১. কবিতা ১৮
শাল্যদানী
************
যুবতি নদীতে কুমারী স্রোত
পথিককে জল দেবে কে?
বিবাহিত নৌকাগুলো দিব্যি ভাসছে
নিরামিষ গান গায় সে মাঝি
ভাটিতে মাটিতে মার্বেল
মার্বেল ঘরে পরকীয়া নক্সাকাটা
গোমুখ গুহা থেকে আনিয়েছি ছাদ
চুইয়ে পড়া জল সাক্ষ্য দেয় আজো
বুকে তার কত প্রেম।
সেই প্রেমের বাষ্পে ঘামুক মন
শরীরের ইস্পাত গলুক
গন্ধে আসুক বারান্দার হেম
ধূপ জ্বালাক শান্তির গাঢ়তম নিশ্বাসে
এক প্রশ্বাস সংলাপের জন্য।
কানপেতে শুনো তার ধারাভাষ্য
ছন্দে ছন্দে লিপ্ত-
তার অক্ষতযোনি।
কুমারীপূজো করেছি মাঝ রাতে...
২. কবিতা:
অনুভবে ১
শাল্যদানী
******************
পরকীয়ার বীর্য আঠালো নয়,
এক টুকরো কাপড়েই সে মোহনা খুঁজে পায়।
লাল রক্ত নীল প্রেমে আঁশটে,
বাক্য বন্দী থাক কাব্যে।
নতুবা ওরা সায়ার দড়ি খুঁজতে
বেড়িয়ে পরবে মাছ বাজারের স্বঘোষিত রাজপথে।
৩. কবিতা ২০
শাল্যদানী
**************
একটুকরো জামদানি প্রেমের কোলাজ
মেঘে মেঘে বাস্পমৈথুন খেলা
সাঙ্গ কর কবি।
চিরসহচরা অনন্তমূল মন্থন
অমৃতরসে দৃঢ় প্রত্যয়
এক কল্পারম্ভ।
মনান্তর মনযোগানো মেহেফিল
বাড়ন্ত আস্কারা আম আঁটির ভেঁপুর সুরে
কে সে বাজায়
আজন্মকাল
গ্রাফিক মজলিশি ডামাডোল
সুন্দরনগর ষড়ঋতু
রিপুদমন।
জন্মে গ্রহণকাল মেঘ
মৃত্যুপথে অকালবৈশাখী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন