শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২০

পাকীজা কৌশিকী হ্যাংলা আলতা রাঙা চরণ## সুপ্রীতি বর্মন


 

পাকীজা কৌশিকী হ্যাংলা আলতা রাঙাচরণ


অঘোরতান্ত্রিক শোক চন্ডালিনী


ভূতচতুর্দশপদী 


সুপ্রীতি বর্মন




প্রত্নতাত্ত্বিক প্রথাগত বৈবাহিক বন্ধন এ আটকে পড়ে থাকা এক উদ্বিগ্ন কাছছাড়া মানসিক বৈকল্য এর স্বামী তার পরিণয়ে পাশে থাকা চন্ডালিনী কে খোঁজে অষ্টপ্রহর কৃষ্ণকলি তার স্বৈরাচারী হাহাকারে আলতা রাঙা পদশৃঙ্খলে স্বামীর বক্ষে রাত্রিকে অগস্ত্য তৃষ্ণা করে তোলে এই বিনিদ্র ঘনঘোর রজনী।।।।। এদিকে রাজকীয় অভিমানে স্বামীর বক্ষপিঞ্জরের কঙ্কালিতলায় চৌচির জরাজীর্ণ চাঁদ ক্রমশ ভুগে যেতে থাকে পুনরুদ্ধার করার সম্ভোগের সম্ভাবনায় তবুও স্বামী দিবারাত্রি মাথার দিব্যি দিয়ে নিজের পুরষ্টু কমন্ডুল গচ্ছিত রেখে তোমার একমাত্র সম্পত্তি করে তোমার কাছে আঁতুড়ঘরে।।।।।তার স্ত্রীয়াচারের শেকড় বাকড়ের নিয়মের শৃঙ্খলে রমণীয় আলতা রাঙা চরণে নুপূরের নিক্বণ শুনে যায় এক অঘোরতান্ত্রিক মায়াবনবিহারিণীর খোঁজে যাকে সে নিজের করে পেতে চায় তার খুব কাছে।।।।।। 

ওদিকে স্বামী সোহাগের উচ্ছন্নে মাটি থেকে অনেক দূরে আঁতুড়ঘরে লেগেছে খুশীর

হাট।।।।।স্বামী আদিত্যের তখন ছটফটানি ছায়া যে নেই পড়িমড়ি পাশে পাশে সাহচর্যে সাংসারিক কার্যে সবটাই ঘাড়ে মাথায় জগদ্দল পাথর একলা একার শ্মশান তবুও আলতা রাঙা চরণের ভ্রমিল কাঞ্চনকামিনীর কাঞ্চনজঙ্ঘায় নেই কোন বিষাদগ্রস্থ কাঙালিনী মেঘ যে অকালবর্ষণে ঝরতে চাইবে আমার হৃদমাঝারে আড়ালে আবডালে।।।।।।এক বন্ধ্যা উষর মরুপ্রান্তর জেগে উঠে তখন বুকের পাটায় আর শোক ও জরা কামড়াকামড়ি উলোপালি করে উলটপুরাণে আমাকে গার্হস্থ্য পাঠ শেখায় একলা থেকে যাবার।।।। ওদিকে যখন ভাবি সে চাইলেই তো আমাকে একবারটি থথেথাম পক্ষের উড়ানে কাছে ডেকে নিতে পারতো নিজের করে লাজলজ্জাত্রিশূল সংযম বিভ্রম ছেড়ে তাহলেই তো এই কৈমাছকাঁটাকীলক ছাল যন্ত্রণা ভোগ কিছুটা হলেও কমতো।।।।পরক্ষণেই তখন মনে প্রশ্ন জাগে আচ্ছা তার কী মনে প্রাণে তার এতোটুকু দয়ামায়া নেই নিজের স্বামীর প্রতি।।।।।। 

এই কী তবে সংসারের নিয়ম নিক্তিনিপাট্যনীতি নির্ধারণ শ্লোকপাঠ।।।।। 

কোথা থেকে এর উৎপত্তি আর কী হলো এর ঐরাবতের পায়ের তলায় চাপা পড়া ভারি ভারি প্রস্তরীভূত শাস্ত্রযোগ্য অন্তর্নিহিত অর্থ শুধু চলে আসছে আর চলতে থাকবে এমনটা  অভিজ্ঞানে চালিয়ে নিয়ে যেতে থাকা পরগাছা  ভ্রমে আপাদমস্তক উগরানোর যন্ত্রণা বহন।।।। 




সে কী সব মাথা চিবিয়ে খেয়ে বসে আছে জানুসন্ধি চিরে যেতে থেকে সে পৌরুষের ঔরস গেছে একেবারেই ভুলে যে আঁতুড়ঘরে তাকে একলা ছেড়ে আমার কী প্রাপ্তি হলো শুধু এক নতুন আগত প্রজন্ম গার্হস্থ্য আশ্রম এর এক পর্যায়ে কিন্তু তোমাকে কাছছাড়া রেখে দিবারাত্রি ঐকান্তিক মোহ এ পাগল হয়ে জরাগ্রস্ত জমাট বাঁধা রক্ততঞ্চনে তোমার রক্তজবা শুষে আমার প্রতীক্ষার কালঘামের ঊণকোটি চৌষট্টি স্বর্ণ‌আভা গলে গলে পড়ে আমার লিঙ্গ তোমাকে ছাড়া অধঃক্ষেপ এক অর্ধেক মনোমালিন্য এর হারাম গৃহকোণ।।। ‌‌

তোমার আলতা রাঙা চরণের নিক্বণের অঙ্গারে মল্লিকার নৃত্যনাটিকার তুমুল বর্ষণে জড়াজড়ি হরাহরি হলাহল ভাগে ভাগ রিক্ত কিংবা শূন্যতার হরণ।।।।।।তাই রিরংসায় তোমার চিবুকে যখন ছুঁয়ে দিতে চায় আমার অসীম দূরত্বের আগ্রহের উৎকন্ঠায় শুকিয়ে যাওয়া কাঠগ্রীবা ও উদ্বিগ্ন‌উৎকোচলালিত্যরমণওষ্ঠের সমর্পণ তোমার হৈচৈ আড়ম্বর অকালকুষ্মান্ড জরোয়ার অলংকৃত ঝুমকো তখন কেমন করে যেন ব্যর্থতার শ্রমভস্মের দাহপ্রপাতে ঝলসে উঠে যৌবনের ভ্রমরকৌটো যেখানে তোমাকে চিরকালের জন্য সংরক্ষণ করতে চায় বিধিবদ্ধ নিয়ম নীতি ত্যাগ করে।।।।। পুরুষালী বহ্নিশিখার অন্তর্দহনে যাতে শুধু জেগে থাকবে আমার পুরুষালি সৌষ্ঠব আগ্রহকান্তিরমণ ক্ষরণ ঘুমন্ত জাগরণ এক অলিক ভ্রমিল সুধা।।।। 

   কিন্তু দূরে দেখা যায় এক পাগল চন্ডালিনীর আক্রোশে হাড়হিমমজ্জামাটি সৌদামিনী যার কেলেঙ্কারির অভিযোগ এর নিক্বণে সংসারের ভিটেমাটির শিকড় উচ্ছেদ করে এক আত্মহত্যার প্ররোচনায় এগিয়ে যেতে থাকা দুটি দীর্ঘসূত্রী চরণের উপাখ্যান।।।।।

নয় তা নিছক কাকতালীয় কাকডাকা ভোর আমার স্বামীত্বের নাঙ্গা হাড়ে কাঁপন ঘটে যাওয়া অশনি সংকেত তখন টের পেয়েছি অর্ঘ্য তোমার স্ত্রী আচারের জ্বলন্ত কুসুমকুমারীর অকাল শ্রাবণ ক্ষুধার্ত শমন।।।।

যে তোমাকে সখী করে একদিন প্রাণপনে চেষ্টায় নিয়ে যেতে চেয়েছিল নিজের করে।।।। 

যেন দুটি আলতা রাঙা চরণ কাছছাড়া হয়ে চলে যেতে চায় সবকিছু তার আঁচলে জড়িয়ে জাপটে ধরে এক ভাস্কর্য এ রুদ্র প্রেমিকার ইন্দ্রপতনে কোন অলৌকিক দ্বৈরথে।।।।।।। মাঝামাঝি তখন ঝুলছে এক চ্যালাকাঠ আমার স্বামীত্বের সমীকরণের মাঝে অসমাপ্ত মিলন তবুও আজকের দিনে এই অর্গলহীন আনন্দে নেচে উঠতে গিয়েও অপারগ এক স্বামীর মন পিতৃত্বকে জ্যান্ত তর্পণে অপার্থিব জগতে দূরে ঠেলে দিয়ে শুধু তোমাকে নিজের করে কাছে পেতে চায় আরেকবার সব ভুলে।।।।।। 

কারণ এতোদিন ধরে ঐ আলতা রাঙা চরণ আমার কাছটি থেকে থাকবে অনেক দূরে এক গোপন আঁতুড়ঘর এর অন্ধকারে এই যাতনা যে আর সয় না।।।।।। 

স‌ইবো তা কেমন করে এক স্বামী হয়ে।।।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন