শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২০

জ্যান্ত আস্ত মনুষ্য ভূত##চন্ডকাম##সুপ্রীতি বর্মন


 

জ্যান্ত আস্ত ভূত মনুষ্য তুমি নিজেই

অভিশপ্ত জাগ্রত হাড়কঙ্কালসার অধ্যায়

তালপাতার উলঙ্গ শীর্ণকায় সেপাই 

চন্ডকাম


সুপ্রীতি বর্মন 


ন্যাকাষষ্ঠী হিজিগিজি ন্যাংটো মাতাল ও ভৌতিক রহস্য বলে কোন ঘোর যদি কিছু থেকে থাকে তো তা এই মনুষ্য সমাজ যেটা মান্ধাতার আমল থেকে ঝুলছে হাজার খানেক অভিযোগ ও আক্রোশের বাণ বুকে নিয়ে অপঘাতে জ্যান্ত লাশ হয়ে।।

হিংস্র লোভী জানোয়ার মন নিয়ে মেরেই যাচ্ছে কখনো নিজেকে আবার কখনো রাজনৈতিক কৌশল লাগিয়ে তার ঘ্রাণে মন্ত্রমুগ্ধ অর্থ আত্মসাৎ করে।। আর নিজের খুব কাছের জন কে আঁতে ঘা মেরে ষড়যন্ত্রের চক্রব্যূহ এর গোপন অন্ধগৃহকোণে রেখে শাস্তি দিয়ে যেখানে শয়ে শয়ে নিরীহ আত্মা রোজ কুশপুতুলের মতন পুড়ছে জতুগৃহের অনলে ন্যায় পাবার প্রতীক্ষায় কবে থেকে সকলের বিবেক জাগ্রত হবে বলে।।।।। 

        পাঁচমোড়া লেনে পাঁচমিশালী নৈঃশব্দ্য যাপনে দশটা পাঁচটা লোকাল ট্রেনের কালো মাথা ক অক্ষর ভুলে রক্তমাংসে রোজ দিচ্ছে শুক্রাণু ও বীর্যের নিপাট চিত্রনাট্যের উলঙ্গ কালাশৌচ ধর্ষণ এর ইতিকথা।।।‌

রক্তবীজ একটু করে দিন গুণে সেঁধিয়ে ঢুকছে অন্তর্বাসে ঝুলন্ত উদ্যানে আর অভিশপ্ত আত্মহত্যায় ঝুলন্ত দেহ নিষ্পাপ হবার পরেও আত্মগ্লানির শনি গ্রহদোষে পচে গলে জীবন্ত লাশ হয়েই থেকে গেছে চুপটি করে লক্ষ্মী মেয়ের মতন প্রকৃত অন্ধপতিতা জীবন পাপ সিঁথিতে ভরে টইটম্বুর রসালো মর্তমান কলার অজন্মাভ্রূণ গর্ভে নিয়ে।। অকালহত্যার বাঁশ সেঁধিয়ে ঢুকছে মস্তিষ্ক এর গর্ভগৃহে যেখানে হতে লেগেছে সেই একঘেঁয়ে যজ্ঞ দীপাবলী পার্বণ লৌকিকতায় আর আমার কালী কে উলঙ্গ দৃষ্টিকোণে চেটে গিলে এক নগ্নিকা প্রণয় অপভ্রংশ সহজাত অধ্যায় করে এবং সঙ্গমের মানসিক কুরুচিকর প্রবৃত্তি গ্রহণে অবলীলায় খিস্তী মেরে ছোকরা দল শুধুই ছোটলোকের গালি দিয়ে বলে উঠে তোকে চুদতে চাই শুধু দে দেখিনি গতর দে মাগী অনেক হয়েছে।। সত্যিই ছি ছি এটাই আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে এ জীবন পূর্ণ করো তার আসল অভিব্যক্তির পাঠ।।।। 

এটাই তোমাদের চিরাচরিত আলোর ভেকদশা ও কালীর কৌমার্য হরণ রাজপথের অভিমানী কানাগলি হৃদয় সরসী অধ্যায়।।।। 

রক্তজবায় পুংকেশরে গুপ্ত শিরচ্ছেদ পরাগরেণুর সৌগন্ধ ছাড়া মায়ের আলতা রাঙা আলাপনে ভূমিতে লুটায় রজঃস্বলা নারীর আঁচল।।।।। 

অকালকুষ্মান্ড মন সারাজীবন অমাবস্যা শোষণ করে রক্তাক্ত স্রোতের জোয়ারে প্রমাণ দিয়েই যেতে থাকে যে সে এখনো মরে নেই জীবন কিছুটা এখনো বাকি আছে।। নিঃশ্বাসে নিজের মতন করে বাঁচতে তাই পঞ্চভূতের ধুলো ঝেরে অপাপবিদ্ধ ঘ্রাণে মারীচমাতালনৈশ বাঁশ বাগানে চন্দ্রের ঘোরে এখনো সে সবকিছু ভুলে থেকে যেতে চায় বাঁশির মুগ্ধশরমের ঈপ্সিতকালের ঘোরে।। উপোসী রাশিচক্রে কুন্ডলিনী জাগরণে চন্ডকাম ত্যাগে ঊরুশোণিত হাড়হিম রাত্রিকে জড়িয়ে নিজের করে আঁকড়ে ধরে।।।। 

সেখানেই তার পবিত্র পুরুষালী ঔরসে হবে পুনর্জন্ম সহাবস্থান শোকের উন্মীলিত ক্ষুধার তৃপ্তি ও কোজাগরী পার্বণ।।।।।

##মায়ের পায়ে জবা হয়ে হোক না ফুটে মন

##তার গন্ধ না থাক যা আছে তা 

##নয় রে ভূআলাপন



আশ্চর্য খোলস##বিশ্লেষণ##সুপ্রীতি বর্মন

 



আশ্চর্য খোলস


সায়ন্তনী ভট্টাচার্য 


((চন্দ্রগ্রহণ পত্রিকায় প্রকাশিত)) 


চন্দ্রমুখী এক্সক্লুসিভ 


((প্রকাশিত শ্রীময়ী দর্পণ)) 


শিরোনাম:


Poetry Inscription Soliloquy Intimacy 


৫....সম্পূর্ণ বিষাদের ভোর, আষাঢ়ের গ্লানি নিয়ে জেগে উঠছে 


ইলেকট্রিক তার থেকে নিভে নিভে ঝুলে পড়ছে বিদ্যুৎ 


আর আমার অসুখের হাহাকার কিছুতেই কমছে না।। 


অসুখ দেখতে এসো চেঁচিয়ে বলছি, ঘাসজমি চেয়ে আছে লাঙলের ফলায়।। 


যমুনার ঢেউ পিঠে ধাক্কা মারছে

খুলি উপড়ে দিচ্ছে আর আর্তনাদে বিরক্ত হয়ে এইমাত্র ট্রামলাইন দুমড়ে মুচড়ে দিলো পাগল।। 


কী উদাসীন হয়ে আছে, 

কী অসহ্য ধৈর্য হয়ে আছে বৈশাখী ঝড়।।

কাক খুঁটে খাচ্ছে ময়লা, খুঁটে খাচ্ছে শরীর।। 


আমি হন্যে হয়ে খুঁজে চলেছি তাকে, যাকে দিয়ে যাবো আমার রান্নার খাতা, আমার বিনুনী বাঁধার ঢং।।


ত্বকের শ্যাওলা নিয়ে, জরুল ও মেচেতা নিয়ে আমার এই খোঁজ আর ফুরোচ্ছে না।। 


সমস্ত উৎসব আগুন হয়ে আছে, পাঁজর তুলে রাখছি হিমঘরে।। 


##বিশ্লেষণ


##(( কাকবন্ধ্যা শুষ্ক জমিন বিষাদাগ্নির ঝুলে পড়া বিদ্যুতে দুমড়ানো মুচড়ানো অস্তিত্বে লেগেছে অসুখের হাহাকার।।

         অসহ্য ধৈর্য এর বৈশাখী ঝড়ের ঔদাসীন্য জরুল ও মেচেতার গহ্বরে ভারাক্রান্ত ত্বকের সংস্পর্শে আজ যেন উৎসব অনাসক্তির আগুন হয়ে জ্বলছে তবুও হাড় হিম করা অনিশ্চয়তার প্রহরে আমার খোঁজ ফুরোচ্ছে না কিছুতেই।।)) 


৬.....কয়েকশো কোটি ঈশ্বর নিয়ে বসে আছি মাথায়

চোখের পাতায় আর বুকের খাঁচায় সেলাই করছি পাখি

আর সে এক রাক্ষস এসে গুলিয়ে দিচ্ছে হিসেব-নিকেশ।। 


নিজেকে হত্যা করবো বলে কুঠার উঠিয়েছি, দাবানল জুড়েছি বুকে, দাউদাউ অস্তাচল আর ঘোরের দুপুরগুলো খোলামেলা বিছিয়েছে লাশ।।


আমার‌ই খিদে খিদে পাপ, রোজ রোজ চোরাবালি ঝাঁপ। অনন্ত প্রদীপ আমি জ্বালাতে পেরেছি মাঝরাতে???? 


আমার ঈশ্বরকণা নিয়ে সে রোজ খেলা করে, বাঁচায় ও মারে।।

মৃত্যু সাক্ষাতে কী ভীষণ দস্যিপনা করে আমার খোলসে সে তলোয়ার দেয়।। 


শুধু অগ্নি জ্বলে থাকে নিভৃত আশায়, মাথা পুড়ে যায় আর মন পুড়ে যায়।। 


##বিশ্লেষণ


##(( পরব্রহ্ম অন্তরসত্য ঈশ্বরকণায় অন্তর্লীন হয়ে থাকা অস্তিত্বের কোরক।।

সামঞ্জস্য এর সংগ্রামে টানাপোড়েনের হিসেব নিকেশ গুলিয়ে যায় দশচক্রে যখন চোরাবালির ঝাঁপে জীবন্ত লাশ দেহ কোনভাবে মৃত্যু এর সাক্ষাৎ পায়।। 

          তবুও প্রখর আস্তিকতায় অগ্নিরূপা আশা সদা তার জাজ্বল্যমান ক্ষুধায় ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকে ঈশ্বরের অস্তিত্বকে মাথায় নিয়ে স্বীকার করে যে সে আছে।। ))


৭....আমি কী ফুরিয়ে গেছি মুহূর্ত এর অসতর্কতায়, ভাঙন ধরেছে কড়িকাঠে।। 


শুধু এক কাঙাল রাখাল পিলসুজে রেখেছে আলো, দুর্নিবার আত্মদহন।। 


কিছু কিছু বজ্রপাত মুঠোয় বন্দি করে পালিয়েছি বেদম আকাশে।। 


ভেসে যায় মহাকাল মাসে বন্যা বন্যা ঘোর, আমার দ্বাপর-কলি,প্রখর।।


আমি কী ফুরিয়ে যাই ভালোবাসাপুরে???? 

শহর রঙিন করে ভেল্কিবাজ হেঁটে যায় দূরে।। 

পিছু পিছু আমিও স্যাঙাত।। 

সুতো দিয়ে মন টেনে টেনে চাঁদে চাঁদে বেঁধে দেয় আজ।। 


তেষ্টায় শান দেয়।। 

পেরেক ডুবিয়ে দেয় ভূমির গভীরে।। 


মাটি চুরি করে তার সংসার গড়ে

আমি কী ফুরিয়ে যাই তার এই বেঁচে থাকা নাভির দুপুরে???? 

তার এই বাতাসিয়া ভোরে????


##বিশ্লেষণ 


##(( মুহূর্ত এর অসতর্কতার ভাঙনে যখন মুক্তি ফুরিয়ে যায় তখন প্রখর আত্মদহনে অস্তিত্ব পুড়তে থাকে কাঙাল রাখালের প্রেমের পিলসুজে।। 

       প্রেমিকার অবশ্যম্ভাবী পরিণতি ফুরিয়ে যাওয়া নাভিদগ্ধ নিঃসঙ্গ দুপুরে যখন কৌশলে চুরি হয়ে যায় তার অলক্ষ্যে সংসারের মাটি আর তার থেকে অপরের আখের গোছানোর নিত্যতার ভর সূত্র সংস্থাপিত হয় পেরেকের ডুবে যাওয়া যন্ত্রণা নিয়ে মাটির শরীরে।। 

         যদি সহ্য ও সহনশীলতার উর্ধ্বে হয় সেই অসম্ভব সমীকরণ প্রত্যাশার তখন সে সব চুলায় দিয়ে অপরিণামদর্শী বজ্রপাত কে কঠিন মুঠোয় আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখতে চায় আপ্রাণ চেষ্টায় যাতে কঠোর ও দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হতে পারে তার অস্তিত্ব।। 

            তবুও ছ্যাঁচড়ার মতন সে সুযোগ পেলেই সব ভুলে ছুটে চলে তার পিছু পিছু স্যাঙাতের মতন নিজেকে ফুরিয়ে দিতে সেই রঙিন নেশা বিক্রি করা ভেল্কিবাজের কাছে।। 

সেখানেই রয়েছে তার উচ্ছন্নে চলে যাওয়ার ইচ্ছামৃত্যু বা মরণ।। 


৮.....আঁচলে বেঁধেছি যত ঢেউ, যত দুঃখজল

গড়িয়ে পড়া কান্না থেকে তুলে নিয়েছি আলো, শহরের পর্যাপ্ত বিকেল।। 


অসমাপ্ত দিনে আমাদের‌ও ক্লান্তিবোধ হয়।। 

আমরাও আষাঢ়ের শেষে কোনারক মন্দিরে এলে, নামিয়ে আনি যক্ষ যক্ষ রাত।। 


কীভাবে যে নেমে আসে ঠোঁটে ঠোঁট 

কীভাবে যে টেনে ধরে বেণী

আমাদের গর্ভ গর্ভ খেলা 

ছলছল ধুয়ে মুছে সাফসুতরো বেলা।। 


দেওয়ালে আটকে আছি, পাথর চিতোনো 

আর আছে শ্যাম-মোহ তার, বাঘনখ থেকে তার ঢের বেশি ধার

ছিঁড়ে যাচ্ছে সুর।। 

আমি তার প্রখর দুপুর।। 


##বিশ্লেষণ 


##(( রমণীয় আঁচলে সংযমী প্রখর দুপুরের রৌদ্রদগ্ধ ঘাম উদ্বিগ্ন ঢেউ কঠোর হয়ে বেঁধে রেখেছে সে তবুও বার বার টেনে হিঁচড়ে চলতে থাকা যা হোক করে এই অসমাপ্ত শূন্যতার জীবনের কোনারক চক্রের গতিশীলতায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছে তার অবসাদের ক্ষয়াটে পাঁজরের ক্লান্তিবোধ।। 

          তবুও সে সকল কিছু কে অগ্রাহ্য করে কোন অস্পৃশ্য যক্ষ রাত উজাগর থাকে তার আত্মস্থ ক্ষুধার অশরীরী কিংবা প্রেতযোনি।। তার গর্ভ গর্ভ খেলায় সে সর্বক্ষণ নিমগ্ন।।

তখন সঙ্গম শুদ্ধিস্নানের স্রোত আছড়ে পড়ে পাথর চিতোনো স্থবিরতায় সেই নিষ্প্রাণ পার্থিব শরীরে যার মগ্নচৈতন্যে শুধু থাকে শ্যাম মোহ ঘোর।। ))

আশ্চর্য খোলস##বিশ্লেষণ## সুপ্রীতি বর্মন

 


আশ্চর্য খোলস


সায়ন্তনী ভট্টাচার্য 


((চন্দ্রগ্রহণ পত্রিকায় প্রকাশিত)) 


চন্দ্রমুখী এক্সক্লুসিভ 


((প্রকাশিত শ্রীময়ী দর্পণ)) 


শিরোনাম: 


Poetry Inscription Soliloquy Intimacy


১....রাত বাড়লে আমার অসহায়তা বাড়ে


ছুটির জন্য লম্বা লম্বা রাস্তা এঁকে ফেলি


রেণু কুড়িয়ে নিতে উবু হয়ে বসে যায়

দর্জি-মানুষেরা


জুড়ে জুড়ে গর্ভ তৈরি করে 

আর আমি দৌড়াতে দৌড়াতে দেখি টানা গদ্যের পথ 

ক্রমশ কেমন ছোট হয়ে আসে


রাত বাড়লে বাঘের শিরায় চনমন করে ওঠে ভয়। পাপড়ি পুড়ে যায় বলে ছটফট করে ফুলেরা। 


সমাধি তে শুয়ে খোলা আকাশ। 

পৃথিবীর এসব হাড়-পাঁজর গুঁড়ো করে বেঁচেবর্তে থাকা। 


##বিশ্লেষণ


##((নৈঃশব্দ্য যাপন)) 


২....মাঠের মাঝে জেগে থাকা ঘুম ঘুম গাছ


ধরো ফুটফুটে তারা আঁকা আকাশে লাঙল চালিয়েছে সে এক মস্ত পাগলা


আমাদের বিছানার ছাদ ঘুণে ধরা

কুঁচকে আসছে দেওয়াল

পলেস্তারা-বোধ নিয়ে ত্বকে ঘষে নিচ্ছি নবীন কোন‌ও ত্বক। শরীর-ভাবনা। 

     

      ধরো আমি সেই অরুণ দুপুরে নিজেকে রাঙিয়ে নিয়ে দুর্ভাবনা তুলে দিচ্ছি তোমার হাতে। 


হাতের কাঁপন খুব। এ ভার স‌ইবে কী করে? 


##বিশ্লেষণ


##((কাল্পনিক চিত্রনাট্য এর র‌‌ঙমশাল)) 


৩....ক্ষত নিয়ে তুবড়ে থাকি মহাকাল

এ ক্ষত কে আমি বলি কাঙাল পাঁজর 


আমাকে সে আত্রেয়ী নদী বলে ডাকে


তার নৌকা উল্টে রাখে

পরাগ একত্র করে বন্ধু-বিকেল গড়ে তুলি


ধাক্কা প্রপাত নেমে আসে 

চিত হয়ে সাঁতার কাটে দিন


গলা পিচ, ফালি সাঁকো, কিছু কানাগলি এইটুকুই আশ্রয় আমার।। 


আমার‌ই অন্নভোগে ভরে থাকি, আমিই পৃথিবী।।

শস্যে শস্যে জেগে থাকে ক্ষয় 

সমস্ত ছোঁয়ার দিনে তুমুল গর্ভবোধ হয়।। 


তোরঙ্গে তুলে রাখি আশ্চর্য খোলস। 

কতশত দিন কেটে যায়, সেসব কী অপচয়?? 

অপচয় নয়?? 


##বিশ্লেষণ 


##((ভাঙা গড়া আশ্চর্য খোলসের আড়ালে আক্ষেপের দ্যোতনা ও প্রশ্নবোধক অস্তিত্ব নির্মাণের কৌশল)) 


৪.....অপেক্ষার ছায়া আছে, ঢলে পড়া ছায়া?? ঝাঁপিয়ে নেমেছে বৃষ্টি আর অপেক্ষা সেই বৃষ্টি তে মিশে গিয়ে নদীর তেষ্টার কাছে হলো নৌকো-বীজ।। 


এমন তীব্র দিনে এসব আকুল-বোধ বাঁচিয়ে রেখে ছলাৎছল অমৃত-তর্পণ


দ্যাখো ঘরদোর, ভাতের হাঁড়ি শুধু ফিরে আসা চাইছে।। 


আসলে ফিরে আসা একটা মিথ।। 

ফসল কাটার পর মাঠের সমাধির দিকে চেয়ে তোমার‌ও মনে হতে পারে দুয়ারখানি শিকল তোলা, মেঝেতে পা রাখলেই ধসে যেতে পারে অস্তিত্ব।। 


ঢেউ শিরায় শিরায় পৌঁছে যাচ্ছে, পালঙ্কে পৌঁছে যাচ্ছে।। 


তার‌ও তো বালির লোভ হয়, তার‌ও তো চাই ডুবে যাওয়া মাস্তুল, ঘোর।। 


##বিশ্লেষণ 


##(( ধ্বংসাত্মক অগ্নিমান্দ্য দুরন্ত উদ্বিগ্নতার অস্তিত্বের কোলাহলে অপ্রত্যাশিত চাহিদা ফিরে আসা ছলাৎছল যেন এক অমৃত-তর্পণ কালাশৌচ))

পাকীজা কৌশিকী হ্যাংলা আলতা রাঙা চরণ## সুপ্রীতি বর্মন


 

পাকীজা কৌশিকী হ্যাংলা আলতা রাঙাচরণ


অঘোরতান্ত্রিক শোক চন্ডালিনী


ভূতচতুর্দশপদী 


সুপ্রীতি বর্মন




প্রত্নতাত্ত্বিক প্রথাগত বৈবাহিক বন্ধন এ আটকে পড়ে থাকা এক উদ্বিগ্ন কাছছাড়া মানসিক বৈকল্য এর স্বামী তার পরিণয়ে পাশে থাকা চন্ডালিনী কে খোঁজে অষ্টপ্রহর কৃষ্ণকলি তার স্বৈরাচারী হাহাকারে আলতা রাঙা পদশৃঙ্খলে স্বামীর বক্ষে রাত্রিকে অগস্ত্য তৃষ্ণা করে তোলে এই বিনিদ্র ঘনঘোর রজনী।।।।। এদিকে রাজকীয় অভিমানে স্বামীর বক্ষপিঞ্জরের কঙ্কালিতলায় চৌচির জরাজীর্ণ চাঁদ ক্রমশ ভুগে যেতে থাকে পুনরুদ্ধার করার সম্ভোগের সম্ভাবনায় তবুও স্বামী দিবারাত্রি মাথার দিব্যি দিয়ে নিজের পুরষ্টু কমন্ডুল গচ্ছিত রেখে তোমার একমাত্র সম্পত্তি করে তোমার কাছে আঁতুড়ঘরে।।।।।তার স্ত্রীয়াচারের শেকড় বাকড়ের নিয়মের শৃঙ্খলে রমণীয় আলতা রাঙা চরণে নুপূরের নিক্বণ শুনে যায় এক অঘোরতান্ত্রিক মায়াবনবিহারিণীর খোঁজে যাকে সে নিজের করে পেতে চায় তার খুব কাছে।।।।।। 

ওদিকে স্বামী সোহাগের উচ্ছন্নে মাটি থেকে অনেক দূরে আঁতুড়ঘরে লেগেছে খুশীর

হাট।।।।।স্বামী আদিত্যের তখন ছটফটানি ছায়া যে নেই পড়িমড়ি পাশে পাশে সাহচর্যে সাংসারিক কার্যে সবটাই ঘাড়ে মাথায় জগদ্দল পাথর একলা একার শ্মশান তবুও আলতা রাঙা চরণের ভ্রমিল কাঞ্চনকামিনীর কাঞ্চনজঙ্ঘায় নেই কোন বিষাদগ্রস্থ কাঙালিনী মেঘ যে অকালবর্ষণে ঝরতে চাইবে আমার হৃদমাঝারে আড়ালে আবডালে।।।।।।এক বন্ধ্যা উষর মরুপ্রান্তর জেগে উঠে তখন বুকের পাটায় আর শোক ও জরা কামড়াকামড়ি উলোপালি করে উলটপুরাণে আমাকে গার্হস্থ্য পাঠ শেখায় একলা থেকে যাবার।।।। ওদিকে যখন ভাবি সে চাইলেই তো আমাকে একবারটি থথেথাম পক্ষের উড়ানে কাছে ডেকে নিতে পারতো নিজের করে লাজলজ্জাত্রিশূল সংযম বিভ্রম ছেড়ে তাহলেই তো এই কৈমাছকাঁটাকীলক ছাল যন্ত্রণা ভোগ কিছুটা হলেও কমতো।।।।পরক্ষণেই তখন মনে প্রশ্ন জাগে আচ্ছা তার কী মনে প্রাণে তার এতোটুকু দয়ামায়া নেই নিজের স্বামীর প্রতি।।।।।। 

এই কী তবে সংসারের নিয়ম নিক্তিনিপাট্যনীতি নির্ধারণ শ্লোকপাঠ।।।।। 

কোথা থেকে এর উৎপত্তি আর কী হলো এর ঐরাবতের পায়ের তলায় চাপা পড়া ভারি ভারি প্রস্তরীভূত শাস্ত্রযোগ্য অন্তর্নিহিত অর্থ শুধু চলে আসছে আর চলতে থাকবে এমনটা  অভিজ্ঞানে চালিয়ে নিয়ে যেতে থাকা পরগাছা  ভ্রমে আপাদমস্তক উগরানোর যন্ত্রণা বহন।।।। 




সে কী সব মাথা চিবিয়ে খেয়ে বসে আছে জানুসন্ধি চিরে যেতে থেকে সে পৌরুষের ঔরস গেছে একেবারেই ভুলে যে আঁতুড়ঘরে তাকে একলা ছেড়ে আমার কী প্রাপ্তি হলো শুধু এক নতুন আগত প্রজন্ম গার্হস্থ্য আশ্রম এর এক পর্যায়ে কিন্তু তোমাকে কাছছাড়া রেখে দিবারাত্রি ঐকান্তিক মোহ এ পাগল হয়ে জরাগ্রস্ত জমাট বাঁধা রক্ততঞ্চনে তোমার রক্তজবা শুষে আমার প্রতীক্ষার কালঘামের ঊণকোটি চৌষট্টি স্বর্ণ‌আভা গলে গলে পড়ে আমার লিঙ্গ তোমাকে ছাড়া অধঃক্ষেপ এক অর্ধেক মনোমালিন্য এর হারাম গৃহকোণ।।। ‌‌

তোমার আলতা রাঙা চরণের নিক্বণের অঙ্গারে মল্লিকার নৃত্যনাটিকার তুমুল বর্ষণে জড়াজড়ি হরাহরি হলাহল ভাগে ভাগ রিক্ত কিংবা শূন্যতার হরণ।।।।।।তাই রিরংসায় তোমার চিবুকে যখন ছুঁয়ে দিতে চায় আমার অসীম দূরত্বের আগ্রহের উৎকন্ঠায় শুকিয়ে যাওয়া কাঠগ্রীবা ও উদ্বিগ্ন‌উৎকোচলালিত্যরমণওষ্ঠের সমর্পণ তোমার হৈচৈ আড়ম্বর অকালকুষ্মান্ড জরোয়ার অলংকৃত ঝুমকো তখন কেমন করে যেন ব্যর্থতার শ্রমভস্মের দাহপ্রপাতে ঝলসে উঠে যৌবনের ভ্রমরকৌটো যেখানে তোমাকে চিরকালের জন্য সংরক্ষণ করতে চায় বিধিবদ্ধ নিয়ম নীতি ত্যাগ করে।।।।। পুরুষালী বহ্নিশিখার অন্তর্দহনে যাতে শুধু জেগে থাকবে আমার পুরুষালি সৌষ্ঠব আগ্রহকান্তিরমণ ক্ষরণ ঘুমন্ত জাগরণ এক অলিক ভ্রমিল সুধা।।।। 

   কিন্তু দূরে দেখা যায় এক পাগল চন্ডালিনীর আক্রোশে হাড়হিমমজ্জামাটি সৌদামিনী যার কেলেঙ্কারির অভিযোগ এর নিক্বণে সংসারের ভিটেমাটির শিকড় উচ্ছেদ করে এক আত্মহত্যার প্ররোচনায় এগিয়ে যেতে থাকা দুটি দীর্ঘসূত্রী চরণের উপাখ্যান।।।।।

নয় তা নিছক কাকতালীয় কাকডাকা ভোর আমার স্বামীত্বের নাঙ্গা হাড়ে কাঁপন ঘটে যাওয়া অশনি সংকেত তখন টের পেয়েছি অর্ঘ্য তোমার স্ত্রী আচারের জ্বলন্ত কুসুমকুমারীর অকাল শ্রাবণ ক্ষুধার্ত শমন।।।।

যে তোমাকে সখী করে একদিন প্রাণপনে চেষ্টায় নিয়ে যেতে চেয়েছিল নিজের করে।।।। 

যেন দুটি আলতা রাঙা চরণ কাছছাড়া হয়ে চলে যেতে চায় সবকিছু তার আঁচলে জড়িয়ে জাপটে ধরে এক ভাস্কর্য এ রুদ্র প্রেমিকার ইন্দ্রপতনে কোন অলৌকিক দ্বৈরথে।।।।।।। মাঝামাঝি তখন ঝুলছে এক চ্যালাকাঠ আমার স্বামীত্বের সমীকরণের মাঝে অসমাপ্ত মিলন তবুও আজকের দিনে এই অর্গলহীন আনন্দে নেচে উঠতে গিয়েও অপারগ এক স্বামীর মন পিতৃত্বকে জ্যান্ত তর্পণে অপার্থিব জগতে দূরে ঠেলে দিয়ে শুধু তোমাকে নিজের করে কাছে পেতে চায় আরেকবার সব ভুলে।।।।।। 

কারণ এতোদিন ধরে ঐ আলতা রাঙা চরণ আমার কাছটি থেকে থাকবে অনেক দূরে এক গোপন আঁতুড়ঘর এর অন্ধকারে এই যাতনা যে আর সয় না।।।।।। 

স‌ইবো তা কেমন করে এক স্বামী হয়ে।।।





সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০

কৌমার্য গীটার: সুপ্রীতি বর্মন


 

Editorial Note,,,,,,


কৌমার্য গীটার 


Picture Illustration,,,,, 


সুপ্রীতি বর্মন





(( এখন অনেক রাত তুমি বুকের ভিতর ফাটছো ধীরে ধীরে)) 




ব্যর্থ ক্রোধে যখন খোলা শার্টে উন্মুক্ত 

আমার পুরুষালি লোমশ বক্ষ

তখন তুমি কেমন করে ক্লান্ত চরণে 

সমর্পণ করে আঁকড়ে ধরো আমাকে

তোমার স্তন্যে যখন নগ্ন দুই ঠোঁটে কামড়াই শিশুর মতন

তখন উথলিয়ে উঠে দুধসমুদ্র

পাঁজর ভাঙা আঁকড়া দিনে যখন

রুগ্ন গান ছোবল মারতে চায় 

তখন তোমার নখের আঁচড় দুরন্ত অশ্বখুরে হাতড়ায় আমার পিঠের পরে 

নিতে চায় প্রশ্রয়

কাঠফাটা গর্ভিণী রমণী রোদ।।

গিটারের তার খুঁজে যাই পাগল হয়ে আমি

তোমার পিঠের চামরে

জংধরা বিবস্ত্র সেই তার তাই বাজাতে গিয়ে আমার শ্বাসরোধ গলা শুকিয়ে কাঠ।।

শীতলপাটি বুকে তোমার ঢলে পড়া সূর্যাস্তের কামড়ে দেওয়া নগ্নঠোঁটের শীৎকারে

আমার ব্যাঘ্রনখ আরো বেশী উদ্বিগ্ন হয়ে উৎকীর্ণ লিপি করতে চায় খামচে ধরে 

ঐ কাছিমের মতন তোমার উল্টানো পিঠে

সুর উঠে না গোধূলি জর্জর অসুখমোড়া রাতে

তাল যায় ছিন্নপত্রে গড়িয়ে।।

আমি বশ্যতা স্বীকারে অনীহায় থাকা এক সৈনিক রণক্ষেত্রে

আঁচড়াতে থাকি আর তত আমার নিঃসঙ্গ চোয়ালে পড়ে টান 

আমি অন্ধকারে হাতড়াই অমাবস্যার চাঁদ

তাই ছেঁড়া তাঁতে ঐ নগ্নকুম্ভীরকাঁখ কে আরো টেনে ধরি জাপটে খোলা বুকের কাছে

পতঝর সরসরাহট মেহেদি খচিত রাঙা দুটো হাতের উদগ্র কামনার ছোঁয়ায় 

আমার পাঁজরতলি ঘিরে নামে সন্ধ্যার কনসার্ট।।

আর পাঁজরগুলো আগুনে পুড়ে উচ্ছিষ্ট হাড়ে গজাতে থাকে তোমার ঐ দংশনে 

দামাল দন্তের স্বরলিপি 

দুমড়ে মুচড়ে জেগে উঠতে চায় প্রখর খরায় এক দরিয়ায় সম্ভোগের সুর

কিন্তু মাঝির বজ্রবিদ্যুৎ মুষ্টি তখন আঁকড়ে ধরে ভায়োলিন নিহত কৌমার্য আক্রান্ত রজনিতে।।

আমার বুকের হেম মোমদগ্ধ রাতে গলে যেতে থাকে আর তোমার নাভি নিম্নদেশে তখন গভীর অতীতের পিচ্ছিল খাদ

নীচে নামতে বড় ভয় ভয় লাগে যদি তোমাকে হারিয়ে ফেলি 

তাই অস্বীকার করা প্রত্যাখানের ঘ্যোৎ ঘ্যোৎ বুনো শুয়োরের গর্জন তোমাকে করতে চাই না একদম কাছছাড়া 

নখের আঁচড় ও দুরন্ত অসভ্যতা আরো চাগাড় দিয়ে ওঠে আমার পুরানো ক্ষুধা।।

শীর্ণ আমার শরীর গুটিয়ে যেন তখন খোলামেলা শার্টে তোমার স্তনদুগ্ধে মুখ গুঁজে পড়ে থাকা কোন শিশু 

চুষেই চলেছে দিনরাত্রি চোখ বুজে।। মণিকর্ণিকার ঘাটে বীর্যকল্লোলে তখন সপ্তম সুরের ঝংকারের ঝড় 

উথলিপাথালি আঁচড়ায় তোমার পিঠের পিয়ানোর রেশমি ফাঁসের বন্ধনী 

কন্ঠসংলগ্ন চোষক স্বরথলি অগাধ ভরাট মাংসল স্বরের উজান গাঙে অপভ্রংশ 

আলজিভে প্রখর তৃষ্ণায় তোমার সিঁথির সিঁদুর এর প্রশ্রয় শুধু আমিই দিতে চেয়েছি

যত‌ই উঠুক উন্মাদ জোয়ারের ঝড়।।

তবুও তোমার ঐ অজগরের রোষে অভিমানে আটকে থাকা 

কাঁকড়া চাঁদের জরোয়ার ঝুমকা আমার কন্ঠ আঁকড়ে ধরে থাকে 

তাই শ্বাস নিতে তখন খুব কষ্ট হয়

স্বর বের হয়না স্বরবর্ণ কোথায় অজ্ঞাতবাসে

শুধু মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে

তোমার শিকড়ের সঙ্গমে ক্লান্ত বিশ্রামে এক পরাজিত গায়ক।।

পরাধীন ভোরে আমি আর জাগতে চাই না

যখন দেখি ম্রিয়মাণ মোর ছায়া পথভ্রষ্ট 

নষ্ট আঁধারে মুখ গুঁজে কাঁদে

ঈশ্বরীর নৈবেদ্য থেকে সে সম্পূর্ণ রূপে পরিত্যক্ত অবহেলিত 

এই রাতেই সে আনতে চায় নগ্ন পাগলকরা জ্যোৎস্না।।




রতির কামদেবের পঞ্চবাণের সুর ললিত যাম

আমার বক্ষের উপোসি চিতা-বৈরী-বহ্নিবিষে 

যখন তোমার শরীর টলোমলো তালে ধুনুচি নৃত্যের ঘোরে ঊরুশোণিত কাঁপনে গড়িয়ে যায়

তখন আমার শীতল শোণিত শঙ্খশুভ্রহংসবৃন্তের ডাকে 

তোমাকে আলগা করে জড়িয়ে ধরে সামলাই নাভিমই কস্তুরীরমণমাঠে

আমাকে গ্রহণ করো তুমি 

তুমি আমার বুকের ভেতর ফাটছো ধীরে ধীরে।।

নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের অগ্নিমান্দ্য দুরন্ত ঝাঁপ

যতো উদ্বিগ্ন হয়ে সময়ের কাঁটার দীর্ঘায়িত সুকল্যাণ বাহু কামড়ে কামড়ে খাই

তত সেই অগ্নিশ্বাস ধুম্রলোচন ঘনঘটা 

স্বরের পাকচক্রে দলাইমালাই চালে সৃষ্টি করে নতুন স্বরলগ্ন 

আঁচড়ে আঁচড়ে পিঠের প্রান্তরে

নির্বাসনে জটাজুট জমাট শিলা ছিল 

এতকাল ধরে তোমার রাতজাগা চুলে

পিঠের উপর ছড়ানো উন্মুক্ত কেশরাশি মৃগতৃষ্ণা।।

আজ আমার আঙুলের ক্ষিপ্র চলনে কেশে অঙ্গুলিহেলনে জেগে উঠে মেঘমল্লার

নচ্ছার রোগের সুর ছিঁড়ে আনতে চায় 

তোমার মধুপ ক্লান্ত রণস্বামীকে 

যাতে সে নতুন করে ফেনায়িত দ্রাক্ষারসে 

শামোসেহের জাগাতে পারে নায়ি নবিলী কোই দুলহন কী সোহাগ রাত 

আঁখো কী শামসীর কী রাগ 

তিসরি মঞ্জিল

ত্রিযামার মঞ্জীর কঙ্কন কাঁপন।।




অনুপ্রেরণায় ছবি সৌজন্যে,,,,, 


((শুভায়ুর রহমান এর Facebook Story Line পোস্ট)) 

জুতোর শুকতলা ক্ষয়াটে বেকার##সুপ্রীতি বর্মন

 


Mascara


(( A new style segment of Chandramukhi)),,,,,



সুপ্রীতি বর্মন,,,,, 




জুতোর শুকতলা একদা ছিল ক্ষয়াটে বেকার স্বর্ণালী যৌবনে হেটে খেটে খৈ উড়ানো চালে ছুটানো অশ্ব,,,,,

অপ্রতিদ্বন্দ্বী অশ্বের দৌড়,,,,, 

আজ যেন মড়ক লাগা ছোঁয়াচে ছৌনাচের মুখোশে মুখ গুঁজে থাকা গৃহস্থালি অচেনা তুমি,,,,,

শুধুমাত্র তোমার অন্ধগৃহে আবদ্ধ শোকে,,,, সাইকেল সিটের আরামপ্রদ গদি অপ্রচলিত লকডাউনে গৃহকাতর শোকে ওলটপালট এখন ছেঁড়া ছেঁড়া,,,, 

নেই কোন যত্ন ভয়ে আড়ষ্ট পিলে গেছে চমকে মেরামতের ঝুপড়িতে পড়েছে চিরতরে প্রয়াণে প্রেক্ষাগৃহের পর্দা,,,,,,

চিলচিৎকার আড্ডার মধুরেন কলকাকলি সমাপয়েৎ,,,,,

গেরস্থালির ছাদ হয়েছে কমলাভোগ প্রাঙ্গণ 

ক্রিকেটের টোয়েন্টি টোয়েন্টি ম্যাচের 

গ্রাফিক্স  ডিজিটাল প্লেগ্রাউন্ড,,,,,

এখানে আরাম ঠিক যেন কোন ক্ষণস্থায়ী কর্পূর সংক্রামণের মিতব্যয়িতার শোকে।।

ঝুপ ঝুপ করে তাই রেফারির অশনি শীৎকারে আর করবো না কর না কর না ডাক ছাড়ে,,,,, 

ওরে খোকা ফিরে আয় জুতোজোড়া ছেড়ে রেখে বাড়ির চৌকাঠে,,,,,,

না হলেই হয়ে যাবি নিশ্চিহ্ন ফ্রেমের দড়িতে ঝোলা কোন স্মৃতিচিহ্ন,,,,,

শ্রদ্ধার্ঘ্য নিতে আমার পকেট তখন হবে পিতৃঋণে ভার,,,,,

ঝুলন্ত শব থরে থরে বাদুড়ঝোলা বিবাগী ধূসর বিস্তীর্ণ বাঁধাধরা আছোলা বাঁশ মৃত্যু উপত্যকায় নিয়েছে শরণ,,,,, 

স্নেহার্ঘ নিতে সদা যে পোড়ামুখী জীবন উন্মুখ, স্পর্শযোগ্য দূরত্বের আকাল দংশন।।

না হলেই তৎসম আইনি প্যাঁচার নখরাঘাত ক্যালানো উদোম খোলা হাড়বজ্জাতের পিঠে আঠারো ঘা আঁচড়,,,,, 

কালশিটের পদক্ষেপ নাগরিক চুয়াড় ক্ষিধেয় জরায়ুর ফাটা কাঁসর আর্তনাদ গ্রহণ,,,,,,




পাগলে কি না বলে ছাগলে কি না খায় কম্পাসকাঁটার বিচক্ষণতায় বন্দী দৃষ্টিকোণ,,, 

কিন্তু সেই পাগল যখন ব‌ইয়ের পাতায়

বিনা তটস্থ বিদ্যায় না মাথা ঘামিয়ে

দর্শনের কথা বলে জনস্বার্থে প্রচারিত 

অমূল্য তথ্য প্রজ্ঞাপারমিতায়,,,,,

তোমরা জনগণছাগ উভচরী প্রলাপে খায় না মাথায় দেয় কে জানে,,,,, 

ক্ষুধার্ত কঙ্কালের মতন মৃত্যুর ঝরাপাতা হয়ে 

আড়মোড়া ভাঙে যখন শমনের আড়াআড়ি চোখ,,,,,

তোমরা উচ্চশিক্ষিত সমাজ বিনা বাক্যব্যায়ে সেই পাতা চিবায় ও উগরায় যখন ফাঁদে পড়ে বগা কান্দে,,,, 

নিজ স্বার্থ সিদ্ধি অন্বেষণে কারণ চাগাড় দিয়েছে তখন তার জন্মের ডাক,,, 

বাঁচতে যে হবেই হবে তোকে ।।

যখন থাকে না কোন ফাঁকফোকড় গাঁটে গাঁটে বাত

জুতোর তলায় মাড়িয়ে যাওয়া নেই কোন ধুলোর সম্রাটের বালাই চাল,,,,

তখন মুদ্রাদোষে রাতদুপুরে ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস নিশাচর ভ্রমণ তার লুকোচুরি শৈশব,,,, 

কিন্তু দিনে দুপুরে তখন নেই কোন ভ্রূক্ষেপ তার দুশ্চিন্তার ডাকাতি,,,, 

কারণ সবাই এখন আনকোরা জুতো পায়ে শয়নে শিথানে শিলান্যাসে গৃহবন্দীর কামড়ানো চাদর,,,,




সবাই এখন সংযমী ঋষি হয়ে যাও##সুপ্রীতি বর্মন

 


Mascara (A new style segment of Chandramukhi),,,,, 


সুপ্রীতি বর্মন,,,,,, 


সবাই এখন সংযমী ঋষি হয়ে যাও,,,, 

যাজ্ঞবল্ক্য ঋষি বিল্বপত্রম নীলকন্ঠে আদ্যন্ত শুল্ক যাপন শ্লোক পুরাণের পুঁথি ছিঁড়ে খড়কুটো কুঁড়েঘরে ক্ষৌরকর্ম দাওয়ায় বসে,,,

নেই কোন উপায় চিবুক থেকে পুরুষালি লোমশ বুকে সিংহের কেশর ঝুলিয়ে,,,,, স্ত্রীয়াচারের মোরগ ঝুঁটি আঁকড়ে হয়ে যাও মিতব্যয়িতার সঞ্চয়ে সন্ন্যাসী,,,, 

হয়ে যাও সাময়িক বিরতি পূর্ণচ্ছেদ সংসার আশ্রম হতে 

বৈরীতায় রুক্ষ সূক্ষ আটপৌরে অরণ্যে লেগেছে গ্রহণ,,,,,,

বানপ্রস্থ যাপন বাটপারি চোরের উপর 

গার্হস্থ্য আশ্রম কিংকর্তব্যবিমূঢ় ক্ষয়রোপণ,,,,,,

অজাতশ্মশ্রু ভালো ছিল এই এঁচোড়ে পাকা কলুর বলদের ঘানি টানা এককাঁদি চুল দাড়ি,,,,

ছোট্ট চড়ুইয়ের বাসায় অজন্মা গিজগিজ খড়কুঁটোর টানাটানিতে মহীরুহ বটের বয়োবৃদ্ধ হোমরাচোমরা গতরে টেকা দায়,,,, 

গুচ্ছ শিকড়ের গ্রন্থিমূলে যখন তখন আদ্যোপান্ত ঘর্ষণ,,,, 

এটাই এখন স্লো মোশনে স্থিরচিত্র নিশ্চল কাকাতুয়ার বুড়ো আংলা মানুষের ফ্যাশন,,,,,,

পুরুষকথার সংসার পুষ্করিণীর ভরাট আতামুখে ক্রন্দন,,,,




Classified News##Editorial Segment##সুপ্রীতি বর্মন

 

((সম্পাদকীয়)) 

সুপ্রীতি বর্মন 


((লকডাউনে ঘরবন্দী নাগরিক সংক্রমণ

শীতঘুমের অজ্ঞাতবাসে মৃত্যুর পরিসংখ্যান 

ক্রমবর্ধমান নাগরিক অবক্ষয়))


Current affairs 

(Editorial segment)

News Collected from News 18 Bangla



পরিণয়ের উত্তরণ একসাথে যাত্রায় সিঁড়ির প্রথম ধাপে যখন আছড়ে পড়েছে মৃত্যুরমণক্রিয়ার শোক,,,,, 


তখন সেই শৈবালের গোছানো চাদরে ঘাটে নোঙরের কাছে পরাজিত বশ্যতায় আত্মসমর্পণ করতে লেগেছে গার্হস্থ্য এর সারি সারি নৌকা যেন তাদের যাত্রা এখন আপাতত স্থগিত আছে আর ঘর থেকে বের হবার কোন প্রয়োজন নেই এখন,,,,, 

এখনো তাদের সময় হয়ে আসেনি দেরি আছে,,,, 


মৃত্যুমিছিলের পরিসংখ্যানে বাড়লো আরো একটি অস্থিচর্মসার মনুষ্য শুধু একটি সংখ্যা,,,,,

এখন তার অস্তিত্ব তখন ঝুরো বালির মতন হয়ে যায় আর পায়ের তলার মাটি চলে যায় এক স্ত্রীর তার মৃত স্বামীকে নিয়ে,,,

অশ্লীল নির্লজ্জতায় তখন হাড়গিলেদের ছায়ার কোরিওগ্রাফির অচল মুদ্রার স্থিরচিত্র চতুষ্পার্শে থেকে তৈরী করে এক শ্বাসরোধকর জমাট অন্ধকারের নির্জনবাস,,,,,


দূরে থেকে দাঁড়িয়ে কেবল পৈশাচিক নাগরিক পতঙ্গ শুকতে থাকে মৃত শরীরে সংক্রামক ব্যাধির লক্ষ্মণ,,,,

সেটা আছে কী নেই তার শরীরে তাও এখন এক জটিল ধাঁধা হয়েই থেকে যায়,,,, 


লকডাউনে যখন শাঁখা পলা ভাঙা অশ্রুশিশির ভোরে ধুয়ে যেতে লেগেছে অভিশপ্ত জাগ্রত বিগ্রহ তবুও কুসংস্কারাচ্ছন্ন লুন্ঠিত চাঁদ ঐ খোলা বুকে আছড়ে পড়ে হয়ে যেতে লেগেছে পুড়ে ছাই,,,,, 

তবুও শোকের জীবাণুর গলাধঃকরণ অসমাপ্ত‌ই থেকে যায়,,,,

এক মায়ের পাথর দৃষ্টি প্রতীক্ষায় উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে থাকে শেষ দেখা ছেলেকে দেখাবার জন্য তার পিতার,,,,,,

প্রয়াণে যে পড়ে আছে অজ্ঞাতবাসে প্রবাসে বিদেশ বিঁভুইয়ে কারণ তার আসা কিংবা তার পিতাকে একবার চোখের শেষ দেখা সবকিছুই এক অজন্মাভ্রূণ শোক একেবারেই অসম্ভব এই লকডাউনে,,,, 


সসাগরা ধরিত্রীর গর্ভে যখন লুটিয়ে পড়েছে এক স্ত্রীর ইচ্ছাশক্তি আর সকল মনস্কাম বৈকল্য হয়ে অস্তাচলে আশ্রয় নিতে লেগেছে শেষ আঁধারটুকু শুষে নিয়ে এই হাঙর সময়ে,,,,, 

তখন পর্ণমোচী সম্পর্ক গাঁটছড়ায় নিজেই নিজের স্কন্ধে তুলে নেয় সে মৃত স্বামীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ভার,,,,,

যেন আজ সেই পরিণয়ের মাল্যদানে আটকে থেকে যায় তখন বিধবার কালবেলা,,,,, 


আটঘাট নেই বাঁধা,,,,,

নেই কোন আয়োজন নেই কোন ভিড়ের জমায়েত হবার প্রয়োজন,,,,

শুধু মৃত্যুপ্রহরীর বাঁশি বেজে যেতে থাকে যে সময় হয়ে গেছে আর বিলম্ব নয় এবার নিয়ে যেতেই হবে মরদেহ বেশিক্ষণ ফেলে রাখতে নেই,,,

নেই কোন বিকল্প সহজাত উপায় এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার,,, 



সময় তখন পক্ষাঘাতে গুটিয়ে মড়কলাগা গাছগাছালি যারা শুধু কাঙাল একটু প্রশান্তির ছায়া পেতে রৌদ্রদগ্ধ রাজকার্য সেরে,,,,

আর মনে মনে চলতে থাকে তখন অভিব্যক্তির সেই এক আচরণ হতাশার ঐ স্ত্রীর তার মৃত স্বামীকে ঘিরে যে আমারো পাশে দাঁড়াবে কেউ আছে হাত বাড়ালেই তাকে ছোঁয়া যায় অমোঘ বিশ্বাসে,,,

কিন্তু সবটাই শূন্য হয়ে যায় নাগরিক শৃঙ্খলে জং ধরা স্বভাবসিদ্ধ আচরণে,,,, 

প্রত্যেকেই প্রায় এই অজ্ঞাতবাসে ভয় ও শঙ্কায় গুটিয়ে থাকা ঘরকুনো এক অপ্রচলিত শ্যাওলা যে শুধু নীরব দর্শকের মতন তাকিয়ে দেখবে কিন্তু কিছু বের হয়ে করতে পারবে না এক অকাল কুষ্মাণ্ড এর মতন প্রতিদিন ধরে এক আচরণ নিয়েই থেকে যাবে তারা তাদের সঙ্কোচনশীল গহ্বরে,,,, 


সর্বরোগহর শোক কামনা যা অর্ধসত্য এক প্রচ্ছদে লুকানো ক্ষণস্থায়ী মগ্নতা শীঘ্রই উড়ে যায় যৌবনের মতন,,,,, 

একদিন চুয়াচন্দন‌আতরস্নিগ্ধ ললাটে ললিতসখ্যপ্রণয়লাস্যে এঁকে দিয়েছিলে তুমি সিঁথির আগুনে গৈরিক গোধুলি সন্ধ্যে,,,, 

এখন তা ক্ষয়াটে পাঁজর দুমড়ে মুচড়ে হাড়কাঠ অগুরুচন্দন তোমার দাহে তাই ভয়ে কাঁটা আমার নিঃসঙ্গ শরীর পাশে কেউ নেই শুধু আত্মস্থ হাহাকার ছাড়া,,,,,

ছেলে থাকতেও সে আসতে পারছে না উত্তরাধিকারী সূত্রে তার জন্মসিদ্ধ প্রায়োগিক অধিকার শেষ কার্য করতে পারার অধিকার সঙ্গে নিয়ে,,,, 


চৌদিকে তখন সেই অসহায় গিরিমাটি চোখ রাঙিয়ে ধ্বসে পড়তে লেগেছে ঝুরোমাটি রূপে তবুও প্রখর সহনশীলতায় ধুমাবতীর বিষাদাগ্নির আঁচল পাতা শেষবারের তরে তার স্বামীকে দেওয়া আশ্রয় শুধু একলা পথে চলা একলা একার অভিজ্ঞতা হয়েই থেকে যায়,,,,

দুহাতের করতলের ভাগ্যরেখায় অঝোর ধারায় শ্রাবণে মুখ লুকানো তার শুষ্ক ঠোঁটের চিৎকারে ডাকে সন্তানের শুশ্রূষা কাছে পাবার জন্য কিন্তু কাউকেই নিজের কাছে আশ্রয় হিসাবে পায় না,,,, 

কিন্তু কালিন্দীর গর্ভে শুধুই জমতে থাকে অদৃষ্টের পরিহাসে পোড়া ছাই এর অজ্ঞাতবাস,,,,, 

বিধাতার উত্তরপুরুষ অসহায় সজলধারা চোখে পাথর দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকে কী করুণ এই মৃত্যুর পর মরদেহের দুর্দশা,,,, 

সসাগরা ধরিত্রীর অসুখ হয়েছে কে জানে কবে আবার সে আরোগ্যলাভ করে সুস্থ হয়ে উঠবে কে জানে,,,, 



তখন হঠাৎ এই মুঠো মুঠো অস্থিভস্মছাই এর মোচ্ছবপ্রাতের দৃশ্য ধরা পড়ে ভিডিও কলের মাধ্যমে স্পর্শযোগ্য দুরত্বে থাকা ছেলের কাছে,,,,, 

ছেলে দেখে একলা একা এক স্ত্রীর যাত্রা অগ্নিশিখার কাজলে জেগে উঠেছে যার অভিজ্ঞান শাস্ত্রনিয়মনীতির এক বিরুদ্ধাচরণ হয়ে,,,, 

নিজেই নিজে আগুন দেয় স্বামীর মুখে,,,, 


নিষিদ্ধ তীর্থক্ষেত্রে তখন জাঁকিয়ে বসতে লেগেছে মৃত্যুর হিমশীতলজমাট বাঁধা অবসাদ,,,,

যেখানে অজ্ঞাতবাসের আদিখ্যেতায় স্পর্শযোগ্য দূরত্বে থাকতে গিয়ে অসহায় হয়ে উঠেছে প্রতিটি মানুষের উপচিকীর্ষার মনন,,, 

অল ক্লিয়ার মরণের আকন্ঠ অগ্নিদাহ শরীর মোক্ষ পাবার চাহিদায় কাছছাড়া তৃষ্ণায় ডুকড়ে কেঁদে ওঠে,,,,, 

হয়ত ঐ মৃত ব্যক্তির মনন ও তার অনুরণন নিঃশর্ত সমর্পণ যে আমার আজকে অন্তিম যাত্রায় কেউ নেই কাছে,,,, 

কিন্তু একদিন আমারো ছিল সব 

ছিল এক সুখী গৃহকোণ আজ সে সকল কিছু রয়েছে কাছছাড়া,,,, 

পৃথিবীর অসুখ করেছে আর সেই অসুখ একদিন ঠিক সেরে যাবে মনে মনে বিধাতার উত্তরপুরুষ কে জানায় সে তার অন্তিম প্রার্থনা,,,,,

যে সকলে যেন ভালো থাকে আর তুমি যেন সবাইকে ভালো রেখো এর থেকে বেশি কিছু চাওয়ার নেই আমার,,,,,


আত্মশ্লাঘার কালো ধোঁয়া কুন্ডলী পাকিয়ে মর্ত্য থেকে সংক্রামিত বিষাক্ত ধরিত্রী ছেড়ে স্বর্গে উঠে খুঁজে নিতে চায় অন্য ঠিকানা নতুন করে,,,, 


আর সেই কালো ধোঁয়ার ছাই ধুমাবতীর শরীরে আঁচল হয়ে জড়িয়ে যেতে থাকে দ্বিতীয়বার পুনর্জন্ম নেবার অসম্ভব প্রত্যাশায়,,,,

সমগ্র শরীর তখন শোকতাপদগ্ধ জ্বর শুষে ছুট লাগিয়েছে আবার নতুন করে পেতে সেই সিঁথির বিষাদ শুভ্রজ্যোৎস্না পাগলকরা উল্লাসের পথে,,,,,

এক পেছনে ফেলে আসা অতীতে কিশোরীর জীবনযাপন,,,,,


রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২০

এভাবেও শোয়া যায়: বিনয় মজুমদার

 


বিনয় মজুমদার,,,,, 


এভাবেও শোয়া যায়,,,,,, 


((নৈঃশব্দ্য সন্ধ্যা এলোকেশী ঈশ্বরী সঙ্গমচন্দ্রিমা চকোর মীনচক্রবৎ ঘূর্ণন

মধুমক্ষিকা জ্যোৎস্না রমণ সঙ্গম

সুধাযাপন নিঃসঙ্গ যন্ত্রণা সঙ্গোপণ ঈশ্বরী 

সর্বান্তঃকরণে সমর্পণ ক্ষুধার নিত্যতা সূত্রে রাঙা সোহাগ অগ্নিমান্দ্য দুরন্ত শোক চরণ

আশ্রয় নির্লিপ্ত যাপনে 

তোমার বক্ষের অনন্ত বিভাজিকায় আমার রাত্রি

আমার মণিকর্ণিকার ঘাট নোঙর ফেলার সংস্থাপন রতি))



বিশ্লেষণী প্রেক্ষাগৃহ 


সঙ্গমসৌন্দর্যচন্দ্র মোহ ((করবাচৌথ)) 


সুপ্রীতি বর্মন


সদ্য সমাপ্ত রমণ কর্মের পর দুটি শঙ্খলাগা শরীর অঙ্গরাগে একে অপরে নির্ভার হয়ে কামকলামুদ্রায় শঙ্খধ্বনি শীৎকারে গর্জে ওঠে,,,,,, 

তন্দ্রাতুর কথোপকথনে সমান্তরাল কর্ষণে রতিযামে সন্নিলগ্ন দুটি শরীর মধ্য রাত্রির যবনিকা খোলা চুলের অরণ্যে শুয়ে থাকে,,,,,, 

মন্দিরের আটচালায় নির্জলা উপবাসে এখন লিঙ্গের অবসর যাপনের এ যেন কেমন করে এক সুকোমল কাল,,,,, 

নরম স্তনের ঊষর মরুভূমি তে স্নিগ্ধ আঙুলের অলস প্রণয় শীতঘুমে জড়াতে চায় দগ্ধ শরীর কে,,,,, 

অকস্মাৎ ঠাহর হয় তলদেশ থেকে নির্গত এই উচ্ছ্বসিত স্রোতস্বিনী,,,,

চুয়ে চুয়ে ভিজিয়ে দিতে লেগেছে প্রখর ধোঁয়া ওঠা রোদ্দুরে তৃষ্ণার্ত শরীর,,,,

যে শরীর অনেক আগেই অভিষিক্ত হয়ে গেছে সিঁদুরের লালে,,,,,,




প্রাগ্রসর উদগ্রীব হৃদয়: বিনয় মজুমদার


 

বিনয় মজুমদার,,,,,,


প্রাগ্রসর উদগ্রীব হৃদয়,,,,, 




((নৈঃশব্দ্য সন্ধ্যা এলোকেশী ঈশ্বরী সঙ্গমচন্দ্রিমা চকোর মীনচক্রবৎ ঘূর্ণন

মধুমক্ষিকা জ্যোৎস্না রমণ সঙ্গম

সুধাযাপন নিঃসঙ্গ যন্ত্রণা সঙ্গোপণ ঈশ্বরী 

সর্বান্তঃকরণে সমর্পণ ক্ষুধার নিত্যতা সূত্রে রাঙা সোহাগ অগ্নিমান্দ্য দুরন্ত শোক চরণ

আশ্রয় নির্লিপ্ত যাপনে 

তোমার বক্ষের অনন্ত বিভাজিকায় আমার রাত্রি

আমার মণিকর্ণিকার ঘাট নোঙর ফেলার সংস্থাপন রতি))



বিশ্লেষণী প্রেক্ষাগৃহ 


সঙ্গমসৌন্দর্যচন্দ্র মোহ (করবাচৌথ)



সুপ্রীতি বর্মন



অভুক্ত শরীরীক্ষুধার যাপনে যখন কালরাত্রি নেমে আসে নাভিকুণ্ড ঘিরে তখন তুমি যেন করপুটে অঞ্জলি দিতে উদ্বিগ্ন ও লালায়িত হয়ে উঠো সকল লজ্জা পরিত্যাগ করে নিরাভরণ হয়ে আমার পদশৃঙ্খলের জোড়ে বিনম্র শির ঝুঁকিয়ে,,,,,

তোমার করপুটে আবেষ্টিত হয়ে আছে আমার সবচেয়ে বড় জাতক কিংবা ঐশ্বর্য অতি লোভনীয় সুমসৃণ মুন্ড যার লেহন তুমি শুরু করে দিলে,,,, 

যত চোষণের মাত্রা দ্বিগুণ ছন্দোবদ্ধ তালে বৃদ্ধি পেতে থাকে তত প্রাগ্রসর হয়ে উদগ্রীব হয়ে উঠে আমার হৃদয় শিহরিত হতে থাকে আমার কায়া,,,,,,

তোমার করপুটে আবেষ্টিত ঐ যাদুদন্ডে তখন তুমি সচল চর্মশিল্পের অনুশীলন করে যেতে থাকো একাগ্রচিত্তে,,,,, 

টানের পর টান কিংবা চামড়া ট্যান দেবার জন্য তোমার নিরলস প্রয়াস একবার উর্ধ্বগতি আর একবার নিম্নগতিতে হতেই থাকে,,,,

আমার হৃদয়কে আরো বেশী করে উদগ্রীব আর শরীর কে টালমাটাল করে দিতে থাকে,,,,,  

তোমার এই করে যাওয়া অহর্নিশি প্রয়াস,,,, 

তোমার পাকাপোক্ত কৌশলে ও নৈপুণ্যে বেশি করে যাদুদন্ড যেন রসের গাগরে ভারি হয়ে যেতে থাকে,,,,,, 



ওদিকে তোমার রূপে ও রসের আমন্ত্রণ এর নেশায় আর তুমি যেভাবে নিজের কলাবতী মুদ্রাযাপনে উত্তাল করে দিয়েছো আমায়,,,, আমিও তোমার উন্মুক্ত উষ্ণীষ রোমের মায়াজালে কাতর হয়ে বন্দী হয়ে একমনে চেটে যেতে থাকি ঘ্রাণময় বিভক্ত লেগুন,,,,

যেন কেমন এক অঘোরতান্ত্রিক তৃষ্ণা আমার কাটতেই চায় না কিছুতেই,,,, 

তাই চেটে যেতে থাকি অনর্গল নেশায় কোন এক তৃষ্ণার্ত সর্পের মতন,,,,



আমার তখন মতিভ্রম ঘটে যায় তোমার জাদুর ঘোরে যে আমার মনে হয় তোমার ঐ কুচনিপীড়নে লালাভ সুডৌল প্রবাল বলয় যেন সুগভীরে নেমে এসে ক্ষুদ্র সমুদ্র কে বিশাল করে দিয়েছে,,,,,, 

যাতে আমি জল খাচ্ছি ডুবছি উঠছি কিংবা থৈ না পেয়ে অকালপ্লাবনে ভাসতে বসেছি,,,,, আচ্ছা ঐটা কী তোমার সেই বাঁধানো জোড়া পলা রক্তিম সোহাগে আজ রক্তাক্ত আধিভৌতিক প্রবাল বলয় হয়ে বিবাহের চৌকসে নিয়মে আমাকে চুম্বনে চুম্বনে শ্বাসরুদ্ধ করে তুলতে লেগেছে,,,,



তাতে তোমার মতি বিপরীতে চলে যায়,,,, 

তুমি ক্রোধান্বিত হয়ে আমাকে ভুল বুঝে আমার মুখ দেখবে না বলে বিপরীত দিকে ঘুরে যাও,,,, 

কিন্তু কাঁটা কম্পাসের মতন জিওমেট্রি বক্সের আমার লক্ষ্যমাত্রা কিংবা গন্তব্যস্থান শুধু তুমি শুধু তোমাকেই কেন্দ্র করে,,,,, 

তাই আমি তোমার প্রতি রাগ বিদ্বেষ সব রূপরেখা পরিত্যাগে মৌখিক অনুরাগে প্রণয়িনীর স্ফীত নিতম্ব জড়িয়ে শুয়ে থাকি পেছন থেকে আর অবশ্য তুমিও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী ন‌ও,,,,,




প্রিয়তমা ত্রিশূলী পাহাড়: বিনয় মজুমদার


 

বিনয় মজুমদার,,,,,,


প্রিয়তমা ত্রিশূলীপাহাড়,,,,, 




((নৈঃশব্দ্য সন্ধ্যা এলোকেশী ঈশ্বরী সঙ্গমচন্দ্রিমা চকোর মীনচক্রবৎ ঘূর্ণন

মধুমক্ষিকা জ্যোৎস্না রমণ সঙ্গম

সুধাযাপন নিঃসঙ্গ যন্ত্রণা সঙ্গোপণ ঈশ্বরী 

সর্বান্তঃকরণে সমর্পণ ক্ষুধার নিত্যতা সূত্রে রাঙা সোহাগ অগ্নিমান্দ্য দুরন্ত শোক চরণ

আশ্রয় নির্লিপ্ত যাপনে 

তোমার বক্ষের অনন্ত বিভাজিকায় আমার রাত্রি

আমার মণিকর্ণিকার ঘাট নোঙর ফেলার সংস্থাপন রতি))



বিশ্লেষণী প্রেক্ষাগৃহ 


সঙ্গমসৌন্দর্যচন্দ্র মোহ (করবাচৌথ)


সুপ্রীতি বর্মন





প্রিয়তমা তোমাকে মাঝে মধ্যে ত্রিশূলী পাহাড় বলে মনে হয় যার উত্তুঙ্গ চূড়া,,,,,

ইতিমধ্যে অকালবর্ষণ শুরু হয়ে গেছে,,,,, 

অরণ্যানী ঘন আগাছা মূলরোম কর্ষণে প্রায় সিক্ত বনের পথ,,,,, 

সেরকম স্নিগ্ধ ও বর্ষণসিক্ত অরণ্য তার গুপ্ত দৃঢ় কৃতাঞ্জলিপুটে চায় আমন্ত্রিত অতিথিকে,,, 

যাতে সে একটু স্থায়িত্ব কিংবা সংযমের কাঠিন্য পায় নিজের অস্তিত্ব কে সংরক্ষণ করার জন্য,,,, 



অন্যদিকে গিরিগুহা কিংবা গিরিখাত,,,,

কার পবিত্র অঞ্জলির নিষ্ঠীবন এ সিক্ত হয়ে গেছে যে তা অভ্যর্থনার জন্য উদগ্রীব হয়ে উন্মুখ ভাবে পথ চেয়ে বসে আছে সেই কবে থেকে,,,,,

এদিকে তখন মহাপ্রলয়ের নাচনে মহেশ্বর ক্ষিপ্র স্বামী সতীকে হারিয়ে ফেলার শোকে ও সন্ত্রাসে সবকিছু সৃষ্টি চিরকালের জন্য ধ্বংস করার উল্লাসে অশ্রুবর্ষণে গলাধঃকরণে প্রবল আঘাতে শেষে পাহাড় নাচাতে থাকে,,,, 

তাদের প্রণয় চিরকাল পিছল প্রণয়,,,,, 

ছন্দে ছন্দে নেচে যায় আর প্রণয় একটা সন্ধির মতন প্রাত্যহিক অঙ্গ উপাঙ্গে সন্ধির সমীকরণ এর মতন দৃঢ় বন্ধনে সন্নিলগ্ন হয়ে জুড়ে যায় জন্মের পর জন্ম,,,,, 



অবশেষে পিছল প্রণয়ের রসস্রাবের বর্ষণে সিক্ত ও তৃপ্ত গিরিখাতপথে দলে দলে বহির্গত কণা কণা তীর্থযাত্রী চলতে থাকে অন্তরের দিকে,,,, 

এই ঘন প্রেমের বর্ষণ নিজেই স্বয়ংসম্পূর্ণ সৃষ্টির কারুকার্য বিমূর্ত ঈশ্বরীর একান্ত নিজের,,,, 

এর কোন বিকল্প কোনদিন ছিল না আর হবেও না,,,,




অনেক সুখের গল্প: বিনয় মজুমদার

 


বিনয় মজুমদার,,,,,


অনেক সুখের গল্প,,,,,, 



((নৈঃশব্দ্য সন্ধ্যা এলোকেশী ঈশ্বরী সঙ্গমচন্দ্রিমা চকোর মীনচক্রবৎ ঘূর্ণন

মধুমক্ষিকা জ্যোৎস্না রমণ সঙ্গম

সুধাযাপন নিঃসঙ্গ যন্ত্রণা সঙ্গোপণ ঈশ্বরী 

সর্বান্তঃকরণে সমর্পণ ক্ষুধার নিত্যতা সূত্রে রাঙা সোহাগ অগ্নিমান্দ্য দুরন্ত শোক চরণ

আশ্রয় নির্লিপ্ত যাপনে 

তোমার বক্ষের অনন্ত বিভাজিকায় আমার রাত্রি

আমার মণিকর্ণিকার ঘাট নোঙর ফেলার সংস্থাপন রতি))



বিশ্লেষণী প্রেক্ষাগৃহ 


সঙ্গমসৌন্দর্যচন্দ্র মোহ ((করবাচৌথ)) 


সুপ্রীতি বর্মন





এক কিশোরী বালিকার মতন অবুঝ মনস্তত্ত্বে তুমি উঠতে চাইলে আমার উপরের দিকে প্রগাঢ় ইচ্ছার আবদারে ও জেদে পড়ে আমার নাগরদোলায়,,,,, 

আমি চাইলেই তোমাকে নিরন্তর বুঝিয়ে নিবৃত্ত করতে পারতাম কিন্তু সত্যিই জানো আমি তা মন থেকে চাইনি,,,,,

আমি চেয়েছিলাম তোমার ঐ দামাল দস্যিপনা উপভোগ করতে দর্শনের সুখ নিতে অনির্বচনীয় কীর্তিভেদে,,,,, 

তাই তোমার ইচ্ছার আবদার রাখতে শায়িত হলাম তোমার নীচে আর যাবতীয় কর্মভার দিলাম সাথে অধিকার আমার শরীরের তোমাকে,,,,,,

সব তোমার তুমি যা ইচ্ছা যেমন ইচ্ছে তেমন করো আমার কোন আপত্তি নেই,,,,,, 



দেখলাম তুমি কেমন অবুঝ শিশুর মতন সেই অতি দৃঢ় যাদুদন্ড মধুমাখা অতিকায় আঙুলের মতন যেন কোন ললিপপের মতন ক্রমাগত চুষে চলো আয়াসে চুষেই যেতে থাকো যেন আজ সেটার ক্ষয় হয়ে সকল রস শোষণ না করা পর্যন্ত তুমি থামবেই না,,,,, একবার যখন হাতের নাগালে পেয়েছো,,,, আর কী সেটা ছাড়তে চাও,,,,, 



হঠাৎ আমার দর্শন আগুনে ফাগুন হয়ে এক বিধ্বংসী অগ্ন্যুৎপাত এর প্রলয় নাচন হয়ে যায় কিন্তু তার দর্শন অধিকতর সুন্দর ও অনির্বচনীয়,,,,, 

তোমার রক্তযোনিপুট লালায়িত হয়ে রমণ‌উল্লাসে ঢেঁকির মতন মন্থনে উদগ্রীব হয়ে দ্রুতবেগে ক্রমাগত উঠে আর নামে,,,,, উর্বশীর ক্লান্তিহীন রমণনৃত্যে মিলনের দুরন্ত শ্বাস ও প্রশ্বাসের নিক্বণে লিপ্সাময় নীরব স্তনযুগল রাজোচিত আভূষণে সকল ভারবহনে শান্ত সমাহিত সমর্পণের অঙ্গীকারে নিজ কক্ষপথে দ্রুতবেগে একবার উঠে আর একবার নামে,,,,

উঠে আর নামে ক্লান্তিহীন ভাবে,,,,,, 

অনন্ত তার চলন ও গমন,,,, 



তখন স্পষ্ট দর্শনীয় যে এতক্ষণ ধরে যে দন্ডগাত্র নিপীড়িত কিংবা ঘর্ষিত হল সেই আর্ত দন্ডগাত্র আদৌ পীড়িত বা কষ্ট পায়নি বরং সে হাসতে লেগেছে পরম তৃপ্তির আনন্দে দিব্য ক্লেদে তার সর্বাঙ্গ আঠালো ও সিক্ত কিংবা রাগে ও অনুরাগের রসে মাখামাখি হয়ে গেছে,,,,,

কী পরম সুখ আত্মতৃপ্তি রমণ একান্ত নির্লিপ্ত ক্ষণ,,,,





প্রিয়তমা, তোমার আমার: বিনয় মজুমদার

 



বিনয় মজুমদার,,,,,

প্রিয়তমা, তোমার আমার,,,,, 



((নৈঃশব্দ্য সন্ধ্যা এলোকেশী ঈশ্বরী সঙ্গমচন্দ্রিমা চকোর মীনচক্রবৎ ঘূর্ণন
মধুমক্ষিকা জ্যোৎস্না রমণ সঙ্গম
সুধাযাপন নিঃসঙ্গ যন্ত্রণা সঙ্গোপণ ঈশ্বরী 
সর্বান্তঃকরণে সমর্পণ ক্ষুধার নিত্যতা সূত্রে রাঙা সোহাগ অগ্নিমান্দ্য দুরন্ত শোক চরণ
আশ্রয় নির্লিপ্ত যাপনে 
তোমার বক্ষের অনন্ত বিভাজিকায় আমার রাত্রি
আমার মণিকর্ণিকার ঘাট নোঙর ফেলার সংস্থাপন রতি))


বিশ্লেষণী প্রেক্ষাগৃহ 

সঙ্গমসৌন্দর্যচন্দ্র মোহ ((করবাচৌথ)) 

সুপ্রীতি বর্মন



ঈশ্বরী আমি তোমার রাজ রাজেশ্বর,,,,, তোমার স্বামী,,,, 
তোমার ঐকান্তিক প্রিয় আবার তোমার কায়াকল্পের একান্ত অধীশ্বর,,,, 
তাই তোমার যাবতীয় চাওয়া পাওয়া আমাকে কেন্দ্র করে,,,,, 

তোমার আবদার ঐ প্রকান্ড এবং কোমল উত্তুঙ্গ তৃপ্তির স্বাদ চাও,,,, 
তোমার অতিষ্ঠ ঈপ্সা তোমাকে কিছুতেই শান্তি দিতে চায় না,,,, 
বক্ষের উপর চেপে বসা মহিষা পাহাড়ের যন্ত্রণায় তুমি কাতর হয়ে উঠো আর উদগ্রীব নয়নে কস্তুরী নাভি সুবাসে আমাকে সম্মোহিত করে বাধ্য করো বিব্রত করে তোলো,,,, 
যাতে আমি আরো বেশী করে চেষ্টা করি তোমাকে একটু সুখ দিতে,,,,,
কিন্তু ঈশ্বরী তোমাকেও তো মাঝে মধ্যে আমার পরিস্থিতি বুঝতে হবে,,,, 
দেখো আমি ও তো একজন মানুষ যে খুব একা,,,, 
পৃথক পৃথক ভাবে কর্তব্য সম্পন্ন করি একা,,,, কিছু কিছু যা পারি তাই তো দিয়ে থাকি আমি,,,,, 
তুমি কেন তাও বোঝো না বা বুঝতেই চাও না,,,,, 
কত কিছু করি দেখো একে একে মিলিয়ে সেই পরিসংখ্যান,,,,,, 
উত্তুঙ্গ চূড়া একযোগে করে চুম্বনমদ্যপান করতে থাকি আকন্ঠ পিপাসিত চরণে,,,,,
তৃষ্ণা যেন মিটতেই চায় না কিছুতেই,,,,, 
কিংবা তোমার প্রবালগুচ্ছের মাঝে আমার আঙুলের নিরিবিলি সন্ধানী আদরে যাতে তোমার শিহরণ জাগে আর পুলকরাগে উন্মাদিত হয়ে উঠে তোমার শরীর,,,, 
কিন্তু এ সবকিছুই যেন ব্যর্থ প্রয়াস,,,, 
কিছুতেই তোমার তৃপ্তি আসতে চায় না,,,, 
তুমি অশান্ত হয়েই থেকে যাও,,,, 


তারপর তুমি যখন সর্বংসহা হয়ে শায়িত হয়ে থাকো তোমার শরীরের অধীশ্বর করে আমাকে,,,,,,
নিজেকে আমার হাতে ছেড়ে দিয়ে,,,, 
তখন আমি পরম নিশ্চিন্তে ও নিরাপদ আশ্রয়ে তোমাকে রেখে তোমার কুচ নিপীড়ন থেকে শুরু করে একযোগে আরো প্রবল রমণে নাচি আনন্দ নৃত্যের দ্বৈত্যতায়,,,,, 
আমার মনে হয় তখন ঠিক তখনি সহসমীকরণের মতন প্রয়াসে প্রকৃতপক্ষে উচ্ছ্বসিত সমাধান আসে,,,, 
সাথে এক অনিন্দ্য সুন্দর চমকপ্লাবিত তৃপ্তি আসে,,,,, 
যেটা আমি একার উদ্যোগ ও চেষ্টায় যাই করি না কেন কিছুতেই আসতে চায় না সেই আত্মতৃপ্তি বোধ সেই সুখশান্তিসঙ্গম,,,, 
আর সেইকারণেই বোধহয় তুমি মন ক্ষুন্ন হয়ে থাকো তৃপ্তি পাও না কিছুতেই,,,,,



দুজনের অতি ব্যক্তিগত: বিনয় মজুমদার

 


বিনয় মজুমদার,,,,, 


কবিতা: দুজনের অতি ব্যক্তিগত,,,,,, 



((নৈঃশব্দ্য সন্ধ্যা এলোকেশী ঈশ্বরী সঙ্গমচন্দ্রিমা চকোর মীনচক্রবৎ ঘূর্ণন

মধুমক্ষিকা জ্যোৎস্না রমণ সঙ্গম

সুধাযাপন নিঃসঙ্গ যন্ত্রণা সঙ্গোপণ ঈশ্বরী 

সর্বান্তঃকরণে সমর্পণ ক্ষুধার নিত্যতা সূত্রে রাঙা সোহাগ অগ্নিমান্দ্য দুরন্ত শোক চরণ

আশ্রয় নির্লিপ্ত যাপনে 

তোমার বক্ষের অনন্ত বিভাজিকায় আমার রাত্রি

আমার মণিকর্ণিকার ঘাট নোঙর ফেলার সংস্থাপন রতি))



বিশ্লেষণী প্রেক্ষাগৃহ 


সঙ্গমসৌন্দর্যচন্দ্র মোহ ((করবাচৌথ)) 


সুপ্রীতি বর্মন




যখন গ্রহের ফেরে ও কপালদোষে অপভ্রংশ হয়ে যায় জৈবিক চাহিদা ও জীবনযাপন বাধ্য হয় কঠোর হতে,,,,

তখন রূঢ় আলিঙ্গনে থেকে যায় শিথিল কোমলতার স্পর্শ সুখ,,,,,

পাঁজরগুলো দুশ্চিন্তার জটে পাকানো আত্মদহনের অগ্নিতে ভস্মীভূত হতে থেকে ধোঁয়ার সাথে তোমার ওষ্ঠে মিলিয়ে যেতে থাকে,,,,, 

তবে এক্ষেত্রে আমার নেশা কিছু আলাদা বৈচিত্র্যময় সঙ্গম তোমার সাথে আমার,,,, 



বিশ্বাস করো এই অনুরক্ত হয়ে যাওয়া তোমার,,,, 

আমার বুকে নির্ভয়ে শুয়ে রতিস্নিগ্ধ কবচে দিয়ে যেতে থাকো অবচ্ছিন্ন সঙ্গম,,,,

যদিও তা সম্ভব নয় দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হ‌ওয়া কারণ অবিশ্রান্ত লাঙলকর্ষণে ঘাম ঝরতে থাকে দেহে,,,,,

পুরুষালি সহ্য শক্তিতে ঘুণ ধরায় ক্লান্তি যা সুন্দর কন্ঠলগ্ন বিরতি টানে আলপথে,,,,,

তুমি যেন আরো বেশী আঁকড়ে ধরো আমায়,,,,, 



নিঃস্ব ও নিঃসঙ্গ যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যখন এই শীর্ণকায় শরীর লুকাতে লেগেছিল তোমার কোলের কাছে এই বোধে যে আমার আজ কিছু নেই,,,,, 

তখন আমার আশ্চর্য লাগে তোমার শিথিল কোমলতার মতন আমার বুকের উপর শুয়ে থাকা নির্ভার ও নির্ভয়ে যেন তোমার একমাত্র ঈশ্বর আমি শুধু আমি,,,,,

তখন সেই পরমার্থ জ্ঞান নিশ্চয়তা পেয়ে আমি আত্মতৃপ্তি পাই,,,, 



তখন কেমন করে যেন সকল বোধের ভিতর রতি রক্তিমতা দিয়ে প্রীতি বোধে আসক্তি জেগে উঠে,,,, 

অনীহার ঝুলে থাকা বিষাদের কালো মেঘ সরে গিয়ে সঙ্গমক্রিয়া সব কার্য সম্পাদন করে,,,,

আমরা শুধু অক্লেশে আত্মসমর্পণে তার কাছে হাতের পুতুল হয়ে আজমাইশ হতে থাকি,,,,,,




দ্বৈত পারিবারিকতা: বিনয় মজুমদার

 



বিনয় মজুমদার,,,,,, 

দ্বৈত পারিবারিকতা,,,, 


((নৈঃশব্দ্য সন্ধ্যা এলোকেশী ঈশ্বরী সঙ্গমচন্দ্রিমা চকোর মীনচক্রবৎ ঘূর্ণন
মধুমক্ষিকা জ্যোৎস্না রমণ সঙ্গম
সুধাযাপন নিঃসঙ্গ যন্ত্রণা সঙ্গোপণ ঈশ্বরী 
সর্বান্তঃকরণে সমর্পণ ক্ষুধার নিত্যতা সূত্রে রাঙা সোহাগ অগ্নিমান্দ্য দুরন্ত শোক চরণ
আশ্রয় নির্লিপ্ত যাপনে 
তোমার বক্ষের অনন্ত বিভাজিকায় আমার রাত্রি
আমার মণিকর্ণিকার ঘাট নোঙর ফেলার সংস্থাপন রতি))


বিশ্লেষণী প্রেক্ষাগৃহ 

সঙ্গমসৌন্দর্যচন্দ্র মোহ ((করবাচৌথ)) 

সুপ্রীতি বর্মন



কাকচক্ষু জ্যোৎস্না যখন নিঃসঙ্গ নিকষ অন্ধকার অমাবস্যার মতন বক্ষের মাঝে জগদ্দল পাথরের স্থবিরতার মতন চেপে বসতে থাকে,,,,,
তোমাকে কাছে না পেয়ে ছটফট করে আত্মহত্যার জটে পাকানো শিকড় কামড়ে ধরে তখন এই জীবনযাত্রা বহন অসহনীয় হয়ে যায় তার জন্য অন্তহীন সঙ্গমের প্রয়োজন,,,,, 
সকল জড়ত্ব ভেদ করে সরস আশ্বাস ও নিরাপত্তা বোধ নিয়ে আসতে যাতে করে অভিশপ্ত জীবন উপভোগ্য হয়,,,,, 


সেই কারণের জন্য অনেক ঋণ প্রয়োজন তোমাকে  নিজের করে কিছু দেওয়ার থেকে,,,, 
যাতে তুমি পরিশোধ করে দিতে চাও অতিষ্ঠ ঈপ্সা রেখে আমাকে আপ্যায়ন করে,,,,   
কিন্তু তুমি রূপে গুণে এক রমণমালিকা যেন এক অপরূপ ঐশ্বর্য চাঁদ,,,,
তাই তোমাকে হাতের মুঠোয় করে নিজের কাছে পেতে গেলে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সাধ্য সাধনার প্রয়োজন,,,,,, 
এই নীরব বিশ্ব অক্ষম সবকিছু নিষ্প্রয়োজন,,,,,,
শুধু তুমিই আমার একমাত্র যক্ষের ধন,,,, কোনকিছুর সাথে আমার প্রয়োজন নিছক অপ্রাসঙ্গিক এখন,,,,


তাই তোমাকে পুলকরাগে নিজের খুব কাছে যেচে পেতে চেয়ে উন্মাদিত করার প্রচেষ্টায় থাকি,,,, 
সব রকম সম্পদ দিয়ে তোমাকে উত্তাল করে রাখি,,,,, 
আমার শুধু একটাই চাহিদা কালঘাম ছোটানোর শেষে যে তুমি নিজে থেকে উদ্যোগ নিয়ে ও অতিষ্ঠ ঈপ্সায় প্রচন্ড ভয়াল করে ঠাপ নিতে চাও শুধু আমার কাছ থেকে,,,,, 


তখন বিনিসুতো শীর্ণশরীরী মালার এই প্রণয়ের গাঁটছোলায় তোমার চারপাশে প্রশান্তির শীতল আশ্বাসে বীর্যের আঠালো ঘ্রাণে এক মনোহরা তীব্র সঙ্গমের মদনোচ্ছ্বাসে মদ্যপের নৈশিল ঘোরের বাতাবরণ সৃষ্টি হবে,,,,, 
যা আমাকে শিথিল কোমলতা দিয়ে সঙ্গোপণে নিমজ্জিত করবে,,,,,
শুধু এইটুকুই আমার চাওয়া কিংবা পাওয়া বলতে পারো আর তো কিছুই চাই না আমি তোমার কাছে,,,,,,,




বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০

চক্ষুকর্ণের বিবাদভঞ্জন (সুপ্রীতি বর্মন)

 


বিজয়া দশমী ((সম্পাদকীয়)) 


চক্ষুকর্ণের বিবাদভঞ্জন


দুর্গে দুর্গতিনাশিনী 


কাঞ্চনবর্ণেই কৃষ্ণবর্ণা 


আদ্যাশক্তির রূপান্তরকামী


((Controversial issues arising from this structure of Goddess for leaving the conventional structure of Durga)) 



সুপ্রীতি বর্মন


Editorial Segment 


((Philosophical Interpretation)) 



বক্ষের পাঁজরভাঙা প্রত্যাশায় ঠোঁটের আজন্মপালিত মা মা ডাকেও রাত্রির নৈঃশব্দ্য ভাঙতেই চায় না কিছুতেই।। শিমুলতুলোর অন্তঃসারশূন্য কাঙালি শরীর আছাড়িপাছাড়ি করে হাঁকে ক্ষুধার্ত হাঁ এ এবং চিবুকের পূর্ণচ্ছেদের লালিত্যে যে মা তুই কেন আমাকে ছেড়ে চলে গেলি জন্মের মতন এক মহাপ্রলয় ঘটিয়ে আমার আকাঙ্খার দরদালানে যেখানে আমি অন্ধ ভক্ত হয়েই বসে আছি তোর চির সনাতনী কালো রূপের মোহে।।।।সেই কৃষ্ণবর্ণা রূপায় আমার ক্লান্ত হিজল অজস্র ঝুরি নামিয়ে তপস্যার শুধু তাকেই মগ্নচৈতন্যে জড়িয়ে জাপটে ধরে রেখেছে নিজের কাছে কুক্ষিগত করে।।।। আমার অস্তিত্বের সঙ্কোচনশীল গহ্বরের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ ও আক্রোশে সেখানে তাই তোর তপ্ত কাঞ্চনবর্ণা ধরা দিতেই চায়নি কারণ আমিই হয়তো ছিলাম সম্পূর্ণ রূপে দৃষ্টিকোণের শাপদগ্ধ খিলান ভাঙা অচ্ছুৎ পিপাসায় জরান্ধ হয়ে তোর কালো রূপের মোহে ।।।।।। 

মৈনাক অন্ধত্ব যেন ভর করেছিল আলতা রাঙা প্ররোচনায় অর্ধ‌উন্মাদ তোর পাগল ছেলে সেই অনূঢ়া কুসুম সেই পদ্মরাগ মনি কুমারী কে নতুন করে চিনে উঠতে পারেনি আমার অন্তরে যে লুকিয়ে ছিল দীর্ঘকাল ধরে।।।।। 

তোকে শুধু নিজের সর্বস্বপণ করে ধরে রাখা সংরক্ষণ করার আভিজাত্য অহংকার আলস্যে কোন এক সপ্তডিঙা হয়ে ছিলাম আমি এই পার্থিব মন্দিরের ভগ্ন চৌকাঠে প্রতীক্ষায় এক অতন্দ্র প্রহরায়।।।।।

তোর আসল স্বরূপ কী তাকে খুঁজতে না চেয়ে যা দেখে আসছি যা বুঝেছি সেই অবশিষ্টের উচ্ছিষ্ট যাপনে থেকে গেছি তাই আমার অজান্তেই রাতের লাস্যময়ী বিভঙ্গে নাভিপদ্মে জেগে উঠা কুমারী কে চিনে উঠতে পারিনি যে সেই আসলে তোর বিশ্বজননী রূপংদেহির অন্তরসত্য ছিল।।।। পুরুষোত্তম শরীরের অভ্রান্ত ভ্রূণাধারে জেগে উঠে এক প্রখর নিঃসঙ্গ অসুখ ও যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ যার আড়ালে প্রহর ভাঙছে তার‌ই স্পর্ধায় থাকা অশ্রুধারার আষাঢ়স্য মেঘে অশরীরী আগুন যে সে কিছুতেই তোকে ছেড়ে অপর কোন দেবী কে অঞ্জলি দিয়ে পুজো করতেই চায় না ।।।।।।

পার্থিব দাহ্য ধুলো শরীরের অগ্রাহ্য করা সত্তায় বলে উঠে সে চরম তাচ্ছিল্য এর চিৎকারে রগরগে ছাগলতাড়ানির সোহাগের বর্ষণে যেখানে চুপটি করে পয়মন্তী কুমারী অজ্ঞাতসারে লুকিয়ে আছে তার খুব কাছের পুত্রের স্নেহে যে "তুই কী চক্ষুকর্ণের মাথা খেয়ে বসে আছিস মা,, 

আমি যে এতো করে তোকে ডেকে যাচ্ছি বুঝে উঠতে পারছিস না"।।।।। 

"কেন তুই মা আমাকে ছেড়ে জন্মের মতন পগার পার হয়ে চলে গেলি,,

এক মা হয়ে তোর যতো আদিখ্যেতা আমি কেন সহ্য করে যাবো বল"?????

সন্তান ও মায়ের দেখা ও দেখায় কিংবা আলো ও আলেয়া এর এক রূপান্তরকামী জীবাশ্ম দেহে মধ্যবর্তী এক অদৃশ্য ও কঠোর দেওয়াল এর জন্মজন্মান্তর সংঘর্ষের প্রাচীর হয়ে থেকে গেছে এই মা ও ছেলের সম্পর্ক চিরাচরিত প্রথায়।।।।।।





পরিযায়ী শ্রমিকের অকর্মণ্য জীবন যাপনের যান্ত্রিকতার কোলাহলে শীর্ণ পাটকাঠি শরীরের লাঙল পীড়নে উপেক্ষিত দীর্ঘশ্বাসে রুগ্ন পায়ের পাতা কোনদিন কী প্রতিষ্ঠিত দৈবী কায়ায় জেগে উঠতে পারে লৌকিকতার নিষ্প্রাণ প্রস্তররমণী রূপে?????

তাই শুধু শুধু আর স্তনসন্ধির শাড়ির আটপৌরে খুঁটের আঁচল ফেলে রমণীয়শৈলীলাবণ্যময়ীর‌ঐন্দ্রিলার অপরাজেয় ক্ষিপ্র চালে নিরুদ্বেগ লৌকিকতায় আর ধরতে চায় না ত্রিশূল অসুরের বক্ষ বিদীর্ণ করে ঐতিহ্যময়ীর সেই মান্ধাতার আমল থেকে দিয়ে আসা উপরিউপর আঘাত তার জমকালো জাঁকিয়ে বসা ঐশ্বর্যের ঘামতেল আম্রস্তনের কাঁচামিঠে রোদ্দুর পৌরুষের ঘ্রাণে কনককাঞ্চনা হয়ে।।।।।

এবার তবে বছর ঘুরে এক জাহ্নবীর পুণ্যিপুকুর পুরুষ্টু কমন্ডুলের ক্ষিধে না মিটাতে থেকে এক শিল্পীর শৈল্পিক ক্ষুধার মধুমক্ষিকার স্তুতি কিংবা স্তোত্র ও শ্লোকপ্রেমপাঠের মন্ত্রৌচ্চারণে দিকে দিকে জেগে উঠে অলকান্দার নিমজ্জিত অর্ঘ এর প্রকৃত ছাড়পত্র।।।। 

তখন এক অভাবী মায়ের শরীরে জেগে উঠে মহামায়া তার উরুমাছ ভাস্কর্য আটপৌরে সংযম ও সিঁদুরে চুল ছাড়া উড়ো সংলাপ প্রত্যাশায়।।যখন পুরুষালির শুক্রাণুর জোর গেছে কমে সেই পরিস্থিতিতে তার উদাসী চুলে রাত্রিকালীন অগোছালো সরীসৃপ সম দুঃশ্চিন্তার চীর হরণে দামাল ছেলে পিলেকে কাঁখে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোন বিকল্প থাকে না।। অরণ্যানীর পদমূলের শৃঙ্খলে এক মহাপ্রলয় জাগিয়ে দুর্গতির সংহারে এক মা জেগে উঠে।।।। তার বোবা চৌকাঠে জংধরা সিঁদুরে মেঘ এবং ঠোঁটে উপোসি জাহ্নবী চোয়ালে গুমর ভাঙে এই জগতের সেই চিরাচরিত গৌরচন্দ্রিকার মাৎস্যনায় এর বিরুদ্ধাচরণে এক রূঢ়কায়াকল্পে।।।। 


তাই ঘুরে তাকানো জেগে উঠা দশপ্রহরণধারিণী বিনা অস্ত্র এ বিনা  লৌকিকতায় তার পাঁজরের প্যাঁকাল মাছের ঝাপটে আর ঝালাপালা ঢঙ মারা গায়ে গতরের লাবণ্য ও শিল্প সৌকর্য ঘামতেল ছেড়ে দিয়ে সে বজ্রপাত এর মতন নির্ভীক দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ নির্ভীক চিত্তে ঘুরে দাঁড়ায় মাতৃঋণযাপন স্বরূপা হয়ে।।। তার ওষ্ঠদ্বয়ের হিমাঙ্কে জমতে লেগেছে দৈন্যকাতরতার ব্যুমেরাং।।।।।অর্থনীতির শিকারে জরাগ্রস্ত কঙ্কালসার দেহে হাঁপড় টানা দীর্ঘশ্বাস এ রহস্যিক খননে তখন জেগে উঠে অগ্ন্যুৎপাত এর অসহ্য লালার উদ্গিরণে ক্ষুধার্ত জ্বালাপোড়া দুটি চোখ।।ঐ দৃষ্টির করালগ্রাস যার ছোবলে হোঁচট খেতে বাধ্য হবে এই ঘরকুণো সোহাগ নিষেকে জন্ম নেওয়া লক্ষ লক্ষ বঙ্গসন্তান।।।।।।


জননীর চিরন্তন ঐতিহ্যের শ্রীময়ীর রূপ আদ্যাশক্তি ধরা দিক আজ আমাদের আলিঙ্গনে তার চেনাজানা চিরন্তন চিরপরিচিত মমতাময়ী মায়ের শাসনের চোখরাঙানির প্রাণপ্রতিষ্ঠার জাগরণে এবং তার নিকষ অন্ধকার এর ছেঁড়া ছেঁড়া বাঙালি দেউলিয়া কাঙালিনীর কাপড়ের আভূষণে সেই চির পরিচিত রূপে সেটাই বেশি আলো লাগে।।।।।।

মোহময়ী লাগে তোমাকে মা অনেক বেশি "রূপং দেহি,,জয়ং দেহি,, যশো দেহি,, দ্বিষো জহি"।।।।।।।

মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০২০

যোগনিদ্রায় ল্যাপটপ

 



যোগনিদ্রায় ল্যাপটপ,,,,, 

((Editorial Note)),,,,, 

অজ্ঞাতবাস ((ঘর‌ই এখন জগত)) 


সুপ্রীতি বর্মন,,,, 



কঙ্কালসার কচলাকচলি উচ্চবিত্ত আভিজাত্যের ডিগ্রী 

স্কন্ধচাপা জগদ্দল কড়িকাঠ আত্মদম্ভ অস্তিত্ব 


কচ্ছপের শক্তপোক্ত জমাটশিলার কঞ্জুসির আবরণ ঢাকা 

উল্টো পিঠের হামাগুড়ি চামর 

সহনশীল চাদর


চাপাচাপি কর্মযজ্ঞের মরাকোটাল তখন কটিদেশে পরাধীনতার শৃঙ্খল 

কঠিন সময় এখন তাই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত


Then somehow u r habituated to learn by heart abusive or foul language, 

Bed of thorns,,,(কন্টকশয্যা) 

কোলভরা বন্ধ্যা রমণীর প্রসব যন্ত্রণার অন্ধকার,,,,, 



Circumlocution (কথার মারপ্যাঁচ) tends to be directed to downfall or destruction

No need of maintainance for the expenditure 

It is getting gradually then obsolete 


Pedantic Laptop with wide screen

Becomes lazy and harsh somehow hazy to be transformed into alluvial deposit 


Circumspection gives birth to vanquished mental state of agitation


প্রণয়ের উজ্জ্বল পক্ষীরাজের পল্লবগ্রহীতায় তখন 

পাওনা গন্ডায় উজবুক কিস্তির আলস্য সংবাদ,,,,, 

      পাংশু ঠোঁটে কিংশুক সুখী পলাশ রাতজাগা প্রহরী সাফল্যের চাতক,,,,,

     খুব বেশী করে যেন আজ হয়ে গেছে উৎকট ব্যধি,,,,,

In the midst of bestial darkness of ignorance 

চাই চাই প্রস্তরখন্ডের পাঁচনের মার রাখাল ছেলের গরুচরা মাঠে হাতের কাল যেন কোন চন্ডকাম


Excessive hunger and thirst for high expectations draws u back to the inferno,,,,,,অজ্ঞাতবাস (Home quarantine) 


Where is no need of spell-bound free spirit shower but to live on bare-subsistence,,,,, 


প্রবেশ হিরন্ময় নখের আরশিতে জাগায় স্বর্ণালী কাঞ্চন পান্না (Emerald) 

But in quick moment that is turned into gravel,,,,, 


শনিচক্রের পাঁড়াগেয়ে পাগলাগারদ হবিষ্যি দান,,,,চটকাচটকি পাপপুণ্যের পিন্ডি,,,,, 


পার্শ্বচিত্র (Slide show) তখন অসামঞ্জস্য ক্ষুধার তৈলচিত্রে 

পারম্পর্য পারদর্শীতা রাখার অক্ষুন্ন প্রয়াসে

ছত্রাকঘটিত স্মৃতিচিত্র 

Skip করতে থাকে তখন কর্মক্ষেত্রের কোলাহল ছেড়ে উদ্বিগ্ন অর্থনীতির ধ্বসে পড়া চোরাবালির চরায়

(Betel-leaf) পানপাতার আরামপ্রদ মুখশুদ্ধি 


Laptop এর pigeon-hole এ তখন চরছে বাস্তুদোষে ঘুঘু 

পাথুরে শ্যাওলা সহবাসে তখন ফোটাতে অপারগ স্থলপদ্ম


তবুও পুণ্যাত্মার দীর্ঘকালীন পুণ্য সঞ্চয়ে 

পঞ্চত্বপ্রাপ্তিতে গত হয়ে যায়নি 

প্রতীচীর হাড়কঙ্কাল দেহে বেড়েছে প্রকোপ

 মহামারীর পূর্ণগ্রাস 

পরিব্রাজকের ভিক্ষায় তখন মুখ গুঁজে থাকে 

শ্যাওলাশাড়ির স্বপ্নপ্রণয়িনীর অজ্ঞাতবাস

অপ্রচলিত,,,, 

Reflection of consecration is at a proximate expectation,,,,, 


Self-imprisonment এ যখন করোটির রক্তকরবী

অক্ষরস্রোতের কলকল্লোল ঘটাতে অপারগ

তখন শীর্ণ আঙুলের নৃত্য মুদ্রায় বন্ধ্যা রমণী

চুপচাপ বসে থাকে সময়ের কশাঘাতে কষ্টসহিষ্ণু (Painstaking quick-lime) 


দেওয়ালের আজামাজা পুড়িয়ে কাকবন্ধ্যা শোকে

কাজলবিষাদ‌অগ্নিমেঘে কামড়া-কামড়ি করে

 শিথান শয়ান ব্যর্থ নিরুপায় ক্রোধে 

যাতে জেগে উঠতে পারে অশ্রুবর্ষণ 

কিন্তু উঠবে শুধু তাতে রুক্ষসূক্ষ শিমুল ঝড়

অনিশ্চিত অন্ধকারের অজ্ঞাতবাসে

অপ্রচলিত


তখন প্রতিশ্রুতি দেবার অঙ্গীকারে

কূপমণ্ডুক কেঁচো ঘুড়িয়ে ঘাড় পিছিয়ে পড়ার কেঁচে গন্ডুষ কাজে অপকেন্দ্র হবার কেনাগোলাম হয়ে পড়ে 

অভ্যাসগত শ্লথদশায় অজ্ঞাতবাসে 

যেখানে শুরু সেখানে নেই শেষ সেখান থেকেই আবার শুরু,,,,,It is a kind of treatment of repeated oder of wrangle,,,,, 


ক্ষণভঙ্গুর ক্ষয়ের সমুদ্রশৈবালে যখন থমকে আছে এখন আপামর জন জাগরণ,,,,

তখন ক্ষুধামান্দ্যে খুঁদকুড়োয় অন্ন-সংস্থান

নিরন্ন সকাল যেন অজ্ঞাতবাসে কালাশৌচ যাপন