((বিশ্লেষণ সংক্ষিপ্ত নিটোল সৌন্দর্যের মোড়কের....)),,,,,
সুপ্রীতি বর্মন,,,,,
"বৃষ্টি ",,,,,,,
কোন এক উদ্ধত যুবতি উদগ্র রমণে ব্যাকুল হয়ে মুহ্যমান কটিদেশে চাঁদের রুগ্ন শরীরকে জাপটে রজঃস্বলার আঁচলে দুর্দান্ত জলোচ্ছ্বাস এ খরস্রোতা কে ডাক দিতে চায়,,, কামার্ত শীৎকারের আলিঙ্গনে,,,, অনন্তপ্রেতযোনি যাত্রাপথ ধরে অসম্ভব কৃচ্ছসাধনায় তার নগ্ন বক্ষবিভাজিকা থেকে যোনিভেদে সুতীব্র তৃষ্ণার্ত হৃদয় রতিস্নিগ্ধ পিপাসার জল খোঁজে মরীচীকা হয়ে। আর চাঁদের প্রৌঢ়ত্বে তখন অসীম সসাগরা আকাশ জুড়ে দেয় তাকে আরো জরাগ্রস্ত করে তোলে সঙ্গমে নোঙর ফেলার শোকে।
অগ্নিমান্দ্য জড়ানোর শোকে পোয়াতী যুবতি গর্ভে জলজ মেঘ তখন আরো ভরাট হয়ে উঠে প্রণয়ের বাস্পায়নের দীর্ঘশ্বাসের চাদরে,,,, যুবতির পীনোন্নত স্তনে ঘাড় গুঁজে মগ্নচৈতন্যে স্তব্ধতাকে ভালোবেসে বৃষ্টিকণায় দুঃসাহসিক নগ্ন হালের কর্ষণ চালায় প্রেমিক,,, যদি কোন দুগ্ধবতী শস্যের বীর্যবতী রসে আরক্ত চুম্বন ঝরে পড়ে মিষ্টি শ্যামলী কান্ডের ঘাড়ে,,, ঠোঁটে,,, মায়াবী স্পর্ধার স্পর্শ সুখের ইঙ্গিতে ঐ যে লাল সোহাগী জিহ্বার জাজিম ঢাকা নগ্ন আরোহণ এ অধিরুঢ় শেহেজাদার হাত ফসকে তখন ধর্তব্যের বাইরে ভেসে যায় স্রোতে কোন রমণীর প্রেতযোনির অঙ্কুরোদ্গম।
তবুও অবাধ্য ন্যাওটা দেহলগ্ন প্রেমিকের দুষ্টুমিতে রহস্যঘন আড়াল করা প্রিয়ার নিষিদ্ধ ঠোঁটের লিপস্টিকের দাগ বহুরূপতায় পরম আমেজে অহর্নিশ চুম্বন করে যেতে থাকে। প্রেমিক তোমার রক্ষাকবচে আবদ্ধ দেহের আগোল খুলে বন্য আদিমতার রমণীর কাঁখের আগে অব্যয়ীভাব সমাসের মতন চিরকাল রতি স্বভাবের মুদ্রাদ্রোষে প্রেমিক তোমার সাদামাটা ক্যানভাস,,,, রঙীন আর তৈলাক্ত করে ছিঁড়ে ফেলে,,,,কারণ অঝোর ধারায় যখন তখন বৃষ্টি নামে পুরুষালি অরণ্য আর রমণীয় প্রকৃতি মাঝে,,,,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন