বিনয় মজুমদার,,,,,,
প্রাগ্রসর উদগ্রীব হৃদয়,,,,,
((নৈঃশব্দ্য সন্ধ্যা এলোকেশী ঈশ্বরী সঙ্গমচন্দ্রিমা চকোর মীনচক্রবৎ ঘূর্ণন
মধুমক্ষিকা জ্যোৎস্না রমণ সঙ্গম
সুধাযাপন নিঃসঙ্গ যন্ত্রণা সঙ্গোপণ ঈশ্বরী
সর্বান্তঃকরণে সমর্পণ ক্ষুধার নিত্যতা সূত্রে রাঙা সোহাগ অগ্নিমান্দ্য দুরন্ত শোক চরণ
আশ্রয় নির্লিপ্ত যাপনে
তোমার বক্ষের অনন্ত বিভাজিকায় আমার রাত্রি
আমার মণিকর্ণিকার ঘাট নোঙর ফেলার সংস্থাপন রতি))
বিশ্লেষণী প্রেক্ষাগৃহ
সঙ্গমসৌন্দর্যচন্দ্র মোহ (করবাচৌথ)
সুপ্রীতি বর্মন
অভুক্ত শরীরীক্ষুধার যাপনে যখন কালরাত্রি নেমে আসে নাভিকুণ্ড ঘিরে তখন তুমি যেন করপুটে অঞ্জলি দিতে উদ্বিগ্ন ও লালায়িত হয়ে উঠো সকল লজ্জা পরিত্যাগ করে নিরাভরণ হয়ে আমার পদশৃঙ্খলের জোড়ে বিনম্র শির ঝুঁকিয়ে,,,,,
তোমার করপুটে আবেষ্টিত হয়ে আছে আমার সবচেয়ে বড় জাতক কিংবা ঐশ্বর্য অতি লোভনীয় সুমসৃণ মুন্ড যার লেহন তুমি শুরু করে দিলে,,,,
যত চোষণের মাত্রা দ্বিগুণ ছন্দোবদ্ধ তালে বৃদ্ধি পেতে থাকে তত প্রাগ্রসর হয়ে উদগ্রীব হয়ে উঠে আমার হৃদয় শিহরিত হতে থাকে আমার কায়া,,,,,,
তোমার করপুটে আবেষ্টিত ঐ যাদুদন্ডে তখন তুমি সচল চর্মশিল্পের অনুশীলন করে যেতে থাকো একাগ্রচিত্তে,,,,,
টানের পর টান কিংবা চামড়া ট্যান দেবার জন্য তোমার নিরলস প্রয়াস একবার উর্ধ্বগতি আর একবার নিম্নগতিতে হতেই থাকে,,,,
আমার হৃদয়কে আরো বেশী করে উদগ্রীব আর শরীর কে টালমাটাল করে দিতে থাকে,,,,,
তোমার এই করে যাওয়া অহর্নিশি প্রয়াস,,,,
তোমার পাকাপোক্ত কৌশলে ও নৈপুণ্যে বেশি করে যাদুদন্ড যেন রসের গাগরে ভারি হয়ে যেতে থাকে,,,,,,
ওদিকে তোমার রূপে ও রসের আমন্ত্রণ এর নেশায় আর তুমি যেভাবে নিজের কলাবতী মুদ্রাযাপনে উত্তাল করে দিয়েছো আমায়,,,, আমিও তোমার উন্মুক্ত উষ্ণীষ রোমের মায়াজালে কাতর হয়ে বন্দী হয়ে একমনে চেটে যেতে থাকি ঘ্রাণময় বিভক্ত লেগুন,,,,
যেন কেমন এক অঘোরতান্ত্রিক তৃষ্ণা আমার কাটতেই চায় না কিছুতেই,,,,
তাই চেটে যেতে থাকি অনর্গল নেশায় কোন এক তৃষ্ণার্ত সর্পের মতন,,,,
আমার তখন মতিভ্রম ঘটে যায় তোমার জাদুর ঘোরে যে আমার মনে হয় তোমার ঐ কুচনিপীড়নে লালাভ সুডৌল প্রবাল বলয় যেন সুগভীরে নেমে এসে ক্ষুদ্র সমুদ্র কে বিশাল করে দিয়েছে,,,,,,
যাতে আমি জল খাচ্ছি ডুবছি উঠছি কিংবা থৈ না পেয়ে অকালপ্লাবনে ভাসতে বসেছি,,,,, আচ্ছা ঐটা কী তোমার সেই বাঁধানো জোড়া পলা রক্তিম সোহাগে আজ রক্তাক্ত আধিভৌতিক প্রবাল বলয় হয়ে বিবাহের চৌকসে নিয়মে আমাকে চুম্বনে চুম্বনে শ্বাসরুদ্ধ করে তুলতে লেগেছে,,,,
তাতে তোমার মতি বিপরীতে চলে যায়,,,,
তুমি ক্রোধান্বিত হয়ে আমাকে ভুল বুঝে আমার মুখ দেখবে না বলে বিপরীত দিকে ঘুরে যাও,,,,
কিন্তু কাঁটা কম্পাসের মতন জিওমেট্রি বক্সের আমার লক্ষ্যমাত্রা কিংবা গন্তব্যস্থান শুধু তুমি শুধু তোমাকেই কেন্দ্র করে,,,,,
তাই আমি তোমার প্রতি রাগ বিদ্বেষ সব রূপরেখা পরিত্যাগে মৌখিক অনুরাগে প্রণয়িনীর স্ফীত নিতম্ব জড়িয়ে শুয়ে থাকি পেছন থেকে আর অবশ্য তুমিও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী নও,,,,,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন