্টামো ছেড়ে,,, না হলে বত্রিশ সিংহাসনের দাঁতকপাটি খুলে পড়ে যাবে,,,, তখন জনহিতের রাবড়ি হাঁড়ি চেঁছে খাবে কী করে চেটে পুটে নবশ্যামধর লাবণ্যে,,,,


দেখো দিকিনি হাড়ে দূর্বা গজানোর জন্য এসে গেছে এক তুখোড় ধুরন্ধর তিরন্দাজ,,, যখনি সময় পায় তখনি একটু সুযোগে ফাঁকফোকড়ে চুল ঝাঁকিয়ে লাফিয়ে পড়ে চ্যাঙড়া ব্যাঙ,,,, বলে আমি সবজান্তা পাকা লকলকে যেন কচুর লতি,,,, আমাদের পাতে তো মেন কোর্সের খাদ্য হিসেবে দেওয়াই চলে না,,, তবুও ক্রেতাদুরস্ত কমেন্টের চালে ঘাড় কামড়ায় আবার গায়ে পড়ে পায়ে পা লাগিয়ে শঙ্খলাগার ঘোরে "তুমি যে আমার" বলে পরম যত্নে আমাকে নিজের কুক্ষিগত তূণীর মধ্যে গচ্ছিত রাখতে চায় পরবর্তী ব্রহ্মাস্ত্র হিসাবে,,, যেন পরের ধনে পোদ্দারি,,,,


এখন যদি নেতাজীর মতন তোমাকে হিংস্র পরশুরামের শাপশাপান্ত কুড়ুলের ঘা এর শিরশিরানির ছোবল দিয়ে তোমাকে অক্কা দিই তাহলে তো তুমি বলবে আমাকে কোন স্বৈরাচারী আখ্যায় বিষাক্ত করে যে এটা আমার মুদ্রাদোষ,,,, কারণ আমি তো কক্ষনো তোমার অতিচেতনার গুহ্য অন্তরালে ঢুঁ মেরে নতুন কোন প্রেয়সীর আবেশের অন্দরমহল তৈরী করে উঠতে সম্পূর্ণ অপারগ,,,, তার থেকে বরং আপাতত একটু সরে থাকি ইঙ্গিতের অপভাষ্যে পথভ্রষ্ট না হয়ে সামঞ্জস্য বিধানের সমীকরণ তৈরী করি,,,, প্রশস্তি না করতে পারি প্রকাশ্যে তবুও অপ্রকাশ্য এ সকলের চোখে একটু সৌজন্য দেখিয়ে তারপর মানে মানে পালিয়ে শালীনতার বাঁধ বিনিময়ে রুখে দেওয়ার মতন চোখাচোখি বন্ধ করে দিই জন্মের মতন,,,,,,
মানিয়ে নেওয়া নিজের কোনরূপ ক্ষতিসাধন না করে দূরে থেকে তোমাকে অচ্ছুৎ দোষে আপৎকালীন প্রেক্ষাগৃহে সাজিয়ে রাখাই ভালো কারন তাতে সময়ের অপচয় বোধহয় অনেকটাই কম হয়,,,,