বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৯

পলিয়ার ওয়াহিদ


চন্দ্রমুখী তোমাকে দেখে নিশিপ্রহর জেগে এক প্রেমিকের কাব্যে প্রেমের অর্ঘ,,,,,

ছবি সৌজন্যে : ইন্টারনেট (Google)

পলিয়ার ওয়াহিদ

প্রেমগুচ্ছ


আমি দুঃখ লিখতে গিয়ে বিসর্গতে বেঁধে ফেলি তোমার চোখ! কিন্তু দ্যাখো—সুখের চিহ্ন ধরে রাখার এক মাত্র শিশমহল ওই মুখ! অথচ তোমার চোখেই খেলা করে বাঘের শিকারি মুহূর্তের মতো নান্দনিক ও অভিজাত উত্তাপের ভঙ্গিমা! আর পাশাপাশি মেতে থাকা ডুয়েল ঘাসফড়িংয়ের মতো ভ্রু যেন এখনি উড়াল দিয়ে বসে পড়বে—আমাদের সবুজাভ পৃথিবীর গালে! হে প্রেমিকা, তুমি মাটির ফুলদানিতে রাখা—লাবণ্যময়ী অহমে ভরা গাঢ় এবং লকলকে পাথরকুচি! আর জেনে রাখো—সৌন্দর্য্যরে অন্য কোনো উপযুক্ত শিরোনাম থাকতে নেই!

তোমার মুখে ঝুলোনো যে আয়নামহল—সে জলের সিঁড়িতে বসে সিঁথি কাটছে মমতা আর এই ভবঘুরে আমি—তবু আদমের লোভ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করতে অক্ষম! দেমাগী লাল মোরগের পাখনার মতো কিংবা মদ্দা কবুতরের আগুনিক ডানার নিচে ফেলে রাখি লাল ফিতার বনেদী সততা। তোমার শারীরিক মগডাল থেকে উড়ে যাচ্ছে— বদান্যতার অলংকার!

তোমার মুখখানা অন্দরমহলের মতো আদরে উপচানো—যেখানে লটকানো জলসাঘর ও কারুকার্যখচিত অতিমূল্যমানের আরশি। জমজচোখ আনন্দের নাটাইফলের মতো দুলে আছে আমার বেদনার পাড়ে! তোমার ঠোঁটে খেলা করছে আপেল ট্রাজেডি আর মাংসল বাহুদুটি প্রভাব বিস্তার করছে—লিলিথের ডানার অসম্ভব কল্পনাশ্রিত উপমায়!

মউ মউ করে ভেসে আসছে—মায়া কবুতরের কূজনের মতো ডানায় মাখানো কামনার সুবাতাস। কাঁচা পেঁয়াজের রাগী মুহূর্ত ধরা পড়ে তোমার মসৃণ গ্রীবায়। যেখানে তীরের মতো ভেদ করে—আমার শিশুমতি পিপাষা আর বুকে ক্ষত নিয়ে শুয়ে পড়ি তোমার সুগভীর নাভিমূলে। কারণ শিকড় হারানো পুষ্টিহীনতায় আমার অকাল মৃত্যু, আমি—তোমাকে উপহার দিলাম।

জানো কিনা—আসমানি রঙের শাড়িতে তোমাকে উন্মুক্ত লাগে! যেন তুমি ভরাট হয়ে আছো দো-ফসলী মাঠে হরেক কিসিমের শস্যের দানার মতোন! তেঁতুল কাঠের আগুনের মতোন সুন্দর তুমি অথচ তোমার দৈহিক কদম গাছ থেকে ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ছে অহমের জিকির। আর তুমি মা পাখির মতো আমার ক্ষুধার্ত ঠোঁটে অতিযত্নে তুলে দিচ্ছো—অতীতের যাবতীয় গচ্ছিত আঁধার!

আমি পুরুষ মৌমাছি বলে—তোমার পুষ্পে সজ্জিত দরবারে ঢুকে পড়ি অনুমতিহীন এবং কম্পমানে অথচ প্রতিবারই তুমি মিষ্টি হাসি দিয়ে আমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছো—অপেক্ষার যন্ত্রণামথিত কাঠগড়ায়। কিন্তু পিছন ফিরে আমি মুখস্ত করতে ভুল করিনি—তোমার চওড়া বুকের উপর সোনালী লকেটে বন্দী হয়ে ছটফট করছে আমার রূপালি দম! অথচ তোমার নতজানু জায়নামাজে আঁকা ছিলো মুক্তির ফায়সালা!

এই কবিতা—তোমার বুকের পাতায় আমার হৃদয় ক্ষরণের কালিতে লেখা হলো! এমনটা ভাবতে ভাবতে তুমি ডুব দিলে আহত বেগুনী রঙের মখমলের বিছানায়। যেখানে ময়ূরী হবার বাসনা নিয়ে প্রবেশ করেছিলো স্বয়ং ঈশ্বর! তবু আমি তোমাকে ভুলতে পারিনি প্রিয়তমা! আমাকে ক্ষমা করো এই অভাবনীয় তসবির মতো বাক্য গঠনের জন্য! কারণ এই লেখাটির শিরোনাম সম্ভবত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার পানপাত্রে চুবানো! কারণ নিশ্চিত এখন তুমি—আমাকে মিশিয়ে ফেলবে গোলাপজলের পেটে!

1 টি মন্তব্য:

  1. এই গভীর রাতে, দারুণ সময় কাটলো পলিয়ার ওয়াহিদ এর এই লেখার সাথে। শুভকামনা পলি দা।

    উত্তরমুছুন