Mascara
(( A new style segment of Chandramukhi)),,,,,
সুপ্রীতি বর্মন,,,,,
জুতোর শুকতলা একদা ছিল ক্ষয়াটে বেকার স্বর্ণালী যৌবনে হেটে খেটে খৈ উড়ানো চালে ছুটানো অশ্ব,,,,,
অপ্রতিদ্বন্দ্বী অশ্বের দৌড়,,,,,
আজ যেন মড়ক লাগা ছোঁয়াচে ছৌনাচের মুখোশে মুখ গুঁজে থাকা গৃহস্থালি অচেনা তুমি,,,,,
শুধুমাত্র তোমার অন্ধগৃহে আবদ্ধ শোকে,,,, সাইকেল সিটের আরামপ্রদ গদি অপ্রচলিত লকডাউনে গৃহকাতর শোকে ওলটপালট এখন ছেঁড়া ছেঁড়া,,,,
নেই কোন যত্ন ভয়ে আড়ষ্ট পিলে গেছে চমকে মেরামতের ঝুপড়িতে পড়েছে চিরতরে প্রয়াণে প্রেক্ষাগৃহের পর্দা,,,,,,
চিলচিৎকার আড্ডার মধুরেন কলকাকলি সমাপয়েৎ,,,,,
গেরস্থালির ছাদ হয়েছে কমলাভোগ প্রাঙ্গণ
ক্রিকেটের টোয়েন্টি টোয়েন্টি ম্যাচের
গ্রাফিক্স ডিজিটাল প্লেগ্রাউন্ড,,,,,
এখানে আরাম ঠিক যেন কোন ক্ষণস্থায়ী কর্পূর সংক্রামণের মিতব্যয়িতার শোকে।।
ঝুপ ঝুপ করে তাই রেফারির অশনি শীৎকারে আর করবো না কর না কর না ডাক ছাড়ে,,,,,
ওরে খোকা ফিরে আয় জুতোজোড়া ছেড়ে রেখে বাড়ির চৌকাঠে,,,,,,
না হলেই হয়ে যাবি নিশ্চিহ্ন ফ্রেমের দড়িতে ঝোলা কোন স্মৃতিচিহ্ন,,,,,
শ্রদ্ধার্ঘ্য নিতে আমার পকেট তখন হবে পিতৃঋণে ভার,,,,,
ঝুলন্ত শব থরে থরে বাদুড়ঝোলা বিবাগী ধূসর বিস্তীর্ণ বাঁধাধরা আছোলা বাঁশ মৃত্যু উপত্যকায় নিয়েছে শরণ,,,,,
স্নেহার্ঘ নিতে সদা যে পোড়ামুখী জীবন উন্মুখ, স্পর্শযোগ্য দূরত্বের আকাল দংশন।।
না হলেই তৎসম আইনি প্যাঁচার নখরাঘাত ক্যালানো উদোম খোলা হাড়বজ্জাতের পিঠে আঠারো ঘা আঁচড়,,,,,
কালশিটের পদক্ষেপ নাগরিক চুয়াড় ক্ষিধেয় জরায়ুর ফাটা কাঁসর আর্তনাদ গ্রহণ,,,,,,
পাগলে কি না বলে ছাগলে কি না খায় কম্পাসকাঁটার বিচক্ষণতায় বন্দী দৃষ্টিকোণ,,,
কিন্তু সেই পাগল যখন বইয়ের পাতায়
বিনা তটস্থ বিদ্যায় না মাথা ঘামিয়ে
দর্শনের কথা বলে জনস্বার্থে প্রচারিত
অমূল্য তথ্য প্রজ্ঞাপারমিতায়,,,,,
তোমরা জনগণছাগ উভচরী প্রলাপে খায় না মাথায় দেয় কে জানে,,,,,
ক্ষুধার্ত কঙ্কালের মতন মৃত্যুর ঝরাপাতা হয়ে
আড়মোড়া ভাঙে যখন শমনের আড়াআড়ি চোখ,,,,,
তোমরা উচ্চশিক্ষিত সমাজ বিনা বাক্যব্যায়ে সেই পাতা চিবায় ও উগরায় যখন ফাঁদে পড়ে বগা কান্দে,,,,
নিজ স্বার্থ সিদ্ধি অন্বেষণে কারণ চাগাড় দিয়েছে তখন তার জন্মের ডাক,,,
বাঁচতে যে হবেই হবে তোকে ।।
যখন থাকে না কোন ফাঁকফোকড় গাঁটে গাঁটে বাত
জুতোর তলায় মাড়িয়ে যাওয়া নেই কোন ধুলোর সম্রাটের বালাই চাল,,,,
তখন মুদ্রাদোষে রাতদুপুরে ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস নিশাচর ভ্রমণ তার লুকোচুরি শৈশব,,,,
কিন্তু দিনে দুপুরে তখন নেই কোন ভ্রূক্ষেপ তার দুশ্চিন্তার ডাকাতি,,,,
কারণ সবাই এখন আনকোরা জুতো পায়ে শয়নে শিথানে শিলান্যাসে গৃহবন্দীর কামড়ানো চাদর,,,,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন