সোমবার, ১৭ জুন, ২০১৯

অনীক চৌধুরী


#প্রণয়।

#অনীক চৌধুরী।

তারও কি বুকের ভেতর ফাঁপা লাগে?
মধ্যরাতে কভু একাকী জল গিলে,
নখের আগায় অহরহ প্রেম খোঁজে।
শিরশিরিয়ে আকুল তৃষ্ণায় মন জাগে।
অবিরত প্রেমের তলানিটুকু করি পান,
সলাজ পাঁপড়িময় গোলাপের সুবাসের মতো।
তোমাকে আহরণ করি গোলাপি ময়ূর অধর থেকে,
নীল আকাশের উচ্ছল জিহ্বা নিয়ে বরং
গুপ্ত চন্দ্রমন্দিরের পথে অগ্রসর হই।
সোমত্ত শরীর ফুঁড়ে মধ্য শ্রাবণের জল,
প্রত্যহ দেখতে আসে চাঁদ একাদশী দল।
কনিষ্ঠার আঙুল এঁকে যায় দেহাগত সুর,
হাতের করতলে নাচে প্রণয়ের ঘুঙুর মুদ্রা।
আজ আমাদের ছোট্ট নদী বাঁকে বাঁকে নয়,
দুইধার সমানে সমান চলে আর থামে।
আর যেন জলে নেমে আসে উচ্ছসিত চাঁদ।
আজ অশান্ত তুমি দুর্দান্ত ললনা বেশে
কঠিন রূপ নিয়েছ অসত্যের সাথী হয়ে,
ভরাট কন্ঠে দমন করেছ সুস্থ প্রেম,
অবাঞ্ছিত প্রণয় খেলায় আজ নিমগ্ন।
নির্জন রাতে আমি স্বেচ্ছায় হয়েছি সোপর্দ।
অথচ অকারণে রেখেছ তৃষ্ণায় কাতর,
নগ্ন নিঃশ্বাসে কলুষিত শোবার ঘর,
অনাবৃত করে দিলেম কাঁচুলির হুক,
শাড়ীর ভাঁজে ভাঁজে মাদকতাময় গন্ধ।
প্রেমের দামে শুভ্র বুকে ঘামের সৌরভ
নাভির অতল গভীরে ভালবাসার হিস্যা।
ঘৃণিত আচ্ছাদনে আজ খুনের মহড়া,
কালো কালির আঁচড়ে বুকপকেটে বিশ্রী ছাপ।
হৃদয়ে অসহ্য বেসামাল চাপের রাজত্ব,
আজ আমি বড্ড অবিবেচক,
লুকাবো সন্ধ্যামালতীর নীরব সন্ধ্যায়।
দাগী আসামীর জন্য শক্ত শিকল দরকার,
ভারী শরীরে নেই অদম্য ছলাকলা,
পালানোর পথ বন্ধ অসহ্য নিঃশ্বাসে,
শুধুই পড়ে রইবে বেহিসেবী রাতের কথামালা।

1 টি মন্তব্য: