শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

Butterscotch 10



৪. কবিতা:

শরীরী জীবন

অভিজিৎ  দাসকর্মকার

গালে পান আর
ঠোঁটে ক্ষাররস নেমে আসে
পিঠের দিকে বোতামে।
খোলতাই লাইনে কবি বেড়ে ওঠার সিঁড়ি ধরে,শব্দ চাতুর্য
পথে ইনসুইং শাড়ি পরে বসে আছে হাত কাটা ব্লাউজ।
তাকে সেখানো হয় নি, গন্ধ কিভাবে মৌমাছি ডাকে?
অথচ ইংলিশ-ভিংলিশ সিনেমাস্কোপে বুঝে নেয় ইংরাজী ভাবে তাকে ভিতরের সম্পদ আগলাতে হয়।
বোল্ডার বেঁধে পিঠেরও পিছনে ট্রাকশন,আর
শাঁখা-পলা পরে এনজয় করে যেতে হয় বিধবার সিঁদুরে সধবার শরীরি জীবন।


৫. কবিতা:

বরফ সকালে আকাশ মাখা পূর্ণিমা

অভিজিৎ  দাসকর্মকার।

হয়ে যাক তাসের জন্মফুল ফোটা দেশের
বরফ সকালে আকাশ মাখা পূর্ণিমা
নিস্তেজ পিতৃত্বের নিরক্ষর পদক্ষেপে দাঁড়িয়ে
মাথা কাটা ইতিহাসরাজা

নির্মেদ জ্যোৎস্নার আয়ন মুক্তো শোভায় নাম জানা আঁচলের ফাঁকে গন্ধরাজ ফুলের সংসার,
তাতে-
চাল ফোটা ভাত
কিশোরীর আয়ুপথে লাল চিহ্নপদ
অব্যবহৃত শরীরকলা উন্মুক্ত করেছিল
উলঙ্গ অপারেশন টেবিলের জড়িয়ে ধরা ফ্ল্যাশপয়েন্ট

অথচ,
তাকে ভিতরের সম্পদ আগলাতে হয় ক্ষারীয়গন্ধ গায়ে,
সমাজ পরে,সামাজিকতা পরে পর-পুরুষ পরে-
বাৎসল্যের অজুহাতে বিজ্ঞানবৃত্তীয় কলকেলি ভুলে জন্মরস বয়ে যায় দু-পায়ের হাঁটু বেয়ে...


Butterscotch 10



১. কবিতা:

আসিফা বানু একটি পাখির নাম

অভিজিৎ দাসকর্মকার

নেকড়ে লেখা শুক্রাণুর লেজ মাথা ঠেলে ঢুকে পড়ে ষোড়শীর ঘরে
শরীরময় ক্লোরোফিল গন্ধ ততক্ষণ
চুপি কথার রিংটোন শোনা হয়নি জন্মাঙ্গের রজঃচৌকাঠে
মফসসলি পায়ে আসে দূর সম্পর্কের ভিড়
বলাৎকারি কুকুর খোবলায় কাঁচা দেওয়ালেই
পুংকেশরে ভেদ বমি, আর
বিবস্ত্র পরাগধানীতে অসংখ্য মেয়েলি যন্ত্রণা
মিডিয়ার পাশে মিডিয়ার প্রশ্ন
সারি সারি উলঙ্গ কংক্রিটের ইমারতি লজ্জারক্তে
পলিমাখা ঝিলামিস্রোত
কাঠগোড়ায় পোস্টমর্টেম হয় শ্লীল হীন শরীরের
তারস্বরে হৈ হৈ ধিৎকারি মোমবাতি মিছিল নিঃশব্দ হ্যালোজেন মোড়ে হাওয়াকেলিতে বাঁশি বাজে
শরীরময় চোরকাঁটার বাসা বিভাজিকা রেখায়
সোঁতা শূন্যে মেয়েবেলার মমি
ভাগাড়পথে মিশে যায় খাটুয়ার মোড়
মাথা নত মেয়েবেলায় পশ্চিমি ঝোড়ো কচিপাতারা উঠোনে
নোটিফিকেশনে টুইট্ আসে
মহিষাসুরীয় বৃত্তির বিধ্বংসী আঁচড় মাতৃত্বের বারোমাস্যায়
লাশঘরে অনুভূতি চেরা হয়
সংগোপনে নেশার গ্লাসে কচি লিভারের চাট কাশ্মীরি স্টিচ পড়ে
গলা থেকে যোনিপথে উড়ে যায় হলুদ পাখি
অন্য বাসায় কোকিলের ডিম
আসিফা বানু হলো একটি পাখির নাম।



২. কবিতা:

শরীর বিভাজিত ইজেল

অভিজিৎ দাসকর্মকার

আজ একটা শরীর খেলাঘর বাঁধে আমারই শরীরের ফেভিকল হয়ে
আবহ সংগীতে বেহালা গলা মেলায়
          লোমকূপে নাড়ি কাটার আর্তনাদ
                                    আর
কোমরের পাশে শুক্রাশয় থেকে উঠে আসে নাইটকুইন শোভা
পরাগরেণুর সামনে রসায়ন সমগ্র পড়ে আমরই সুষুম্না কান্ড
পঁয়তাল্লিশটি জানালার ওপারে জরায়ুর বন্ধ দরজা
                           সাড়া ফেলে
        বিভাজিত উপত্যকা জুড়ে
আমি দরজার পাশে দাঁড়িয়ে গঁগার জীবনী পড়ি
          সাদা তিস্তার স্রোতে
          গজগামিনীর স্কেচ
চুল থেকে বয়ে যায় স্নায়ুবিষ ইউরেনাস পথে অহল্যার ভাষা
গোড়ালি কিন্তু মেডিসিন খায়
          শরীরের ভিতরের শরীর
   গহ্বর উঁকি দেয় খাদেরও গহ্বরে
লালজল হয়ে বার করা হবে আনন্দ উল্লাস
    সমস্ত যতিচিহ্নের পরে
    ছেদ টেনে
আমি মাইকেল এঞ্জেলো আঁকবো আমার ইজেল জুড়ে।


৩. কবিতা:

বিভাস বেলায়

অভিজিৎ দাসকর্মকার

বিভাস বেলায় সা রে গা মা পা...
রোদ্দুর বেয়ে নেমে আসে বৃষ্টির রমণীয়তা
দেওয়াল আঁকড়ে বেড়ে ওঠে অসমান শরীর
আগলখোলা বাঁধন হুকে
বিভাজিত গুল্মের সারা গায়ে কারুকৃত।
           আমার জানা কিছু-
           গন্ধের জানা কিছু বা
           তানপুরার জানা কিছুর সমান নয়।
ধ্রূপদীয় শাড়ির এস্রাজি সুরে
কোমরের ক্যাপশনে বংশনিয়ন্ত্রক
লেপঘুমে ফাঙ্গাস
ইতিহাস রেটিনায় সিন্ধু জলের
মাউন্টেন ডিউ।
দুপুর সমান ভীম-পলাশি শালিক
কলাবতীরাত সমান অভিমানি মন।
লিপস্টিক ত্রিভুজে রামধনু যাপন
বিন্দুর জীবরসে তারাখসা...


বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

Butterscotch 9



৩. কবিতা:

ইনসাফের আগুন  

নাসির ওয়াদেন


আকাশের করুণচাঁদ বনের শব্দে ডুবেছিল
হিংস্রদুরত্ব কলসির ছিদ্র পথে উঁকি মারে
নির্জনতা নিঃশব্দে মেপে দেখে, আর
পা হিসেব কষেই হাঁটে হরপ্পার গলিতে  
ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে পায়ের ছাপ
ভুতুড়ে ঘুমের মাঝে খোঁজে কোমল স্বপ্নকে

স্বপ্নগুলো বারবার প্রতারিত করলেও
কেমন আপনজন বলে মনে হচ্ছে
সহ্যের সাদাজল রূপান্তরিত স্বীকৃতি, যা
মানুষের চোখে বিরল সমষ্টির মাঙ্গলিকচিহ্ন
যুক্তিরা মার্গের পথে ইনসাফ চেয়ে নেবে ---

ইনসাফের আগুনে পুড়ছে বনপলাশের কাব্যগাঁথা




৪. কবিতা:

প্রজ্ঞার খাপতরবারি

নাসির ওয়াদেন


কেউ কেউ বলে ধর্মে বিশ্বাসী, আস্তিক নই
কিন্তু ওভাবে কী থাকা যায়
ধর্মেও,আবার জিরাফেও ---

মানবতা আমাকে টানে সাগরের গভীরে
দু এক পশলা বৃষ্টি ছাড়া ভালবাসা
আস্তিক হয়ে যায় মননভূমিতে ---

বাতাহত বিশ্বাস ক্ষয়িষ্ণু ঝড়ের ছবি
আঁকছে আমাদের কোমল স্ফারিতস্পৃহা

ব্যাকুলবাতাস দিয়ে আঁকি আলোর আল্পনা
সিঁদ কেটে ঢোকে অভাবী ভালবাসা
হয়তো এভাবেই নিত্যসংসারে আমাপা জল
দেহকোষগুলো ফাণা করে পলাশের উত্তাপে

এসো,প্রজ্ঞার তরবারি দিয়ে বেদনার আঁধারসমূহ কাটি
 

Butterscotch 9



১. কবিতা:

ইতিহাস খুঁড়ে খুঁড়ে দেখা

নাসির ওয়াদেন


দিগম্বরী রাত্রির ভেতরে ঢুকে পড়েছি যখন
তখনও প্রত্যূষ সাবালিকা হয়ে ওঠেনি
কিছু কিছু স্ফীতিকাণ্ড দেখি আনাচে-কানাচে

বেহিসাবী কদর্যগুলো রূপান্তরিত ডানা
ছড়িয়ে থাকা আকন্দফুলের নীরবতা

সকালের রোদ বড্ড মিষ্টি ফাল্গুনের চোখে
কাঁচাযৌবনকে ধরে রাখতে রাঙাদিদির
কী কঠোর আত্মত্যাগ••••

কচুবনে শেয়াল রাজা হলে
তালপাতারা ভেঁপু বাজায় আনন্দে
বীরপুরুষের তরবারিহাতে যুদ্ধে নামছে

অগাধ জলে হাবুডুবু খাচ্ছে বুদ্ধির দৌড়
হিসাবের লালখাতা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটছে

ইতিহাস খুঁড়ে দেখো, ধূর্ততা কোথাও লুকিয়ে ---

                   



      ২. কবিতা:

  বিচ্ছেদের ডুরে শাড়ি

নাসির ওয়াদেন


কুঁড়ি থেকে ফুল ফোটার মুহুর্তেই
আমার জন্মছোঁয়া মাটি ঘ্রাণ শুঁকে
একটা একটা ফুল ফোটে
ঝরে পড়ে সূর্যস্নাত আমার একটাদিন

ডোমবউয়ের ভূতের বেগ পেয়েছে মাথা
ওঝার হাতে মুড়ো ঝাঁটা
বউকে বশ করতে পারেনি ডোমচাঁদ
হেলে সাপের মতো হিস্ হিস্ শব্দেও••••

পুরুষসিংহের মত গর্জন করতে গিয়ে
ল্যাজেগোবরে মাখামাখি ধর্মের চাঁদ

বাতাসে বিবেকহরিণ কৌতুহলী নৌকারপাল
তুলে ভেসে যাচ্ছে বিষাদের জলে
ধর্মবিশ্বাস আর কার্যকলাপ পরস্পরের বিপরীত
ধোঁয়াশা কাটেনি কে কাকে আগে ছোঁবে

আলিঙ্গনরোদ শুকিয়ে দিচ্ছে বিচ্ছেদের ডুরে শাড়ি

Butterscotch 8



১. কবিতা: বৃষ্টি

সুতনু হালদার


মেয়েটির বুক বরাবর নিটোল জ্যোৎস্নার মতো দাগ ছিল! এক রহস্যঘন বিচ্ছুরণের গন্ধ আমাদের যাবতীয় সত্তায় মিশে আছে, মিশেছে অক্ষরের প্রতিটা পৌনঃপুনিকতায়...


মেঘের দুষ্টুমির সমস্ত জলজ আবেগ তোমার মতোই ক্যানভাস ছিঁড়ে আমাকে বন্য করে তোলে! কামার্ত শীৎকার বাতাসের আলিঙ্গনে নির্জনতা খোঁজে, দীর্ঘশ্বাসগুলো প্রকৃত যানবাহন না পেলে অচল হতে হতে স্তব্ধতাকেই ভালোবেসে ফ্যালে!


প্রতিটি বৃষ্টিকণায় লেগে থাকা উদ্ধত যুবতির পীনোন্নত বুকের দুঃসাহসিক অভিযান আজও চাঁদের প্রৌঢ়ত্বে আকাশ এঁকে দ্যায় ; দু'চারটি অভিযোজন আয়ত্ত হয় বায়বীয় রূপে, আর আরক্ত চুম্বন ঝরে পড়ে খরস্রোতা নদী হয়ে মিষ্টি ঠোঁটে, ঘাড়ে, বক্ষবিভাজিকা থেকে যোনিভেদ করে সুতীব্র পিপাসায় ছুটে চলে মরীচিকার নিভৃত প্রদেশে...


অদম্য বালিয়াড়ি থেকে মরুদ্যান-

মায়াবী স্পর্শসুখের ইঙ্গিতে মাতোয়ারা হতে হতে পাখোয়াজ বাজায়,  প্রান্তরে ভেসে যায় প্রেতযোনি...


কখনো প্রেমিকার ঘনিষ্ট গন্ধ জমা রেখে ঘরে ফেরে উদ্বেলিত অঙ্কুরোদ্গম; লুকিয়ে রাখা নিষিদ্ধ লিপস্টিকের দাগ বহুরূপতাকে পরম আমেজে চুমু দ্যায় আর অব্যয়ীভাব সমাসের মতো চিরকাল চেটেপুটে খেতে গিয়ে মেঘের দুষ্টুমিতে ধরা দিয়ে ফ্যালে-- নতুনত্বে

               

     অঝোর ধারায় আবার বৃষ্টি শুরু হয় পুরুষ আর প্রকৃতিতে...




Butterscotch 8



২. কবিতা: বেপরোয়া

সুতনু হালদার




নিছক কৌতূহলী  হয়ে মুহূর্তকে টইটম্বুর হতে দেখে প্রশ্ন করেছিলাম সেই কোন শৈশবে, ঝালাপালা দিনগুলোর মধ্যে প্রেমের আঁচড়ের দাগ মাখা মুহূর্ত


কোথাও মাংসাশী ভরবেগ পুড়ে খাঁক হতে থাকে, প্রেমিকার মতো জড়িয়ে থাকে সমস্ত শিহরণ...



নিদানকাল আস্তে আস্তে এগিয়ে যখন প্রায় মধ্যচ্ছদার কাছাকাছি, ঠিক তখনই নিকোটিন আর রক্তের প্রবল সহবাস! বিছানার লণ্ডভণ্ড সংলাপগুলো পুড়ে যাবার পরে সন্ন্যাসীর আমেজে রোদের শীৎকার শোনা যায়


অনেকেই হয়ত অলিন্দ থেকে নিলয়ের বারান্দাতে শিরা-উপশিরার স্ফুটনাঙ্ককে চুমুর মতো মসৃণতা দিয়ে ভালোবাসে, কিন্তু চুমুতে মিশে থাকা আগুনের ভ্রুণ কবিতার মতো পঙক্তির পর পঙক্তিতে অভিস্রবণে মেতে ওঠে...


এত কিছুর পরেও ভালোবাসার কুয়াশা জ্যোৎস্নার তরঙ্গদৈঘ্যে হিসেবের খসড়া মেলাতে মেলাতে একদিন গদ্যের মতো বেপরোয়া খোসা ছাড়িয়ে ইশারায় নাবিক হয়ে যায়।


মোহনায় মিশে যাওয়া স্রোতগুলো আসলে অ্যানাটমি বোঝে না!


তাই বোধহয় সমুদ্রের কলতানে নক্ষত্রের ব্যভিচার ধরা যায়...




৩. কবিতা: ক্ষয়ে যাওয়া দুপুরের গন্ধ

    সুতনু হালদার


নিজস্ব দুপুরগুলো বয়সের সাথে সাথে আস্তে আস্তে ক্ষয়ে যায়, যে নদী একান্তে মেঘের সাথে মিশে থাকত, সেই নদীই যেন মোহনায় অচেনা!


স্রোতের বদল হয়। অচেনা অক্ষর মক্ষীরানি হয়ে গুঞ্জন তোলে, রঙের ঘোর বর্ণালীকে পরিচিতি দিলেও গোপন অভিসারের কথা চেপে রাখে


অভিসারের প্রাগৈতিহাসিক গন্ধ আজও যথারীতি যুবতি হয়েই জ্যোৎস্নার আলোতে মমত্ব মিশিয়ে দুধ আর জলকে আলাদা করতে ক্রমান্বয়ে ব্যর্থ!


এরপরই চারকোল, ভুষাকালি-অঙ্গারের ছোঁয়াচে

প্রতিবিম্ব ঘিরে থেকে যাওয়া বৈষয়িক হীরের

স্বপ্নদোষের আস্ফালন...


শক্তির মহোৎসাহ ঢেকে যায় মুখোশের বাহুবলে-

জ্যামিতিক বিচূর্ণিত রাশি, শব্দ, জঙ্ঘার বিমূর্ত অনুভূতি, নাক্ষত্রিক যৌনরস মিশে যায় প্রেমের প্রমার অমর্ত্যে


তবুও মনের কার্নিশে লেগে থাকা জারজ প্রেমের বীমাগুলো প্রতি রবিবারে প্রিমিয়াম নিতে আসে, একা...


কোথাও যেন নিজস্ব নিঃস্বতাগুলো

রেখে গ্যাছে হস্তিনীর মতো আঁশটে যৌনগন্ধ


রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সম্পাদকীয় : উমা এলো ঘরে।



"উমা এলো ঘরে",,,,,,
Festive season,,,,,,,

সম্পাদকীয়,,,,,,

সুপ্রীতি বর্মন।



শারদীয়ার আগমনী প্রতূষ্যে যখন রেডিওর ভাঙা গলার কর্কশনিনাদী সুরে বেজে উঠে প্রসিদ্ধ বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে জাগো দুর্গা, জাগো দশপ্রহরনধারিনী,,,,, আদৌ কি তুমি জাগো বাঙালী।লেপ কাঁথা চাপা দিয়ে শুতে যাও একটামাত্রই তো তোমার ছুটির দিন।মাথার উপর উড়ালপুলের ব্রিজ ঝনঝন ঠুনকো কাঁচের চুড়ির মতন ভেঙে পড়ে মাথায়।আশ্রিতেরা রক্ষাক্ত বিধ্বস্ত অশরীরী গলায় বলে উঠে তারস্বরে বল কি আমার অপরাধ? কোন দোষের মহার্ঘ শাস্তি আমাকে ঋণ পরিশোধ দিতে বলে জীবনের মূল্যে।
আর আশি বছরের বৃদ্ধা মাতৃরূপেণ সংস্থিতা তার শুষ্ক চামড়ার ভাঁজে যৌনগন্ধী মাতৃবৎ প্রশ্বাস আজ মাথাচাড়া পুঁইগাছ পিচ্ছিল করতে চায় জোর করে যোনি ছিঁড়ে পুরুষত্বের যৌনতার ভোগ নৈবেদ্য ফাঁকা স্টেশন চত্বরে।
আর মাটির তৈরী প্রতিমা পূজিত হয় প্রহসনের ছলে।

ধর্ষিতার অমাবস্যার গ্রহনে তখন প্রস্ফুটিত কুসুম অষ্টাদশীর চাঁদের উৎসবের জোয়ার।সুপ্রিম কোর্টের বেপরোয়া আদেশ জারি কোন ক্ষতি নেই শর্ত উলঙ্ঘন হবে না যদি কোন রাতের সহবাস হয় তাই অবাধ স্বেচ্ছাচার বৈধতা না হলেও চলবে কেউ তো আর চোরের দায়ে ধরা পড়বে না। তাই উড়ুক্কু মাছের ল্যাজে মুক্ত প্রেম বাইকের পিছে গা ঘেঁষে কিশোরীর First Day of Love. Hopping pandel to pandel for enjoyment. Elopement of distress and grief at the end of the year Festive mood, Festive season.

উমা এলো বছর ঘুরে,,,,, উপরে চাকুম চুকুম ভেতরে খড়ের গুজুম।আমরা সকলে বেদবাক্যে তখন সমবেত কন্ঠে বলি উৎসবের জোয়ারে নতুনের আঘ্রাণ পোষাকি আলাপনে ভোজে রসে ললনায়।কিন্তু তার চাবিকাঠি কতিপয় স্বচ্ছল দৃঢ়মুষ্ঠিতে আবদ্ধ। বাকিরা সব লম্বা লম্বা পা ফেলে আসা ঠ্যাংড়া কাঠি ভেতরটা অন্তঃসারশূন্য কঙ্কালসার ঠুনকো কলকব্জা।ঠেলে গুঁজে দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে মাথায় হাত কপালের ভাঁজে দুঃশ্চিন্তা মাকড়সার জাল বসে থাকে ঐতিহ্যের রীতি নীতির শেকড়ে ফেঁসে পুরানো গতানুগতিকতার পচাগলা গড্ডালিকা প্রবাহে। সবসময় অনিশ্চয়তার শনির লোহিত বরণের খড়্গাঘাত এই যায় এই যায় কি হয় ভ্যাবাচাকা পাষান মর্মরমূর্তি।

ওদিকে দেদার স্ফূর্তি ক্লাবের উদ্যোক্তাদের গ্রহন বাক্সে কাঁচা টাকার ছড়াছড়ি। উড়ো উড়ো বেহায়া মন ছমক ছল্লোর নাচে মনের খড়খড়ি। তাই অনেক সময় ঘড়ার বা কলসির জল গড়িয়ে খাবার প্রহসনে অল্প মূল্যে পরিত্রান যাহোক প্রতিমা ও প্যান্ডেলের রোশনাই,,,,, এইটুকু চললেই তো হল। ওদিকে পদ্মযোনির সৃষ্ট এই চরাচরে সার্বভৌম সারমেয় সত্য হল পতিতার অধঃপতনের চারিত্রিক মাটি লাবণ্যে উমার অঙ্গ পেয়েছে ঠাঁই আর বেশ্যার নিষিক্ত গলি হল ভূষণ,,, সেই অধঃক্ষিপ্ত হেলাচ্ছেদ্যা লাঞ্ছিত মাটি।

শারদীয়ার ঘ্যাঁনঘেনে চিরাচরিত বাক্যালাপ ছেড়ে এবার একটু রুচিবদল হোক ভিন্ন মাত্রার স্বাদের আঙ্গিকে আলাপন। কলমের খোঁচায় তুলে ধরো নগ্ন সত্য তোমার আমার।




শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

Butterscotch 7



৪.  কবিতা:

জলচল

শাল্যদানী

*************

আচ্ছা তবে মাকড়সা বোনা জাল
মরচে ট্রামেতে ঘুণ
জলতরঙ্গে জল ছাপিয়ে
কলিং কলিঙ্গে খুন

ভ্যাপসা বৃষ্টি রোজই অনাথ করে
মাঝ রাস্তায় জল জমেছে খুব
মনের মতন গীটার যদি পেতাম
গীতবিতানে দিতাম আমি ডুব

তারপরেতে কু-ঝিকঝিক মেঘ
ফ্রেমে বন্দী কবিতার কারখানা
বন্দী কিন্তু তুমিও হতে পারো
ঠাকুর কিন্তু ঠেকাতে পারবে না

সেই মাকড়সাটা আজও জাল বোনে
পুরোনো দেওয়াল আস্কারা দেয় খুব
তুমিও কিন্তু কম যাওনা সোনা
তাই গীটার ছেড়ে তোমাতে দিয়েছি ডুব



৫. কবিতা:

মৃত্তিকা

শাল্যদানী

***************

বাইরে কোলাহল
গোপনীয় প্ররোচনা কানেকানে
ফিসফিস।    ইতিউতি চাউনি

          আহা বলুক বক্তা
বলতে দিক আসমুদ্রহিমাচল
বাঁধা দিও না।

ভেটকিমাছের পেটি কাঁসার থালায়
নারকেলকোরা সন্দেশ।
জামবাটিতে নীল দুধ
ভীষণ প্রত্যাশা
বিষে বিষে বিষক্ষয়

           মৃদুজল হাসির বরফ
কাহারবা তালে ঠুমরি
যমজ যৌবনা কটুকাব্য
একে তাল
দুয়ে বা...
থাক। অন্য কোনো কাব্যে

পেনসিল বুকিং নারীদেশে
মাত্রারূপে মাতৃত্ব
পরিচয়ে নবারুণা
ভাষাতীত শব্দ।
মা।




বৃহস্পতিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

Butterscotch 7



১. কবিতা ১৮

শাল্যদানী

************


যুবতি নদীতে কুমারী স্রোত
পথিককে জল দেবে কে?
বিবাহিত নৌকাগুলো দিব্যি ভাসছে
নিরামিষ গান গায় সে মাঝি
ভাটিতে মাটিতে মার্বেল

মার্বেল ঘরে পরকীয়া নক্সাকাটা
গোমুখ গুহা থেকে আনিয়েছি ছাদ
চুইয়ে পড়া জল সাক্ষ্য দেয় আজো
বুকে তার কত প্রেম।

সেই প্রেমের বাষ্পে ঘামুক মন
শরীরের ইস্পাত গলুক
গন্ধে আসুক বারান্দার হেম
ধূপ জ্বালাক শান্তির গাঢ়তম নিশ্বাসে
এক প্রশ্বাস সংলাপের জন্য।

কানপেতে শুনো তার ধারাভাষ্য
ছন্দে ছন্দে লিপ্ত-
তার অক্ষতযোনি।
কুমারীপূজো করেছি মাঝ রাতে...


২. কবিতা:

অনুভবে ১

      শাল্যদানী

******************

পরকীয়ার বীর্য আঠালো নয়,
এক টুকরো কাপড়েই সে মোহনা খুঁজে পায়।
লাল রক্ত নীল প্রেমে আঁশটে,
বাক্য বন্দী থাক কাব্যে।

নতুবা ওরা সায়ার দড়ি খুঁজতে
বেড়িয়ে পরবে মাছ বাজারের স্বঘোষিত রাজপথে।


৩. কবিতা ২০

শাল্যদানী

**************

একটুকরো জামদানি প্রেমের কোলাজ
মেঘে মেঘে বাস্পমৈথুন খেলা
সাঙ্গ কর কবি।
চিরসহচরা অনন্তমূল মন্থন
অমৃতরসে দৃঢ় প্রত্যয়
এক কল্পারম্ভ।

মনান্তর মনযোগানো মেহেফিল
বাড়ন্ত আস্কারা আম আঁটির ভেঁপুর সুরে
কে সে বাজায়
আজন্মকাল
গ্রাফিক মজলিশি ডামাডোল
সুন্দরনগর ষড়ঋতু
রিপুদমন।

জন্মে গ্রহণকাল মেঘ
মৃত্যুপথে অকালবৈশাখী



Butterscotch 6



৪. কবিতা:

অনুরূপা পাল চৌধুরী।


পুষে রাখি ভবঘুরে আদরদুপুর

সাদা সময়ের ছাই ঘেটে উঠে আসে পোড়া কদমের  নিষিক্ত ডিম্বাণু

জ্যান্ত কাচপালকের জলছবিতে তুমি গন্ধে ভিজে যায় শরীর

রোদ্দুরের সিঁড়ি বেয়ে ওঠে চাদরের জীবাশ্ম

হাজার পিরামিডে আঁকি ০-তল।চুরি করি মাংসাশী ত্রিভুজের নির্বিকার রঙমিছিল

ছক্কা। চৌক। দোক্কা। পুট। চিহ্ন লুকাই সাদা ফুলে

ধোঁয়াভেজা দেওয়ালের ঠোঁটে চুষে নেই অচেনা ঘুম

অমসৃণ বাষ্পঝড়ে তুমি চুমু খেলে
আমি কান্নার কাগজ জুড়ে দিই




৫.  কবিতা:

অনুরূপা পাল চৌধুরী।


সিঁড়ি ভাঙা সত্যিগুলো চোখ ফেরালেই
মিথ্যার পলকে মেখে নেয় শীতঘুম
তীব্র অশ্লীলতার দায়ে উষ্ণ জল মাপি দাঁড়িপাল্লায়
নোনামাটি ভেদ করে সরাসরি বসিয়ে দিই ধারালো তৃষ্ণার্ত বক্রচাঁদ।চিৎ হই।চিৎকার দাও।চিতা ভাঙি            
শিকড়সমেত উপড়ে ফেলি মৃত পাতার আঁশটে কোষীয় স্তনবিন্যাস।ভুল ভাবি।ভুল করি।শব্দের গায়ে শুয়ে ভালোবাসার লাশ কাটি।বেওয়ারিশ রাস্তায় গুঁজে রাখি কিছু প্রসবের ভাষা।।


Butterscotch 6



১. কবিতা:

অনুরূপা পাল চৌধুরী।

এসো___
নগ্নতায় পুড়িয়ে দিই অগোছালো পারদলাশের গোপন অভিসার।নোংরা হবার বিষম চাহিদায় যখন নৃশংসভাবে খুন করতে করতে তোমার বুকরক্তে ঠোঁট ডুবিয়ে হয়ে উঠি নারকীয় পিশাচী তখন তোমারই রোঁয়া ওঠা চওড়া উপত্যকায় আছাড় পাছাড় খাই বারবার।তোমার হারহিম পাঁজরে গলে যাই রক্তাক্ত শরীর নিয়ে।অশ্লীল হয়ে ওঠে আমার উলঙ্গ চোখ।চোখের অবশ কার্নিশের শ্লেষ্মানুনে ঝরে পড়ে অজস্র পুরুষরাতের শিঁরদাড়ায় জমে ওঠা সন্ধ্যাফুল।


২. কবিতা:

অদৃশ্য স্মৃতি : স্বপ্নকোলাজ

অনুরূপা পাল চৌধুরী।
--------------------------------------------

                        ১.

বিষণ্ণ স্মৃতি : ৭এর ঘর ০অবস্থান। অন্ধচোখ

এলোমেলো ছায়াশব্দের কৌতুক বারান্দা

ভ্যাপসা ইঁটের শীতল শ্বাস মেখে নেয় গোপন বিশ্বাস

উন্মত্ত যুবতির হাড়িকাঠে মৃত্যুও থমকে যায়

                             ২.

কিছু আলাপি সন্ধ্যায় জেগে ওঠে সেই ইভ। সেই আদম

ঈশ্বরবাক্য লঙ্ঘনের আদিপাপ। আদম|শুমার

আর ১বার শান্ত করি মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে। পরিতৃপ্তির শিথিল হাসি

সকালের রোদ কেটে নেয় ধূসর তেতো কুয়াশা

                             ৩.

কিশোরী অর্কিডে গোলাপী চুমু। তোমার জলঠোঁট

বাদামি বোঁটা চুয়ে পরে আবৃত পারদ ঘনত্ব

কবিতার হাতে তরলমোম। ১ টুকরো আগুন। বারুদ খুন

তোমাকে লুকাই অবশেষে থরথরে বুকসমুদ্রে

                            ৪.

রাত-দিনের সঙ্গমে সহস্র সফল আঘাত

জন্ম নেয় অকাতরে। গুপ্তশয্যায় হলুদ করবীর কাক|চরিত্র

অলিখিত খোলসে শাম(উ)ক ভেজা গান

ডুবে যায় চেতন ঘুম গাঢ় তরলবিন্দুতে

                             ৫.

অকৃপণ আকুলতার তীক্ষ্ণ বাতাসে মগ্নতার উত্তরণ

বাস্তবের ঘরে ঘুম চেনার মেঘলা দৌড়

স্বপ্ন গড়ি। স্বপ্ন ভাঙি। ভুলের দোলাচালে স্মৃতিপথ ভাবি

আঙুলের টোপরে দৃশ্য জমাই। চোখের কোলে বৃষ্টিকোলাজ



৩.  কবিতা:

অখন্ড আমি থেকে

অনুরূপা পাল চৌধুরী।

---------------------------

অদৃশ্য গর্ভজল → রাতারাতি ঠিকানার মরচে

সে বাষ্পঘোর।ক্রমশঃ ঘোরঘনত্ব।আণবিক ঘড়িঘোর

আমার ভিত(র) মস্ত তুমি ১ ফেরারি সূর্যকোষ

কয়েকটা গোলাপিনেশা।দোআঁশ মোমদ্বীপ

বিলাসবহুল ব্যাস থেকে অনর্গল দৃষ্টিপতন

খামখেয়ালি আগুনে ঠোঁট পোড়াই।ভালোবাসি তোমায়

দোপেয়ালা মেঘকণা অজান্তেই খুন হয়।চেটে নিই আবছা দূরসংকেত

নোনাচিঠির ১গুচ্ছ গাঢ় নিঃশ্বাস।সে সময় বড় প্রশমনকারী






Butterscotch 5



৩. কবিতা: স্রোতস্বিনী

আরিয়ান প্রিয়স (পাল)

দাবীর কোন জাত হয়না, ভিন্ন মতেই প্রচার সে,
দাগ লেগে থাকে ঠোঁটের কোণায়। অবশ্য নিয়তি
প্রকাশ্যে চিবুক আদরে মাখে স্পর্শের অনধিকারে,
কেবল ঠাওর করা উদ্দেশ্যটুকু ঠাঁই নেয় শুধু তোমা প্রতি।।

বিছানায় অনুভূতি রেশ অস্তমুখী বিকেলের দিগন্ত দর্শক
যেন সাত জন্মের অভিমান  নেমে আসছে চিবুক বেয়ে
তুমি আল ধরে ফিরে এসে আমায় ছুঁয়ে নিচ্ছো বারংবার ।
কুলুপ এঁটে রেখেছে সমাজ, শিরা-উপশিরা ভরা চোখে।।

সীমা অতিক্রম করে এগিয়ে এসেছো আরো কাছে,
স্মৃতিঘুম লেগে থাকা গল্প বন্দী কথা সঙ্গীনি রাতের
সভ্যতার রাশ টেনে ধরো এখনই, চশমার শক্ত ফ্রেমে।
নয়ত কৈফিয়ত দিতে হতে পারে কাল ফের-

নিস্তার নেই আর-উদ্দেশ্যের নিস্তব্ধতা এখন স্রোতস্বিনী।
স্বপ্নেরও মৃত্যু ঘটে।যা আগে কখনও দ্যাখোনি! !



৪. কবিতা: ফুটপাথ

আরিয়ান প্রিয়স (পাল)।

সভ্যতার মশাল দাউ দাউ করে জ্বেলেছো তুমি,
কিন্ত অসহায় মানুষের নিৰ্বাক-নিস্তব্ধ যত
সহস্র ঘাম তোমায় কটাক্ষ দৃষ্টিতে লক্ষ্য করে চলেছে।
-আর তাদের সঙ্গী হয় নিশ্চুপ ফুটপাথ।
যার ধূলিকণায় সাজতো ফাগুন বাতাস,
১৪৪ধারার মাতাল আবেগ ভরদুপুর রোদে বসে এলোচুলে শুকাতো,
যার কারণে হঠাৎ বসন্তই বিদায় চায়।

স্ট্রিট লাইট সন্ধ্যের গোপন অভিশাপ লুকিয়ে রাখে,
প্রেমাস্পদ কে যথা সময় স্নেহভাজন আলিঙ্গন করে
অদৃশ্য অন্ধকার তৈরি করে বীৰ্য আস্ফালন,
এসব ঘটিত ঘটনা অনায়াসে হজম করে ফুটপাথে ক্ষুধার্ত শিশুটি।


Butterscotch 5



১. কবিতা:মগ্নচৈতন্য।

আরিয়ান প্রিয়স (পাল)।

মিনারের স্তম্ভগুলো ক্রমশ
মাথা উঁচু করে আকাশ ছুঁতে চায়,
শহরের তিলোত্তমা বধূ সাজে এক রাতের বাসরের অতিথি।

ভিজিয়ে ফেলেছে নোঙরে;
আহত তার গোলাপী আবরণের গভীরতা. .
আমার আরো কিছু হাতের প্রয়োজন-তার শরীর ছুঁতে।

সবুজ পেনে এঁকে
নিয়েছি তার নাভি ঘিরে,
কামস্বপ্নে উষ্ণ চুম্বনে তাকে
হিংস্র করে ফেলি।
নগ্ন তিলোত্তমার দেহের
আগুনে নিশুতি রাত
হস্তমৈথুন করে
বীর্য ফেলে নদীর জলে।

একে একে সমস্ত শরীর গর্জে ওঠে ,
জাপটে ধরে পিঠে নখের আঁচড়ে রক্ত মাখায়,
সমস্ত ঘরে বিদ্যুৎ বেগে অদ্ভুত রোমাঞ্চ ভরে যায়. . .
আমি ধীরে ধীরে তিলোত্তমায় বন্দী হয়ে পড়ি।

অন্ধপ্রেম দিয়ে তার কাঁধে অন্তর্বাস চুমুতে শিহরণ জাগিয়ে তুলি,
ভরা কোটাল বুকে তৃষ্ণার্ত ঘাম  চুঁইয়ে নাভি স্পর্শ করে তখন!

আর আমি সমস্তটাই মগ্নচৈতন্যে আবদ্ধ হয়ে স্বপ্ন করে ফেলি
তার অজান্তেই. . .



২. কবিতা:ব্রহ্মপিশাচ।

আরিয়ান প্রিয়স(পাল)


এক সমান্তরাল পথে বিন্দু প্রেম
জেগে ওঠে  রাত্রি স্বপ্ন বাসরে,
সে নারী সামান্য সয়ম্বরে নগ্ন শরীরে বসে।
ব্রহ্মপিশাচে ঘিরে নেয় তাকে,
মরণপণ কারণে শরীরের সমস্ত টুকু উজাড় করে।
জটিল জীবন থেকে নিজেকে খোলা হাওয়ায় রাখতে চায় কাজলী।

আর তোমারা তাকে কিনে নাও প্রতি রাতের গন্ধকটূর বিছানায়. .
এরপর মোমপথ ধরে পৌঁছে দাও চিতার আগুনে,

কোন অজানা ফুল দিয়ে থাকো শেষ শুভেচ্ছায়. . .
পিশাচের অমরত্ব সুখের রাতে
অপরাধের খাতার আরো এক বেনামি অধ্যায় শেষ হয়. .

Butterscotch 4



৩. কবিতা:

মাকড়সা

তাপস দাস


আক্রমণ একশ মাকড়সা
তাদের ঐন্দ্রজালিক ইচ্ছা
আমার শরীরে রেখে দিয়েছে....

প্রথমে ছুঁতে চাইব
দ্বিতীয়ত একটা বিছানা
তৃতীয়ত মৃত্যু, প্রতিবার, প্রতিরাত।

আমি এখন খুঁজেই পাইনা কোন অঙ্গ যৌনাঙ্গ

হাত চায় ভালোবাসা চায়
বুক চায় দুপুরবেলায়,  ঘাম হয়ে বসা
শারীরিক চাষা উন্নত সুখ, চোখ চায়
খেলা বেলা মেলা দোলা রাজসিক লাজ, ঠোঁট চায়
চরম জল বিষফল খেতে খেতে পি- তে
আর আছে যা
নাগরের দোলা, ভেলা ভেলা ভাসা ডোবা
মৃত্যুর ফাঁদ
প্রতিরাত।

মাকড়সার জাল, বিভেদের জাত থেকে দূরে
দংশায় শরীর দুপুরে.



৪. কবিতা: নাভিকূপ

তাপস দাস

তোমার নাভিকূপ চুম্বন
করব ভেবেই গেঁথে যাই
 গাছ জন্মে...

কৈশোরে
 চুলে বিলি কেটে ঝর্না পাগল পরিযায়ী ছিলাম।

প্রথম যৌবনে
চোখে তাকাতাম চাতক কামনায়
কত ঘ্রাণ গিলে নিতাম ফুসফুসে, স্বল্প আয়ুতে,
 কর্পূর আকাশে মিলিয়ে নিতাম দেহ
 গভীরের প্রাণ...

যাবে যৌবন যাক
চুমুটা নিচে নামতে থাক,
 নাভিকূপ
 চুপ!
এইবার জীবন গাছ হয়ে থাক।

Butterscotch 4



১. কবিতা:

চৈত্র বিবাহ

তাপস দাস।

এই রুক্ষ নারীটির আঁচলে
এক অনিবার্য প্রেমের ঢেউ
আমি একা দেখেছি
শেষ বসন্তের গা চিনচিনে রোদ্দুরে অভিশাপের
খোলসে সর্পিণীর মতন...

সামাজিক গায়ে হলুদ তার হবে না
ঝুলে থাকা দিন মাতালের ঠোঁটে খুঁজে যাচ্ছে ঠাঁই
ঝুলে পরা বেহিসাবি উন্নত বুকটা তবুও নরম
চৈত্র বিবাহ, কিসের লজ্জাশরম...!

গরিয়ে যাওয়াই তো জল তার ধর্ম তার  মর্ম
পাতায় মর্মর তোলা তো নয়, ভিজিয়ে দেওয়ায়
বিষে নাশে পরশে ঘাসে একাকার
এক আকার
তার ভালোবাসায়...

হে নয়ন তুমি চোখ পেরিয়ে জন্মাও
খড়ের আগুন ওই প্রাচীনতা হয়ে যায়
দমকা দোলন ওই প্রেম চৈত্র বিবাহ প্রেম
ভাঁটফুল বিছানায়



২. কবিতা:

মধুযামিনী

তাপস দাস


চুলে রাত আসে
বাধা খুলে দেয় নয়ন
অন্ধকারে বিকারে আকার পেতে ইচ্ছে করে
প্রেম- পিচ্ছিলতা।

সুনামগুলো দাঁত দিয়ে কেটে ফেলে গন্ধ গহীনে
গেয়ে ওঠে অলিক সুনামি
প্রজাপতিদের সুপ্ত যাপন মধুযামিনী।

উলঙ্গ আদিম পদচুম্বন,সিঁড়ি ওঠা,খোঁজ
কবচ খুলে ফেলে নিভৃতে

শারীরিক জন্ম থেকে কবিতা সঞ্চয়ন।

ইচ্ছে করে
ঠোঁটের ওপরে নদীকে ভেজাই,
নাব্যতা পাহাড়ে দাঁড়িয়ে
প্রাচীনতা দেখাই, আজ ভালোবাসা
কিভাবে সবুজ।


Butterscotch 3



৪. কবিতা: স্বাদ
তুলসী কর্মকার।


*****

ঝোল

মাছ+তেল+জল+মশলা+পাত্র+তাপ+সময়+কৌশল ও খুন্তি সঞ্চালন দ্বারা ঝোল তৈরি হয়

মাছ থেকে খুন্তি সঞ্চালন পর্যন্ত কোন কিছুর সামান্য পরিবর্তনে ঝোলের স্বাদ আলাদা হয়

কেবল তাই নয়

নির্দিষ্ট মাছের নির্দিষ্ট গন্ধ বর্ণ আকৃতি থাকে

কিন্তু ঝোল নিজে মাছের স্বাদ পায় না


স্বাদ গ্রহণ করে তিনজন

যে মাছ ধরেছে যে ঝোল  বানাছে যে ঝোল খাবে

গ্রহণকারীর তফাৎ তফাৎ রুচিভেদে ভালো খারাপ বিবেচিত হয়


প্রেম

কঠিন তরল বা বায়বীয় নয়

বরং শর্তসাপেক্ষ অনুভূতি সমষ্টি

এক বা একাধিক মন শরীরের ক্রিয়াকলাপ ঝোল


তিনটি মন

যে প্রেম করছে, যার সাথে করছে, যে বাইরে থেকে অনুভব করছে

এই মনের ছবিগুলি আলাদা আলাদা


মৃত্যু

এক প্রকার ঝোল, জন্মের ইতি সমীকরণ

কারণের তারতম্যে পরিবর্তনশীল


শব্দ পায় তিনজনের কান

যে মরবে, যার জন্য মরবে, যে দূর থেকে শুনবে মৃত্যর নাদ


জন্ম

একটা পদ্ধতি

অঙ্ক সমষ্টির ঝোল, পৃথক সাম্য অস্তিত্ব বিম্ব


রঙ দেখতে থাকে তিনজন

একটি মা একটি বাবা অন্যটি সমাজ


যার জন্ম হচ্ছে সে কখনো অনুভব করে না


আসলে

জন্ম, মৃত্যু, প্রেম বা ঝোলের স্বাদ অজস্র ফ্যাক্টর দ্বারা পরিচালিত অনির্দিষ্ট সমীকরণ



৫. কবিতা: মানবতা
তুলসী কর্মকার।

********

একদিন

ঈশ্বর মৃত বলে ঘোষিত হবে

সরকার পতন হবে

টাকা মূল্য হারাবে

নারীর স্বপ্ন ভঙ্গ হবে

মদ নেশা হারাবে



তখন

টাকা সরকার ঈশ্বর মানুষের সৃষ্টি বলে গণ্য হবে


উচ্চবিত্তরা অর্থ, নারীর মোহ থেকে বঞ্চিত হবে

নিম্নবিত্ত সরকার ও নেশার মোহ থেকে সরে আসবে


বহুকাল বেঁচে আছি মধ্যবিত্ত হয়ে


না টাকা না সরকার না ঈশ্বর না নারী কেউ কথা রাখেনি

ক্রমাগত কষ্টের সাথে অভিযোজন করে গেছি


আসছে

সেদিন পৃথিবী জলমগ্ন হবে

টাকা ভিজে যাবে, সরকার ডুবে যাবে


আমার কিছু হারাবার থাকবে না


খুঁজে পাবো এক নতুন পৃথিবী

কষ্ট বিছিয়ে তৈরি করবো পথ

যেখানে নারীর ভালোবাসা মধ্যবিত্তকে উৎসাহ দিবে

উচ্চ ও নিম্নবিত্তদের টেনে তুলবো এক সরল রেখায়


যাপন শেখাবো জীবনকে

সেদিন পৃথিবী আবার সমতা পাবে



Butterscotch 3



১. কবিতা: সংসার।

তুলসী কর্মকার।

********

মন থেকে নিঃসৃত রস হল বর্ণসমষ্টি

অক্ষরে থাকে এক প্রকার পদার্থ


উপায় তাকে জাপটে ধরতে চায়

ঠোঁট চুমুর নির্বোধ কম্পনে বেসামাল হয়

শরীর বেঁকিয়ে যৌনতা খুঁজে চলে


কঙ্কালহীন কেঁচোর গা বড় পিচ্ছিল

শামুকের খোল দেখতে পারো না

অক্টোপাস তোমার অপচ্ছন্দ

বাঘ ভীষণ প্রিয়

তুমি সুন্দরের পূজারী, গোলাপ প্রেম আমাকে চাও


অহরহ চেষ্টা কর

মাইক্রোসার্জারি ছলে আমার অস্তিত্ব থেকে কাঁটাগুলি আলাদা করে শিমূল ফুল বানাবে

অথবা

অস্থিবিহীন বাঘের নাচন পাশে বসে থাকা বান্ধবীকে দেখাবে আর হাততালি কুড়াবে


এ নেশা মাতাল করে, আমিত্ব হারিয়ে হাড়গোড় হারিয়ে  ক্রমশ পুতুলের নাচে মেতে উঠি.....




২. কবিতা: ডেফিনেশন
তুলসী কর্মকার।

***********

তুমি যুক্তি দিয়ে আঁকলে প্রেম, বের করলে

ইচ্ছে, কল্পনা ও পঞ্চ ইন্দ্রিয় যুক্ত একজোড়া শরীর


সম্পৃক্ত প্রেম

একটি মন দর্শন ঘ্রাণ স্বাদ স্পর্শ ইচ্ছা প্রকাশ করে

অপর মন শ্রবণ আবেশে উন্মত্ত অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন করে, শরীর মন একাকার হয়


একমুখী প্রেম

ইচ্ছেগুলো শোষিত হয় প্রতিফলন শূন্য


বিক্ষিপ্ত প্রেম

ইচ্ছেদের প্রতিসরণ ঘটে মুষড়ে যায় কাম


অক্ষর প্রেম

লিখিত বা মৌখিক শব্দগুলি গ্রন্থিদের উত্তপ্ত করে

ভার্চুয়াল ক্ষরণ হয়, সিন্ধু থেকে বিন্দু খুঁজে চলে


দৃশ্যমান প্রেম

অদৃশ্য দেওয়ালে ভিডিও কলিং নামক ক্যানভাসে রিয়েলিটি যুক্ত শরীর ভির্মি খায়


দুমুখো প্রেম

লজে একটি শরীর টাকার বিনিময়ে,

অপর শরীর কামে বশীভূত হয়ে মিলিত হয়


নিষ্কাম প্রেম

একটি শরীর যোনিপথে বেরিয়ে আসে

স্তনপানে পুষ্ট হয়, মিলন কামকে উপেক্ষা করে



৩. কবিতা: অসভ্য
তুলসী কর্মকার।

*******

বিরাট ক্যানভাসে তুলি নিয়ে দাঁড়ালে, কী আঁকবে তুমি?

অপসংস্কৃতি।


একটি নির্যাতিত জাতি?

না।


অর্ধনগ্ন বুক?

না।


উলঙ্গ যুবক?

ঘাড় নেড়ে চুপ থাকার আবেদন করলে।


ক্ষণিক পর চক্ষুশূল

তুমি আঁকলে একটি রাজনেতার ভাষণ!