((বিশ্লেষণ সংক্ষিপ্ত নিটোল সৌন্দর্যের মোড়কে....)),,,,,,,
সুপ্রীতি বর্মন,,,,,,,
"কবিতার জন্ম",,,,,
এলোকেশী রাতের সুগন্ধি প্রহসনের মুমূর্ষু গন্ধে প্রেমিক ঈপ্সিত ভ্রূণ আঁচড় কাটে এলোমেলো প্রিয়ার বিবস্ত্র অঙ্গমুদ্রায়। তাকে ছুঁয়ে কাছে পেতে চাওয়ার প্রতিহিংসার প্রেমিক রৌদ্র তার স্তনকে আরো আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়।
উন্মুক্ত জঙ্ঘা থেকে নিতম্বে সে মাখিয়ে রেখেছে রাজহাঁসের মতোন অহংকারী পিচ্ছিল উদ্বায়ী পেট্রোলের মতন এক উদগ্র জ্যামিতিক স্রাব,,,, এই উন্মুখ যোনি কখনই মৃত হতে পারে না। প্রেমিকের মরমি কৌতুহল প্রেয়সীর ব্রেসিয়ারের হুক হয়ে শক্তপোক্ত সংযমী গার্হস্থ্য বন্ধনে সংযত থাকার পরেও আর নিজেকে তাতে কুক্ষিগত করে না রাখতে পারার অভ্যাসে অনর্গল ঐ আড়াল করা স্ত্রীধন নিটোল ও কারুকার্যময় স্তনদ্বয়ের মাংসগুলোতে চুম্বন করে চলেছে,,,,,
অথচ কি ভীষণ সে নিরাসক্ত ভাবাবেগে সমর্পণ আঙ্গিক রতিমুদ্রায় এঁটো করা চুমু দাগ লাগা সিক্ত শরীর জ্যোৎস্নার মত অনায়াসে এলিয়ে দিল সে প্রেমিকের কোলের কাছে।প্রেয়সীর শরীর আজ সম্পূর্ণ তার প্রেমিকের স্বত্বাধিকার সম্পত্তি । বহুব্রীহি ছলনায় প্রেমিকের রুগ্ন চাঁদকে আড়চোখে করল সে কটাক্ষ।
ওদিকে তখন তাদের লম্ব ও ভূমির ঘর্ষণে একাকার হবার শিহরণে ভৌগলিক শীৎকারে শরীরী যান্ত্রিক শিরা উপশিরার শেকড় বাকড়ে গড়ে উঠে গতিজাড্যে এক অপুর্ব আভিজাত্য সঙ্গমকল্পমুদ্রা। আর তোমার আলপথে ঘন ঘন উত্থান পতন শ্বাসের দৈহিক রগড়ারগড়ি কলিঙ্গ যুদ্ধে বেজে উঠে সঙ্গীত।প্রিয়ার কোঁচকানো তলপেটের উদগ্র রমণে প্রকট শীতের আঁতুরতায় নাভিতে চিত্রকল্প শোভিত হয়ে উঠে,,, কিছুটা কলিঙ্গ যুদ্ধের পূর্বাভাসের ট্যাটু এঁকে দেয়,,,,
জলীয় অভিস্রবণে যখন শঙ্খলাগা দুটি রিক্তসিক্ত শরীর জলফড়িং এর মতোন উড়ুক্কু হয়ে থৈ খুঁজে না পেয়ে হন্যে হয়ে আরোহণ ও অবরোহনে রূঢ়দশায়,,, উটের মতন জঙ্ঘাদেশে আরো উগ্র ও কামার্ত হয়ে ল্যান্ডস্কেপের বলিষ্ঠতা খোঁজে,,,, ঠিক তখনি ঘনিষ্ঠ কামদগ্ধ অক্ষরগুলো প্রিয়ার স্তনলগ্না হয় আর জন্ম নেয় একটি প্রণয়াসক্ত কবিতার,,,,,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন