বিনয় মজুমদার,,,,,
কবিতা: দুজনের অতি ব্যক্তিগত,,,,,,
((নৈঃশব্দ্য সন্ধ্যা এলোকেশী ঈশ্বরী সঙ্গমচন্দ্রিমা চকোর মীনচক্রবৎ ঘূর্ণন
মধুমক্ষিকা জ্যোৎস্না রমণ সঙ্গম
সুধাযাপন নিঃসঙ্গ যন্ত্রণা সঙ্গোপণ ঈশ্বরী
সর্বান্তঃকরণে সমর্পণ ক্ষুধার নিত্যতা সূত্রে রাঙা সোহাগ অগ্নিমান্দ্য দুরন্ত শোক চরণ
আশ্রয় নির্লিপ্ত যাপনে
তোমার বক্ষের অনন্ত বিভাজিকায় আমার রাত্রি
আমার মণিকর্ণিকার ঘাট নোঙর ফেলার সংস্থাপন রতি))
বিশ্লেষণী প্রেক্ষাগৃহ
সঙ্গমসৌন্দর্যচন্দ্র মোহ ((করবাচৌথ))
সুপ্রীতি বর্মন
যখন গ্রহের ফেরে ও কপালদোষে অপভ্রংশ হয়ে যায় জৈবিক চাহিদা ও জীবনযাপন বাধ্য হয় কঠোর হতে,,,,
তখন রূঢ় আলিঙ্গনে থেকে যায় শিথিল কোমলতার স্পর্শ সুখ,,,,,
পাঁজরগুলো দুশ্চিন্তার জটে পাকানো আত্মদহনের অগ্নিতে ভস্মীভূত হতে থেকে ধোঁয়ার সাথে তোমার ওষ্ঠে মিলিয়ে যেতে থাকে,,,,,
তবে এক্ষেত্রে আমার নেশা কিছু আলাদা বৈচিত্র্যময় সঙ্গম তোমার সাথে আমার,,,,
বিশ্বাস করো এই অনুরক্ত হয়ে যাওয়া তোমার,,,,
আমার বুকে নির্ভয়ে শুয়ে রতিস্নিগ্ধ কবচে দিয়ে যেতে থাকো অবচ্ছিন্ন সঙ্গম,,,,
যদিও তা সম্ভব নয় দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হওয়া কারণ অবিশ্রান্ত লাঙলকর্ষণে ঘাম ঝরতে থাকে দেহে,,,,,
পুরুষালি সহ্য শক্তিতে ঘুণ ধরায় ক্লান্তি যা সুন্দর কন্ঠলগ্ন বিরতি টানে আলপথে,,,,,
তুমি যেন আরো বেশী আঁকড়ে ধরো আমায়,,,,,
নিঃস্ব ও নিঃসঙ্গ যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যখন এই শীর্ণকায় শরীর লুকাতে লেগেছিল তোমার কোলের কাছে এই বোধে যে আমার আজ কিছু নেই,,,,,
তখন আমার আশ্চর্য লাগে তোমার শিথিল কোমলতার মতন আমার বুকের উপর শুয়ে থাকা নির্ভার ও নির্ভয়ে যেন তোমার একমাত্র ঈশ্বর আমি শুধু আমি,,,,,
তখন সেই পরমার্থ জ্ঞান নিশ্চয়তা পেয়ে আমি আত্মতৃপ্তি পাই,,,,
তখন কেমন করে যেন সকল বোধের ভিতর রতি রক্তিমতা দিয়ে প্রীতি বোধে আসক্তি জেগে উঠে,,,,
অনীহার ঝুলে থাকা বিষাদের কালো মেঘ সরে গিয়ে সঙ্গমক্রিয়া সব কার্য সম্পাদন করে,,,,
আমরা শুধু অক্লেশে আত্মসমর্পণে তার কাছে হাতের পুতুল হয়ে আজমাইশ হতে থাকি,,,,,,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন