সোমবার, ১৭ জুন, ২০১৯

যৌথ সম্পাদনা: (সুপ্রীতি বর্মন ও পঙ্কজ কুমার সরকার)


রঙ ও প্রণয় সংখ্যার বিশেষ আকর্ষণ:


কবিতা: কুমারী বৌয়ের বরণডালা।

নাম: যৌথ নির্মাণ,,,,,, সম্পাদনা,,,,,,

সুপ্রীতি বর্মন ও পঙ্কজ কুমার সরকার



প্রথম পরিচ্ছেদ:

কুমারী বৌ,,,,


শৈশবের নিষ্পাপ সারল্যের ছাইরঙা
নিরহংকারী আস্কারার প্রশ্রয়
এক বর্ণমালা,,,
 আমাদের মিলনের কৌমার্য
তার শাশ্বত ধ্বনিতত্ত্বের মুদ্রাদোষের বন্ধনে
পদ্মাক্ষরের আকুলি বিকুলি রক্তিম প্রণয়রাগ
 নেহাত কিছু কম নয়...
বয়স নাকি আটপৌরে স্বভাবদোষ এখন সহজাত।

কিশোরীর কামরাঙা কাঁচুলীর অনুরাগী গাঁট
বক্ষকোলাজে রঙীন চৌর্যবৃত্তির মাছরাঙা পুষেছি
প্রণয়সিক্ত ওষ্ঠের লাল চুম্বন দাগ দেখাতে পারিনি তোমাকে,
পেয়েছি তবুও যৌনগন্ধী আঁশটে গন্ধ।
একদিন শ্যামল নখের আঁচড়ে
তোমার লোমশ বুকে এলোকেশে
মুখ গুঁজে লুটানো সবুজ লাউডগা হয়ে
প্রণয় বিষে খুনসুটি করে
স্তনপোষ্য দুগ্ধকলশ ঈশ্বরী তোমার আঁচল সরিয়ে দেখেছি
উড়ে গেছে অনেকগুলো বর্ণচোরা প্রেমী গঙ্গা ফড়িং
তাদের সম্ভাব্য পরম আশ্রয় ঐ স্ত্রীধন।
নির্লিপ্ত যৌনক্ষুধায় উপবাসী ঈশ্বর,,,,,
দরজার আড়ালে স্থৈর্য হারিয়ে
ঈশ্বরী কে খন্ডনে অন্নপূর্ণা কে খোঁজে।

###########


ঈশ্বরীর শিউলি বোঁটার গৈরিক সম্ভাষণে 
রাজযোটক প্রজাপতি নিরুদ্দেশে 
অসংখ্য মদহোশ গিরগিটি ; 
জরাগ্রস্ত,,,,
প্রণয়ক্ষুধাই এক এবং অদ্বিতীয়ম মহাপরিনির্বাণ।
অন্ধকারে মুখ থুবড়ে অরণ্যকে করে
 শঙ্খলাগা নৈরাজ্য মৈথুন মহিষাদল।
কালরাত্রি ঈশ্বরীর আঁচল অমাবস্যায় আনতে চায়
প্রণয়রোগে জ্যোৎস্না চন্দ্রিমার। 


 ষড় ঋতু সম্ভার --আবীরের প্রণয় আঁচলের
দুর্বোধ্য লাঙল কর্ষণে 
প্রেমিকের শীতার্ত ছটফটানি অঙ্গুলী হেলনে
 শিল্পীর কামরূপ নগ্ন খাদানে জাগে
অগ্ন্যুৎপাত এ সোহাগ লাল লাভা,,,
 যেন গোধূলির অস্তরাগে রাই তোমার নাভিবীণায় জাগে
প্রেমিকের বুকে আছড়ে পড়া এক অবাঞ্ছিত অলস ভোর। 

###########


লাল আমার রক্তিম গ্রীষ্ম দুপুরে রোমকূপ
গোগ্রাসে গলাধঃকরণ এ ব্যস্ত যখন 
তোমার নগ্নকামরূপবদনে পিচ্ছিল ঘর্মবিন্দু,,,, 
প্রেমিক তখন ঘরামি তোমার উলঙ্গ বীর্যপাতে
গড়তেই থাকবে আমার সাতমহলা ইমারত,,,, 

বর্ষার উচ্ছ্বসিত জোয়ার আঙুলের ডগায় ধরে প্রেমিক
তোমার সিঁথি থেকে পদ্মরাগমণির পেখম তোলা
পাপড়িতে এনে দিতে পেরেছে ঘূর্ণিঝড়ের মাদকতা। 
তোমার অঙ্গ আঁকতে লেগেছে চারুকলা বিভঙ্গমুদ্রায়,,, 
অবাধ্য প্রশ্রয় প্রেমিক তোমার আস্কারা। 

##########

নেশার মাদকতার ঘোরে প্রেমিক
তোমার আফিমরঙা ওষ্ঠ যখন 
মদ্যপ নাভিতে রেখেছো নিকোটিনের পর্যাপ্ত রতিসুখ,,,
 অধিগ্রহণের হাঁপড় টানা দীর্ঘশ্বাস 
তখন রাইরঙা আমি চন্দ্রিমা কিশোরী 
হিরন্ময় কস্তুরী ঘ্রাণে তোমাকে বুঁদ রেখে
মাদল নিতম্বের দ্রিমি দ্রিমি বোলের
ধামসা মাদল নৃত্যে তোমার বুকের রগরগে 
রক্তিম নৈশভোজের দগ্ধ মেহগনির দহনে
অগ্নিমান্দ্য শোক মাংস পুড়ে খাক
 তোমাকে কাছে টেনে রমণী জড়ানোর রোগে।। 
কাল চুলে বেঁধে রেখেছি ভরা কোটালের জোয়ার
তোমার পদশৃঙ্খলের বাকল রমণীকে করেছে কব্জা
 শৃঙ্খলে মাথা খুটে মরতে লেগেছে শরম লাজ লজ্জা,,,  

############


অলসতার আতিশয্যে মাথা গুঁজে
ন্যাওটা প্রেমী ঘুড়ির মতো 
তোমার নাভির ক্ষীরপাক বিধির দোহনে পাক খাওয়া
সুতোর লাট ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে তোমাকে নগ্ন ঊরুদ্বয়ের
আগোলে রেখে উড়িয়েছিল উর্ধ্বে কামাকাশে
তারপর গোত্তা খাইয়ে নামিয়ে আনতে লেগেছে
 চরম শীৎকারে তৃষ্ণার্ত গুল্মকর্ষণের রুক্ষসূক্ষ্ম জমিতে। 

ঋজুস্তনের গোলাপী আভা নিমগ্ন চৈতন্য ধূসর
উথালপাতাল শ্বাস
 হা করা কনে দেখা আলো গোধূলি নগ্নিকার হাতের
পাঞ্চজন্যে মুখরিত শীৎকারের হোমাগ্নিতে
উলুধ্বনি শঙ্খডাকে অবরুদ্ধ গমক শাড়ির লাটে
নাভিনমনে উদগ্র রতিক্লান্ত কাপালিক,,,, 
ব্যগ্র উদ্বিগ্ন হয়ে শুনতে থাকবে আমার মুক্তাসুখ
তোমার আচ্ছাদিত পুরুষালী খোলসে শুভ্র ঝিনুক,,,,, 
ঈর্ষার জ্বলন্ত চম্পকচামেলীর গোছাভরা চুলে
কজন সৌম্যকান্তি মেয়েলি অঙ্গে নাভিঅরণ্যে ধরবে
বৃশ্চিক জ্বালা একাকীত্বের পোড়াধরা দুধেলা স্তনকুমুদ
শুকিয়ে হবে হাড়জিরজিরে পুরুষরিক্ত মৃণালের ডাল,,, 
অপভ্রংশ সঙ্গম ক্ষুধা,,,, 

############


আর আমি ক্রমশ ক্ষুধার্ত সিংহী কেশে
 ঝাঁপিয়ে পড়বো তোমার নিম্নাঙ্গে
 লাল সোহাগী ওষ্ঠ এর কুরুশকাঁটায় নিমগ্ন
উন্মোচনে রত হবো তোমার খড়ির সমুদ্র,,,,, 
চাবড়ানো নিতম্বের আগোলে তোমার
সিংহদুয়ার ফাটলের মুখে অঙ্কুরোদগম বীজ,,,, 
স্নিগ্ধ হবে শুভ্রকাঞ্চন মৈথুনে ফেনিল ঢেউয়ের
আছড়ে পড়া,,,, আমার শুখা জমিন,,,, 

############


নেশাতুর রমণীর, পুরুষালী কবন্ধে ঠোঁটকামড়ে টানটান
স্থিতিস্থাপক দৃঢ়তায় ঋজু পৌরুষের কোলাসনে
 অধিরূঢ়া নগ্নিকা
মন্থনে উজাগর একাকী ভিখারী রাত্রিযাপণ বিষ,,,
কালরাত্রি,,,সোহাগের নিষিদ্ধ পাঁচিল

নিষাদ তোমার তূণে গচ্ছিত রেখেছো
 আমার সংগ্রহ বীর্য 
লাল আলতা পদযুগলের আখরে তোমার মৈথুনক্লান্তি,,,
সকল অবসাদ,,,, 

###########


চিতশোয়া উলঙ্গ ঝর্ণার স্রাবে স্নানরত তোমার পৌরুষ,,,,
উদোম স্বর্ণালী ঝালরের মগ্নোপাসক ঋতুমতী নারী,,,
ছোঁয়াচে পুরুষস্পর্শের ঘ্রাণে তার সারস গ্রীবায় উঠে শিহরণ
 ধুন্ধুমার ঝাঁকানো স্তনের ঝুলন্ত সিঁড়ি,,,
হাঁতড়ে উঠে গোঙানো স্বরে কোন জলে ডোবা
রোদে পিঠ চিতশোয়া কুমীর,,,, 

কামড়াকামড়ির পরিণামদর্শী যৌনসঙ্গম স্খলনে
কাঙালীপনায় উত্তপ্ত পুরুষালী ঔরসে
 ভিজে সপসপ গোটা গড়ন গয়নাবড়ি,,,, শিশ্ন‌আভূষন,,,,
চাতক হরিণী চক্ষে মৈথুন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি,,,,
হঠাৎ ঝামরে বৃষ্টির চলকে উঠা রতির হিরন্ময়
কাজলাদিঘীর স্রোতে এল দিকভাসি উন্মাদনা,,,
জোয়ারের উচ্ছ্বাস,,,, 
তোমাকে যেন ভুলে ফেলে না আসি নোঙর ছেড়ে
দিকভ্রান্ত বৈতরিনী পিছুটান কোন স্রোতের ডাকে,,,, 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন