১. কবিতা: সংসার।
তুলসী কর্মকার।
********
মন থেকে নিঃসৃত রস হল বর্ণসমষ্টি
অক্ষরে থাকে এক প্রকার পদার্থ
উপায় তাকে জাপটে ধরতে চায়
ঠোঁট চুমুর নির্বোধ কম্পনে বেসামাল হয়
শরীর বেঁকিয়ে যৌনতা খুঁজে চলে
কঙ্কালহীন কেঁচোর গা বড় পিচ্ছিল
শামুকের খোল দেখতে পারো না
অক্টোপাস তোমার অপচ্ছন্দ
বাঘ ভীষণ প্রিয়
তুমি সুন্দরের পূজারী, গোলাপ প্রেম আমাকে চাও
অহরহ চেষ্টা কর
মাইক্রোসার্জারি ছলে আমার অস্তিত্ব থেকে কাঁটাগুলি আলাদা করে শিমূল ফুল বানাবে
অথবা
অস্থিবিহীন বাঘের নাচন পাশে বসে থাকা বান্ধবীকে দেখাবে আর হাততালি কুড়াবে
এ নেশা মাতাল করে, আমিত্ব হারিয়ে হাড়গোড় হারিয়ে ক্রমশ পুতুলের নাচে মেতে উঠি.....
২. কবিতা: ডেফিনেশন
তুলসী কর্মকার।
***********
তুমি যুক্তি দিয়ে আঁকলে প্রেম, বের করলে
ইচ্ছে, কল্পনা ও পঞ্চ ইন্দ্রিয় যুক্ত একজোড়া শরীর
সম্পৃক্ত প্রেম
একটি মন দর্শন ঘ্রাণ স্বাদ স্পর্শ ইচ্ছা প্রকাশ করে
অপর মন শ্রবণ আবেশে উন্মত্ত অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন করে, শরীর মন একাকার হয়
একমুখী প্রেম
ইচ্ছেগুলো শোষিত হয় প্রতিফলন শূন্য
বিক্ষিপ্ত প্রেম
ইচ্ছেদের প্রতিসরণ ঘটে মুষড়ে যায় কাম
অক্ষর প্রেম
লিখিত বা মৌখিক শব্দগুলি গ্রন্থিদের উত্তপ্ত করে
ভার্চুয়াল ক্ষরণ হয়, সিন্ধু থেকে বিন্দু খুঁজে চলে
দৃশ্যমান প্রেম
অদৃশ্য দেওয়ালে ভিডিও কলিং নামক ক্যানভাসে রিয়েলিটি যুক্ত শরীর ভির্মি খায়
দুমুখো প্রেম
লজে একটি শরীর টাকার বিনিময়ে,
অপর শরীর কামে বশীভূত হয়ে মিলিত হয়
নিষ্কাম প্রেম
একটি শরীর যোনিপথে বেরিয়ে আসে
স্তনপানে পুষ্ট হয়, মিলন কামকে উপেক্ষা করে
৩. কবিতা: অসভ্য
তুলসী কর্মকার।
*******
বিরাট ক্যানভাসে তুলি নিয়ে দাঁড়ালে, কী আঁকবে তুমি?
অপসংস্কৃতি।
একটি নির্যাতিত জাতি?
না।
অর্ধনগ্ন বুক?
না।
উলঙ্গ যুবক?
ঘাড় নেড়ে চুপ থাকার আবেদন করলে।
ক্ষণিক পর চক্ষুশূল
তুমি আঁকলে একটি রাজনেতার ভাষণ!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন