বিনয় মজুমদার,,,,,,
প্রিয়তমা ত্রিশূলীপাহাড়,,,,,
((নৈঃশব্দ্য সন্ধ্যা এলোকেশী ঈশ্বরী সঙ্গমচন্দ্রিমা চকোর মীনচক্রবৎ ঘূর্ণন
মধুমক্ষিকা জ্যোৎস্না রমণ সঙ্গম
সুধাযাপন নিঃসঙ্গ যন্ত্রণা সঙ্গোপণ ঈশ্বরী
সর্বান্তঃকরণে সমর্পণ ক্ষুধার নিত্যতা সূত্রে রাঙা সোহাগ অগ্নিমান্দ্য দুরন্ত শোক চরণ
আশ্রয় নির্লিপ্ত যাপনে
তোমার বক্ষের অনন্ত বিভাজিকায় আমার রাত্রি
আমার মণিকর্ণিকার ঘাট নোঙর ফেলার সংস্থাপন রতি))
বিশ্লেষণী প্রেক্ষাগৃহ
সঙ্গমসৌন্দর্যচন্দ্র মোহ (করবাচৌথ)
সুপ্রীতি বর্মন
প্রিয়তমা তোমাকে মাঝে মধ্যে ত্রিশূলী পাহাড় বলে মনে হয় যার উত্তুঙ্গ চূড়া,,,,,
ইতিমধ্যে অকালবর্ষণ শুরু হয়ে গেছে,,,,,
অরণ্যানী ঘন আগাছা মূলরোম কর্ষণে প্রায় সিক্ত বনের পথ,,,,,
সেরকম স্নিগ্ধ ও বর্ষণসিক্ত অরণ্য তার গুপ্ত দৃঢ় কৃতাঞ্জলিপুটে চায় আমন্ত্রিত অতিথিকে,,,
যাতে সে একটু স্থায়িত্ব কিংবা সংযমের কাঠিন্য পায় নিজের অস্তিত্ব কে সংরক্ষণ করার জন্য,,,,
অন্যদিকে গিরিগুহা কিংবা গিরিখাত,,,,
কার পবিত্র অঞ্জলির নিষ্ঠীবন এ সিক্ত হয়ে গেছে যে তা অভ্যর্থনার জন্য উদগ্রীব হয়ে উন্মুখ ভাবে পথ চেয়ে বসে আছে সেই কবে থেকে,,,,,
এদিকে তখন মহাপ্রলয়ের নাচনে মহেশ্বর ক্ষিপ্র স্বামী সতীকে হারিয়ে ফেলার শোকে ও সন্ত্রাসে সবকিছু সৃষ্টি চিরকালের জন্য ধ্বংস করার উল্লাসে অশ্রুবর্ষণে গলাধঃকরণে প্রবল আঘাতে শেষে পাহাড় নাচাতে থাকে,,,,
তাদের প্রণয় চিরকাল পিছল প্রণয়,,,,,
ছন্দে ছন্দে নেচে যায় আর প্রণয় একটা সন্ধির মতন প্রাত্যহিক অঙ্গ উপাঙ্গে সন্ধির সমীকরণ এর মতন দৃঢ় বন্ধনে সন্নিলগ্ন হয়ে জুড়ে যায় জন্মের পর জন্ম,,,,,
অবশেষে পিছল প্রণয়ের রসস্রাবের বর্ষণে সিক্ত ও তৃপ্ত গিরিখাতপথে দলে দলে বহির্গত কণা কণা তীর্থযাত্রী চলতে থাকে অন্তরের দিকে,,,,
এই ঘন প্রেমের বর্ষণ নিজেই স্বয়ংসম্পূর্ণ সৃষ্টির কারুকার্য বিমূর্ত ঈশ্বরীর একান্ত নিজের,,,,
এর কোন বিকল্প কোনদিন ছিল না আর হবেও না,,,,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন