Editorial Note,,,,,,
কৌমার্য গীটার
Picture Illustration,,,,,
সুপ্রীতি বর্মন
(( এখন অনেক রাত তুমি বুকের ভিতর ফাটছো ধীরে ধীরে))
ব্যর্থ ক্রোধে যখন খোলা শার্টে উন্মুক্ত
আমার পুরুষালি লোমশ বক্ষ
তখন তুমি কেমন করে ক্লান্ত চরণে
সমর্পণ করে আঁকড়ে ধরো আমাকে
তোমার স্তন্যে যখন নগ্ন দুই ঠোঁটে কামড়াই শিশুর মতন
তখন উথলিয়ে উঠে দুধসমুদ্র
পাঁজর ভাঙা আঁকড়া দিনে যখন
রুগ্ন গান ছোবল মারতে চায়
তখন তোমার নখের আঁচড় দুরন্ত অশ্বখুরে হাতড়ায় আমার পিঠের পরে
নিতে চায় প্রশ্রয়
কাঠফাটা গর্ভিণী রমণী রোদ।।
গিটারের তার খুঁজে যাই পাগল হয়ে আমি
তোমার পিঠের চামরে
জংধরা বিবস্ত্র সেই তার তাই বাজাতে গিয়ে আমার শ্বাসরোধ গলা শুকিয়ে কাঠ।।
শীতলপাটি বুকে তোমার ঢলে পড়া সূর্যাস্তের কামড়ে দেওয়া নগ্নঠোঁটের শীৎকারে
আমার ব্যাঘ্রনখ আরো বেশী উদ্বিগ্ন হয়ে উৎকীর্ণ লিপি করতে চায় খামচে ধরে
ঐ কাছিমের মতন তোমার উল্টানো পিঠে
সুর উঠে না গোধূলি জর্জর অসুখমোড়া রাতে
তাল যায় ছিন্নপত্রে গড়িয়ে।।
আমি বশ্যতা স্বীকারে অনীহায় থাকা এক সৈনিক রণক্ষেত্রে
আঁচড়াতে থাকি আর তত আমার নিঃসঙ্গ চোয়ালে পড়ে টান
আমি অন্ধকারে হাতড়াই অমাবস্যার চাঁদ
তাই ছেঁড়া তাঁতে ঐ নগ্নকুম্ভীরকাঁখ কে আরো টেনে ধরি জাপটে খোলা বুকের কাছে
পতঝর সরসরাহট মেহেদি খচিত রাঙা দুটো হাতের উদগ্র কামনার ছোঁয়ায়
আমার পাঁজরতলি ঘিরে নামে সন্ধ্যার কনসার্ট।।
আর পাঁজরগুলো আগুনে পুড়ে উচ্ছিষ্ট হাড়ে গজাতে থাকে তোমার ঐ দংশনে
দামাল দন্তের স্বরলিপি
দুমড়ে মুচড়ে জেগে উঠতে চায় প্রখর খরায় এক দরিয়ায় সম্ভোগের সুর
কিন্তু মাঝির বজ্রবিদ্যুৎ মুষ্টি তখন আঁকড়ে ধরে ভায়োলিন নিহত কৌমার্য আক্রান্ত রজনিতে।।
আমার বুকের হেম মোমদগ্ধ রাতে গলে যেতে থাকে আর তোমার নাভি নিম্নদেশে তখন গভীর অতীতের পিচ্ছিল খাদ
নীচে নামতে বড় ভয় ভয় লাগে যদি তোমাকে হারিয়ে ফেলি
তাই অস্বীকার করা প্রত্যাখানের ঘ্যোৎ ঘ্যোৎ বুনো শুয়োরের গর্জন তোমাকে করতে চাই না একদম কাছছাড়া
নখের আঁচড় ও দুরন্ত অসভ্যতা আরো চাগাড় দিয়ে ওঠে আমার পুরানো ক্ষুধা।।
শীর্ণ আমার শরীর গুটিয়ে যেন তখন খোলামেলা শার্টে তোমার স্তনদুগ্ধে মুখ গুঁজে পড়ে থাকা কোন শিশু
চুষেই চলেছে দিনরাত্রি চোখ বুজে।। মণিকর্ণিকার ঘাটে বীর্যকল্লোলে তখন সপ্তম সুরের ঝংকারের ঝড়
উথলিপাথালি আঁচড়ায় তোমার পিঠের পিয়ানোর রেশমি ফাঁসের বন্ধনী
কন্ঠসংলগ্ন চোষক স্বরথলি অগাধ ভরাট মাংসল স্বরের উজান গাঙে অপভ্রংশ
আলজিভে প্রখর তৃষ্ণায় তোমার সিঁথির সিঁদুর এর প্রশ্রয় শুধু আমিই দিতে চেয়েছি
যতই উঠুক উন্মাদ জোয়ারের ঝড়।।
তবুও তোমার ঐ অজগরের রোষে অভিমানে আটকে থাকা
কাঁকড়া চাঁদের জরোয়ার ঝুমকা আমার কন্ঠ আঁকড়ে ধরে থাকে
তাই শ্বাস নিতে তখন খুব কষ্ট হয়
স্বর বের হয়না স্বরবর্ণ কোথায় অজ্ঞাতবাসে
শুধু মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে
তোমার শিকড়ের সঙ্গমে ক্লান্ত বিশ্রামে এক পরাজিত গায়ক।।
পরাধীন ভোরে আমি আর জাগতে চাই না
যখন দেখি ম্রিয়মাণ মোর ছায়া পথভ্রষ্ট
নষ্ট আঁধারে মুখ গুঁজে কাঁদে
ঈশ্বরীর নৈবেদ্য থেকে সে সম্পূর্ণ রূপে পরিত্যক্ত অবহেলিত
এই রাতেই সে আনতে চায় নগ্ন পাগলকরা জ্যোৎস্না।।
রতির কামদেবের পঞ্চবাণের সুর ললিত যাম
আমার বক্ষের উপোসি চিতা-বৈরী-বহ্নিবিষে
যখন তোমার শরীর টলোমলো তালে ধুনুচি নৃত্যের ঘোরে ঊরুশোণিত কাঁপনে গড়িয়ে যায়
তখন আমার শীতল শোণিত শঙ্খশুভ্রহংসবৃন্তের ডাকে
তোমাকে আলগা করে জড়িয়ে ধরে সামলাই নাভিমই কস্তুরীরমণমাঠে
আমাকে গ্রহণ করো তুমি
তুমি আমার বুকের ভেতর ফাটছো ধীরে ধীরে।।
নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের অগ্নিমান্দ্য দুরন্ত ঝাঁপ
যতো উদ্বিগ্ন হয়ে সময়ের কাঁটার দীর্ঘায়িত সুকল্যাণ বাহু কামড়ে কামড়ে খাই
তত সেই অগ্নিশ্বাস ধুম্রলোচন ঘনঘটা
স্বরের পাকচক্রে দলাইমালাই চালে সৃষ্টি করে নতুন স্বরলগ্ন
আঁচড়ে আঁচড়ে পিঠের প্রান্তরে
নির্বাসনে জটাজুট জমাট শিলা ছিল
এতকাল ধরে তোমার রাতজাগা চুলে
পিঠের উপর ছড়ানো উন্মুক্ত কেশরাশি মৃগতৃষ্ণা।।
আজ আমার আঙুলের ক্ষিপ্র চলনে কেশে অঙ্গুলিহেলনে জেগে উঠে মেঘমল্লার
নচ্ছার রোগের সুর ছিঁড়ে আনতে চায়
তোমার মধুপ ক্লান্ত রণস্বামীকে
যাতে সে নতুন করে ফেনায়িত দ্রাক্ষারসে
শামোসেহের জাগাতে পারে নায়ি নবিলী কোই দুলহন কী সোহাগ রাত
আঁখো কী শামসীর কী রাগ
তিসরি মঞ্জিল
ত্রিযামার মঞ্জীর কঙ্কন কাঁপন।।
অনুপ্রেরণায় ছবি সৌজন্যে,,,,,
((শুভায়ুর রহমান এর Facebook Story Line পোস্ট))
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন