জ্যান্ত আস্ত ভূত মনুষ্য তুমি নিজেই
অভিশপ্ত জাগ্রত হাড়কঙ্কালসার অধ্যায়
তালপাতার উলঙ্গ শীর্ণকায় সেপাই
চন্ডকাম
সুপ্রীতি বর্মন
ন্যাকাষষ্ঠী হিজিগিজি ন্যাংটো মাতাল ও ভৌতিক রহস্য বলে কোন ঘোর যদি কিছু থেকে থাকে তো তা এই মনুষ্য সমাজ যেটা মান্ধাতার আমল থেকে ঝুলছে হাজার খানেক অভিযোগ ও আক্রোশের বাণ বুকে নিয়ে অপঘাতে জ্যান্ত লাশ হয়ে।।
হিংস্র লোভী জানোয়ার মন নিয়ে মেরেই যাচ্ছে কখনো নিজেকে আবার কখনো রাজনৈতিক কৌশল লাগিয়ে তার ঘ্রাণে মন্ত্রমুগ্ধ অর্থ আত্মসাৎ করে।। আর নিজের খুব কাছের জন কে আঁতে ঘা মেরে ষড়যন্ত্রের চক্রব্যূহ এর গোপন অন্ধগৃহকোণে রেখে শাস্তি দিয়ে যেখানে শয়ে শয়ে নিরীহ আত্মা রোজ কুশপুতুলের মতন পুড়ছে জতুগৃহের অনলে ন্যায় পাবার প্রতীক্ষায় কবে থেকে সকলের বিবেক জাগ্রত হবে বলে।।।।।
পাঁচমোড়া লেনে পাঁচমিশালী নৈঃশব্দ্য যাপনে দশটা পাঁচটা লোকাল ট্রেনের কালো মাথা ক অক্ষর ভুলে রক্তমাংসে রোজ দিচ্ছে শুক্রাণু ও বীর্যের নিপাট চিত্রনাট্যের উলঙ্গ কালাশৌচ ধর্ষণ এর ইতিকথা।।।
রক্তবীজ একটু করে দিন গুণে সেঁধিয়ে ঢুকছে অন্তর্বাসে ঝুলন্ত উদ্যানে আর অভিশপ্ত আত্মহত্যায় ঝুলন্ত দেহ নিষ্পাপ হবার পরেও আত্মগ্লানির শনি গ্রহদোষে পচে গলে জীবন্ত লাশ হয়েই থেকে গেছে চুপটি করে লক্ষ্মী মেয়ের মতন প্রকৃত অন্ধপতিতা জীবন পাপ সিঁথিতে ভরে টইটম্বুর রসালো মর্তমান কলার অজন্মাভ্রূণ গর্ভে নিয়ে।। অকালহত্যার বাঁশ সেঁধিয়ে ঢুকছে মস্তিষ্ক এর গর্ভগৃহে যেখানে হতে লেগেছে সেই একঘেঁয়ে যজ্ঞ দীপাবলী পার্বণ লৌকিকতায় আর আমার কালী কে উলঙ্গ দৃষ্টিকোণে চেটে গিলে এক নগ্নিকা প্রণয় অপভ্রংশ সহজাত অধ্যায় করে এবং সঙ্গমের মানসিক কুরুচিকর প্রবৃত্তি গ্রহণে অবলীলায় খিস্তী মেরে ছোকরা দল শুধুই ছোটলোকের গালি দিয়ে বলে উঠে তোকে চুদতে চাই শুধু দে দেখিনি গতর দে মাগী অনেক হয়েছে।। সত্যিই ছি ছি এটাই আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে এ জীবন পূর্ণ করো তার আসল অভিব্যক্তির পাঠ।।।।
এটাই তোমাদের চিরাচরিত আলোর ভেকদশা ও কালীর কৌমার্য হরণ রাজপথের অভিমানী কানাগলি হৃদয় সরসী অধ্যায়।।।।
রক্তজবায় পুংকেশরে গুপ্ত শিরচ্ছেদ পরাগরেণুর সৌগন্ধ ছাড়া মায়ের আলতা রাঙা আলাপনে ভূমিতে লুটায় রজঃস্বলা নারীর আঁচল।।।।।
অকালকুষ্মান্ড মন সারাজীবন অমাবস্যা শোষণ করে রক্তাক্ত স্রোতের জোয়ারে প্রমাণ দিয়েই যেতে থাকে যে সে এখনো মরে নেই জীবন কিছুটা এখনো বাকি আছে।। নিঃশ্বাসে নিজের মতন করে বাঁচতে তাই পঞ্চভূতের ধুলো ঝেরে অপাপবিদ্ধ ঘ্রাণে মারীচমাতালনৈশ বাঁশ বাগানে চন্দ্রের ঘোরে এখনো সে সবকিছু ভুলে থেকে যেতে চায় বাঁশির মুগ্ধশরমের ঈপ্সিতকালের ঘোরে।। উপোসী রাশিচক্রে কুন্ডলিনী জাগরণে চন্ডকাম ত্যাগে ঊরুশোণিত হাড়হিম রাত্রিকে জড়িয়ে নিজের করে আঁকড়ে ধরে।।।।
সেখানেই তার পবিত্র পুরুষালী ঔরসে হবে পুনর্জন্ম সহাবস্থান শোকের উন্মীলিত ক্ষুধার তৃপ্তি ও কোজাগরী পার্বণ।।।।।
##মায়ের পায়ে জবা হয়ে হোক না ফুটে মন
##তার গন্ধ না থাক যা আছে তা
##নয় রে ভূআলাপন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন