বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৯

পলিয়ার ওয়াহিদ


চন্দ্রমুখী তোমাকে দেখে নিশিপ্রহর জেগে এক প্রেমিকের কাব্যে প্রেমের অর্ঘ,,,,,

ছবি সৌজন্যে : ইন্টারনেট (Google)

পলিয়ার ওয়াহিদ

প্রেমগুচ্ছ


আমি দুঃখ লিখতে গিয়ে বিসর্গতে বেঁধে ফেলি তোমার চোখ! কিন্তু দ্যাখো—সুখের চিহ্ন ধরে রাখার এক মাত্র শিশমহল ওই মুখ! অথচ তোমার চোখেই খেলা করে বাঘের শিকারি মুহূর্তের মতো নান্দনিক ও অভিজাত উত্তাপের ভঙ্গিমা! আর পাশাপাশি মেতে থাকা ডুয়েল ঘাসফড়িংয়ের মতো ভ্রু যেন এখনি উড়াল দিয়ে বসে পড়বে—আমাদের সবুজাভ পৃথিবীর গালে! হে প্রেমিকা, তুমি মাটির ফুলদানিতে রাখা—লাবণ্যময়ী অহমে ভরা গাঢ় এবং লকলকে পাথরকুচি! আর জেনে রাখো—সৌন্দর্য্যরে অন্য কোনো উপযুক্ত শিরোনাম থাকতে নেই!

তোমার মুখে ঝুলোনো যে আয়নামহল—সে জলের সিঁড়িতে বসে সিঁথি কাটছে মমতা আর এই ভবঘুরে আমি—তবু আদমের লোভ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করতে অক্ষম! দেমাগী লাল মোরগের পাখনার মতো কিংবা মদ্দা কবুতরের আগুনিক ডানার নিচে ফেলে রাখি লাল ফিতার বনেদী সততা। তোমার শারীরিক মগডাল থেকে উড়ে যাচ্ছে— বদান্যতার অলংকার!

তোমার মুখখানা অন্দরমহলের মতো আদরে উপচানো—যেখানে লটকানো জলসাঘর ও কারুকার্যখচিত অতিমূল্যমানের আরশি। জমজচোখ আনন্দের নাটাইফলের মতো দুলে আছে আমার বেদনার পাড়ে! তোমার ঠোঁটে খেলা করছে আপেল ট্রাজেডি আর মাংসল বাহুদুটি প্রভাব বিস্তার করছে—লিলিথের ডানার অসম্ভব কল্পনাশ্রিত উপমায়!

মউ মউ করে ভেসে আসছে—মায়া কবুতরের কূজনের মতো ডানায় মাখানো কামনার সুবাতাস। কাঁচা পেঁয়াজের রাগী মুহূর্ত ধরা পড়ে তোমার মসৃণ গ্রীবায়। যেখানে তীরের মতো ভেদ করে—আমার শিশুমতি পিপাষা আর বুকে ক্ষত নিয়ে শুয়ে পড়ি তোমার সুগভীর নাভিমূলে। কারণ শিকড় হারানো পুষ্টিহীনতায় আমার অকাল মৃত্যু, আমি—তোমাকে উপহার দিলাম।

জানো কিনা—আসমানি রঙের শাড়িতে তোমাকে উন্মুক্ত লাগে! যেন তুমি ভরাট হয়ে আছো দো-ফসলী মাঠে হরেক কিসিমের শস্যের দানার মতোন! তেঁতুল কাঠের আগুনের মতোন সুন্দর তুমি অথচ তোমার দৈহিক কদম গাছ থেকে ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ছে অহমের জিকির। আর তুমি মা পাখির মতো আমার ক্ষুধার্ত ঠোঁটে অতিযত্নে তুলে দিচ্ছো—অতীতের যাবতীয় গচ্ছিত আঁধার!

আমি পুরুষ মৌমাছি বলে—তোমার পুষ্পে সজ্জিত দরবারে ঢুকে পড়ি অনুমতিহীন এবং কম্পমানে অথচ প্রতিবারই তুমি মিষ্টি হাসি দিয়ে আমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছো—অপেক্ষার যন্ত্রণামথিত কাঠগড়ায়। কিন্তু পিছন ফিরে আমি মুখস্ত করতে ভুল করিনি—তোমার চওড়া বুকের উপর সোনালী লকেটে বন্দী হয়ে ছটফট করছে আমার রূপালি দম! অথচ তোমার নতজানু জায়নামাজে আঁকা ছিলো মুক্তির ফায়সালা!

এই কবিতা—তোমার বুকের পাতায় আমার হৃদয় ক্ষরণের কালিতে লেখা হলো! এমনটা ভাবতে ভাবতে তুমি ডুব দিলে আহত বেগুনী রঙের মখমলের বিছানায়। যেখানে ময়ূরী হবার বাসনা নিয়ে প্রবেশ করেছিলো স্বয়ং ঈশ্বর! তবু আমি তোমাকে ভুলতে পারিনি প্রিয়তমা! আমাকে ক্ষমা করো এই অভাবনীয় তসবির মতো বাক্য গঠনের জন্য! কারণ এই লেখাটির শিরোনাম সম্ভবত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার পানপাত্রে চুবানো! কারণ নিশ্চিত এখন তুমি—আমাকে মিশিয়ে ফেলবে গোলাপজলের পেটে!

সোমবার, ১৭ জুন, ২০১৯

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ : কুমারী বৌ এর বরণডালা,,,,


দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ,,,,,


অভাবী ঘরের পান্থশালায় আত্মভোলা এক প্রেমিক পুরুষ তুমি,,,,
হাঁড়িয়ার আম্রপালী নির্যাস রতিক্লান্ত বীর্য নিংড়ে
তোমার উল্লাস জৈবিক চাহিদা,,,
মৎস্যকন্যার উভচর গলাধঃকরণ রুদ্ধশ্বাসে
গুমোট ছত্রাক মৃতপ্রায়
এলোকেশে এক লাবণ্য দুচোখে বেঁধেছে
এক স্বপ্ন অলীক চিত্রনাট্য,,,
আজ সে কোন সহিষ্ণু পাথর অশ্রুসজল অহল্যা,,,
প্রেমিক টিয়ার অবাধ্য কৃষ্ণনামে ভরপুর সন্ধ্যে হড়কানো
শিকারী উন্মাদনা উলঙ্গ কাম অভুক্ত রতিশয্যা,,,

###########


কাঙাল সোহাগে হতে চেয়েছিলাম জন্মান্তর
 জৈবিক চাহিদার যজ্ঞে কোন অশ্বিনীকুমার,,,
পূর্বরাগে তাই রাজপথের বসন্ত বিলাপে স্তনের কৌমার্য এ
 অনিঃশেষ নিতে চেয়েছিল আব্রু খসিয়ে আজন্মের ঋণ
তোমার সপ্তবর্ণা অমূল্য চুম্বনে
আমার ঈশ্বর হয়েছে আজ দিকভ্রষ্ট
অন্য কোন ঋতুমতী নারীর গায়ে গা লাগার সংরাগ
ছোঁয়াচে জ্বরে তার শিড়দাঁড়ায় লেগেছে ঘূণ এক অলসঘুম
কচি পানপাতার শঙ্খিনী ডাকে আলিস্যি ভেঙে
প্রত্যুষে কফিমাগে উষ্ণীষ বেহায়া ঠোঁটে একাত্ম
গতরাতের শয্যায় সোহাগের
সুগার ক্যালকুলাস ফাঁদে
শকুন্তলার অভিশপ্ত আঁচলে নিষিদ্ধ রাত জাগে

##########


তোমার অবিক্রীত নিষ্পাপ স্বত্তার সংযমের
চৌকাঠ পেরিয়ে আজ বীতশ্রদ্ধ প্রলয়
(ধুনো পোড়া গন্ধে মনসার যন্ত্রণা ও ধিক্কার গুমড়ে উঠে)
আর অভিশপ্ত পিশাচী আত্মা আমার ঈশ্বরের
মানসিক বৈকল্যে অন্তর্হিত আজ
আমার মণিকাঞ্চনে এনেছে অকাল জরা বার্ধক্য,,,
আইবুড়ো নিঃসঙ্গ রতিক্লান্ত চন্দ্রিমায় লেগেছে
আজ অকাল বৈধব্য যোগ,,,

###########


যখনি ডেকেছে জাহ্নবী তার সোহাগ কঙ্কণে 
তুমি ছিলে বিপদসীমায় তটস্থ আঁটোসাঁটো কাজলাদীঘি,,,
 কাজেই কানে তুলতে তার ঝংকার ছিলে
স্থবির কোন পাথর,,  
ছিলে কোন জেদী প্রেমিক পৌরুষের ইচ্ছাকৃত
পিচ্ছিল স্পর্ধায় মদমত্ত নেশায় চুর কোন মাতাল,,, 
নাগরের শিথিল বাহুডোরের ঝাড়লন্ঠনে
উদ্ধত জঙ্ঘা উঁচিয়ে
অহমে গটমট অন্য রমণী সংসর্গে
পরিণয় ভ্রমে যেন কোন 
লাজুক শামুক।।
চক্রবুহ্য সর্পিল বেণীর গাঁটে সে সন্তর্পণে
গুছিয়ে বেঁধেছিল প্রতিহিংসার গান্ডীব সহ তূণ।। 

##########


কামদগ্ধ পুষ্পমাল্য বরণের বশীকরণে
রতিপঙ্গুবীর্যরস সুখে আপাদমস্তক কেন্দ্রীকরণ
তৃষ্ণার্ত জিহ্বায় আজ সে নতমস্তকে কোন ক্রীতদাস,,, 
তোমার চোখে চোখ রেখে হাঁটু মুড়ে বসে
অতীত স্মৃতি জাত শকুন্তলা অপভ্রংশে,,, 
সতীনের দাহদৃষ্টিতে জেরবার অভুক্ত সোহাগী
 যেন কোন চৌকস নগরনটী সূপর্ণখা
 নিজের নাক কেটে করতে লেগেছে আমার যাত্রাভঙ্গ,,, 

###########

প্রেমদগ্ধ জরায়ু রক্তক্ষরণে বীর্য নিংড়ে
আমার সিঁথি তোমার সোহাগে
প্রিয় বৌ করে রাঙাবে বলেছিলে,,, 
যোনিগর্ভে একান্তে উঁচিয়ে
ময়ূরকন্ঠী গ্রীবায় প্রাঞ্জল স্বীকারোক্তি,,,
 তুমি আমারি বৌ বলে দেখিয়েছিলে
কাম উদগীরণ পুরুষালী স্পর্ধা,,, 
আমার আজানুলম্বিত কেশে রতিক্লান্ত রাত্রির
নূপুরের নিক্বণে হয়েছিল কুমারী বৌয়ের জাহ্নবী
 ঘরকুনো ইকিরমিকির স্রোতের গৃহপ্রবেশ,,,, 

############


তুমি বলেছিলে এখুনি যাও অলংকৃত বেশে
 নিরাভরণ প্রাঞ্জল রূপে
আমার মা বরণডালা আগোলে দাঁড়িয়ে আছে
তোমার স্বামীর অশ্বত্থশিকড়সন্ন্যাস যাপন
 গৃহের চৌকাঠে,,,,
তোমার মাছরাঙা কে বলে দিও পাগলী,,,
এবার না হয় তোমার সোহাগ এ শুরু করবো
 সংযমী গার্হস্থ্য আশ্রম,,,,পরিণয় সন্ন্যাস ত্যাজে,,,,

###########


তোমাকে খাওয়াবো ভাত কাপড়ে ঘটা করে
মোটা বড় গায়ে গতরে কাতলার পেটি,,,
খানদানি বৈভবে মাছের কাঁটা,,,
তা তোমার স্বামীর যত‌ই কষ্ট হোক,,,
হোক না নগণ্য সামর্থ্য,,,,
তবুও তোমার কুচযুগশোভিত স্তনযুগলের ক্লিভেজে
 উঁকি দিচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে যে চতুর মাছরাঙা কৌতূহলী,,,
তাকে চোখ রাঙিয়ে আরেকটিবার বলে দিও আমার হয়ে,,,,


শোন,,,, আমার স্বামী পাকা মাছ খাওয়াবে চিন্তা করিস নে,,,
হবেই হবে অভাবী ঘরে আমার ঘটা করে প্রেয়সীর আকাঙ্খিত বধূবরণ,,,,
ক‌ই গো নতুন বৌ এসেছে,,,
শঙ্খ‌উলুধ্বনি সহযোগে করবে না তার বধূবরণ,,,
সাজাবে না আমাদের প্রেম ও পরিণয়ের বরণডালা,,,,,


               ---------------------

যৌথ সম্পাদনা: (সুপ্রীতি বর্মন ও পঙ্কজ কুমার সরকার)


রঙ ও প্রণয় সংখ্যার বিশেষ আকর্ষণ:


কবিতা: কুমারী বৌয়ের বরণডালা।

নাম: যৌথ নির্মাণ,,,,,, সম্পাদনা,,,,,,

সুপ্রীতি বর্মন ও পঙ্কজ কুমার সরকার



প্রথম পরিচ্ছেদ:

কুমারী বৌ,,,,


শৈশবের নিষ্পাপ সারল্যের ছাইরঙা
নিরহংকারী আস্কারার প্রশ্রয়
এক বর্ণমালা,,,
 আমাদের মিলনের কৌমার্য
তার শাশ্বত ধ্বনিতত্ত্বের মুদ্রাদোষের বন্ধনে
পদ্মাক্ষরের আকুলি বিকুলি রক্তিম প্রণয়রাগ
 নেহাত কিছু কম নয়...
বয়স নাকি আটপৌরে স্বভাবদোষ এখন সহজাত।

কিশোরীর কামরাঙা কাঁচুলীর অনুরাগী গাঁট
বক্ষকোলাজে রঙীন চৌর্যবৃত্তির মাছরাঙা পুষেছি
প্রণয়সিক্ত ওষ্ঠের লাল চুম্বন দাগ দেখাতে পারিনি তোমাকে,
পেয়েছি তবুও যৌনগন্ধী আঁশটে গন্ধ।
একদিন শ্যামল নখের আঁচড়ে
তোমার লোমশ বুকে এলোকেশে
মুখ গুঁজে লুটানো সবুজ লাউডগা হয়ে
প্রণয় বিষে খুনসুটি করে
স্তনপোষ্য দুগ্ধকলশ ঈশ্বরী তোমার আঁচল সরিয়ে দেখেছি
উড়ে গেছে অনেকগুলো বর্ণচোরা প্রেমী গঙ্গা ফড়িং
তাদের সম্ভাব্য পরম আশ্রয় ঐ স্ত্রীধন।
নির্লিপ্ত যৌনক্ষুধায় উপবাসী ঈশ্বর,,,,,
দরজার আড়ালে স্থৈর্য হারিয়ে
ঈশ্বরী কে খন্ডনে অন্নপূর্ণা কে খোঁজে।

###########


ঈশ্বরীর শিউলি বোঁটার গৈরিক সম্ভাষণে 
রাজযোটক প্রজাপতি নিরুদ্দেশে 
অসংখ্য মদহোশ গিরগিটি ; 
জরাগ্রস্ত,,,,
প্রণয়ক্ষুধাই এক এবং অদ্বিতীয়ম মহাপরিনির্বাণ।
অন্ধকারে মুখ থুবড়ে অরণ্যকে করে
 শঙ্খলাগা নৈরাজ্য মৈথুন মহিষাদল।
কালরাত্রি ঈশ্বরীর আঁচল অমাবস্যায় আনতে চায়
প্রণয়রোগে জ্যোৎস্না চন্দ্রিমার। 


 ষড় ঋতু সম্ভার --আবীরের প্রণয় আঁচলের
দুর্বোধ্য লাঙল কর্ষণে 
প্রেমিকের শীতার্ত ছটফটানি অঙ্গুলী হেলনে
 শিল্পীর কামরূপ নগ্ন খাদানে জাগে
অগ্ন্যুৎপাত এ সোহাগ লাল লাভা,,,
 যেন গোধূলির অস্তরাগে রাই তোমার নাভিবীণায় জাগে
প্রেমিকের বুকে আছড়ে পড়া এক অবাঞ্ছিত অলস ভোর। 

###########


লাল আমার রক্তিম গ্রীষ্ম দুপুরে রোমকূপ
গোগ্রাসে গলাধঃকরণ এ ব্যস্ত যখন 
তোমার নগ্নকামরূপবদনে পিচ্ছিল ঘর্মবিন্দু,,,, 
প্রেমিক তখন ঘরামি তোমার উলঙ্গ বীর্যপাতে
গড়তেই থাকবে আমার সাতমহলা ইমারত,,,, 

বর্ষার উচ্ছ্বসিত জোয়ার আঙুলের ডগায় ধরে প্রেমিক
তোমার সিঁথি থেকে পদ্মরাগমণির পেখম তোলা
পাপড়িতে এনে দিতে পেরেছে ঘূর্ণিঝড়ের মাদকতা। 
তোমার অঙ্গ আঁকতে লেগেছে চারুকলা বিভঙ্গমুদ্রায়,,, 
অবাধ্য প্রশ্রয় প্রেমিক তোমার আস্কারা। 

##########

নেশার মাদকতার ঘোরে প্রেমিক
তোমার আফিমরঙা ওষ্ঠ যখন 
মদ্যপ নাভিতে রেখেছো নিকোটিনের পর্যাপ্ত রতিসুখ,,,
 অধিগ্রহণের হাঁপড় টানা দীর্ঘশ্বাস 
তখন রাইরঙা আমি চন্দ্রিমা কিশোরী 
হিরন্ময় কস্তুরী ঘ্রাণে তোমাকে বুঁদ রেখে
মাদল নিতম্বের দ্রিমি দ্রিমি বোলের
ধামসা মাদল নৃত্যে তোমার বুকের রগরগে 
রক্তিম নৈশভোজের দগ্ধ মেহগনির দহনে
অগ্নিমান্দ্য শোক মাংস পুড়ে খাক
 তোমাকে কাছে টেনে রমণী জড়ানোর রোগে।। 
কাল চুলে বেঁধে রেখেছি ভরা কোটালের জোয়ার
তোমার পদশৃঙ্খলের বাকল রমণীকে করেছে কব্জা
 শৃঙ্খলে মাথা খুটে মরতে লেগেছে শরম লাজ লজ্জা,,,  

############


অলসতার আতিশয্যে মাথা গুঁজে
ন্যাওটা প্রেমী ঘুড়ির মতো 
তোমার নাভির ক্ষীরপাক বিধির দোহনে পাক খাওয়া
সুতোর লাট ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে তোমাকে নগ্ন ঊরুদ্বয়ের
আগোলে রেখে উড়িয়েছিল উর্ধ্বে কামাকাশে
তারপর গোত্তা খাইয়ে নামিয়ে আনতে লেগেছে
 চরম শীৎকারে তৃষ্ণার্ত গুল্মকর্ষণের রুক্ষসূক্ষ্ম জমিতে। 

ঋজুস্তনের গোলাপী আভা নিমগ্ন চৈতন্য ধূসর
উথালপাতাল শ্বাস
 হা করা কনে দেখা আলো গোধূলি নগ্নিকার হাতের
পাঞ্চজন্যে মুখরিত শীৎকারের হোমাগ্নিতে
উলুধ্বনি শঙ্খডাকে অবরুদ্ধ গমক শাড়ির লাটে
নাভিনমনে উদগ্র রতিক্লান্ত কাপালিক,,,, 
ব্যগ্র উদ্বিগ্ন হয়ে শুনতে থাকবে আমার মুক্তাসুখ
তোমার আচ্ছাদিত পুরুষালী খোলসে শুভ্র ঝিনুক,,,,, 
ঈর্ষার জ্বলন্ত চম্পকচামেলীর গোছাভরা চুলে
কজন সৌম্যকান্তি মেয়েলি অঙ্গে নাভিঅরণ্যে ধরবে
বৃশ্চিক জ্বালা একাকীত্বের পোড়াধরা দুধেলা স্তনকুমুদ
শুকিয়ে হবে হাড়জিরজিরে পুরুষরিক্ত মৃণালের ডাল,,, 
অপভ্রংশ সঙ্গম ক্ষুধা,,,, 

############


আর আমি ক্রমশ ক্ষুধার্ত সিংহী কেশে
 ঝাঁপিয়ে পড়বো তোমার নিম্নাঙ্গে
 লাল সোহাগী ওষ্ঠ এর কুরুশকাঁটায় নিমগ্ন
উন্মোচনে রত হবো তোমার খড়ির সমুদ্র,,,,, 
চাবড়ানো নিতম্বের আগোলে তোমার
সিংহদুয়ার ফাটলের মুখে অঙ্কুরোদগম বীজ,,,, 
স্নিগ্ধ হবে শুভ্রকাঞ্চন মৈথুনে ফেনিল ঢেউয়ের
আছড়ে পড়া,,,, আমার শুখা জমিন,,,, 

############


নেশাতুর রমণীর, পুরুষালী কবন্ধে ঠোঁটকামড়ে টানটান
স্থিতিস্থাপক দৃঢ়তায় ঋজু পৌরুষের কোলাসনে
 অধিরূঢ়া নগ্নিকা
মন্থনে উজাগর একাকী ভিখারী রাত্রিযাপণ বিষ,,,
কালরাত্রি,,,সোহাগের নিষিদ্ধ পাঁচিল

নিষাদ তোমার তূণে গচ্ছিত রেখেছো
 আমার সংগ্রহ বীর্য 
লাল আলতা পদযুগলের আখরে তোমার মৈথুনক্লান্তি,,,
সকল অবসাদ,,,, 

###########


চিতশোয়া উলঙ্গ ঝর্ণার স্রাবে স্নানরত তোমার পৌরুষ,,,,
উদোম স্বর্ণালী ঝালরের মগ্নোপাসক ঋতুমতী নারী,,,
ছোঁয়াচে পুরুষস্পর্শের ঘ্রাণে তার সারস গ্রীবায় উঠে শিহরণ
 ধুন্ধুমার ঝাঁকানো স্তনের ঝুলন্ত সিঁড়ি,,,
হাঁতড়ে উঠে গোঙানো স্বরে কোন জলে ডোবা
রোদে পিঠ চিতশোয়া কুমীর,,,, 

কামড়াকামড়ির পরিণামদর্শী যৌনসঙ্গম স্খলনে
কাঙালীপনায় উত্তপ্ত পুরুষালী ঔরসে
 ভিজে সপসপ গোটা গড়ন গয়নাবড়ি,,,, শিশ্ন‌আভূষন,,,,
চাতক হরিণী চক্ষে মৈথুন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি,,,,
হঠাৎ ঝামরে বৃষ্টির চলকে উঠা রতির হিরন্ময়
কাজলাদিঘীর স্রোতে এল দিকভাসি উন্মাদনা,,,
জোয়ারের উচ্ছ্বাস,,,, 
তোমাকে যেন ভুলে ফেলে না আসি নোঙর ছেড়ে
দিকভ্রান্ত বৈতরিনী পিছুটান কোন স্রোতের ডাকে,,,, 


অনীক চৌধুরী


#প্রণয়।

#অনীক চৌধুরী।

তারও কি বুকের ভেতর ফাঁপা লাগে?
মধ্যরাতে কভু একাকী জল গিলে,
নখের আগায় অহরহ প্রেম খোঁজে।
শিরশিরিয়ে আকুল তৃষ্ণায় মন জাগে।
অবিরত প্রেমের তলানিটুকু করি পান,
সলাজ পাঁপড়িময় গোলাপের সুবাসের মতো।
তোমাকে আহরণ করি গোলাপি ময়ূর অধর থেকে,
নীল আকাশের উচ্ছল জিহ্বা নিয়ে বরং
গুপ্ত চন্দ্রমন্দিরের পথে অগ্রসর হই।
সোমত্ত শরীর ফুঁড়ে মধ্য শ্রাবণের জল,
প্রত্যহ দেখতে আসে চাঁদ একাদশী দল।
কনিষ্ঠার আঙুল এঁকে যায় দেহাগত সুর,
হাতের করতলে নাচে প্রণয়ের ঘুঙুর মুদ্রা।
আজ আমাদের ছোট্ট নদী বাঁকে বাঁকে নয়,
দুইধার সমানে সমান চলে আর থামে।
আর যেন জলে নেমে আসে উচ্ছসিত চাঁদ।
আজ অশান্ত তুমি দুর্দান্ত ললনা বেশে
কঠিন রূপ নিয়েছ অসত্যের সাথী হয়ে,
ভরাট কন্ঠে দমন করেছ সুস্থ প্রেম,
অবাঞ্ছিত প্রণয় খেলায় আজ নিমগ্ন।
নির্জন রাতে আমি স্বেচ্ছায় হয়েছি সোপর্দ।
অথচ অকারণে রেখেছ তৃষ্ণায় কাতর,
নগ্ন নিঃশ্বাসে কলুষিত শোবার ঘর,
অনাবৃত করে দিলেম কাঁচুলির হুক,
শাড়ীর ভাঁজে ভাঁজে মাদকতাময় গন্ধ।
প্রেমের দামে শুভ্র বুকে ঘামের সৌরভ
নাভির অতল গভীরে ভালবাসার হিস্যা।
ঘৃণিত আচ্ছাদনে আজ খুনের মহড়া,
কালো কালির আঁচড়ে বুকপকেটে বিশ্রী ছাপ।
হৃদয়ে অসহ্য বেসামাল চাপের রাজত্ব,
আজ আমি বড্ড অবিবেচক,
লুকাবো সন্ধ্যামালতীর নীরব সন্ধ্যায়।
দাগী আসামীর জন্য শক্ত শিকল দরকার,
ভারী শরীরে নেই অদম্য ছলাকলা,
পালানোর পথ বন্ধ অসহ্য নিঃশ্বাসে,
শুধুই পড়ে রইবে বেহিসেবী রাতের কথামালা।

শৈলেন দাস


যৌনগন্ধী,,,,,

শৈলেন দাস,,,,,
.                 =====####====
মেলা ফেরত একটি মেয়ে সে রাতে বাড়ি ফেরেনি

সুহৃদ-স্বজন খোঁজ করেনিকো তার
নিখোঁজ ডায়েরি করার থানাও ছিল নাতো
মা-বাবা নিশ্চিন্তে সমস্ত রাত ধরে ঘুমিয়েছিল

নির্জন টিলার জোড়া শাল গাছতলে
উদ্দাম আদিম নৃত্য দেখেছিল কোজাগরী চাঁদ
মনের ধামসা তালে অন্তর্বাসহীন কৃষ্ণা,
       পাথুরে ষোড়শী সারারাত নেচেছিল,গেয়েছিল ----
প্রেমিক পুরুষ বাজিয়েছিল বাঁশের বাঁশি
ছিল হাড়িয়ার মাদকতা টিলা জুড়ে, উপত্যকা জুড়ে
শেষরাতে জড়াজড়ি করে শুয়েছিল আদম ও ঈভ
সাক্ষী কেউ নেই  ভোরের তারাটি ছাড়া

ভোরের আলো ফুটলে জড়িয়ে ধরে ,বাড়ির পথে
       হাঁটতে থাকে,ক্লান্ত পায়ে হাঁটতেই থাকে ------
মারাঙবুরু তাদের উপর খুশিতে আশীষ ঝরান

আমি দেখি সূর্য ওঠার আগেই তারা ঠিক পৌছে যায়         কোনারকের সূর্য মন্দিরে