৩. কবিতা: স্রোতস্বিনী
আরিয়ান প্রিয়স (পাল)
দাবীর কোন জাত হয়না, ভিন্ন মতেই প্রচার সে,
দাগ লেগে থাকে ঠোঁটের কোণায়। অবশ্য নিয়তি
প্রকাশ্যে চিবুক আদরে মাখে স্পর্শের অনধিকারে,
কেবল ঠাওর করা উদ্দেশ্যটুকু ঠাঁই নেয় শুধু তোমা প্রতি।।
বিছানায় অনুভূতি রেশ অস্তমুখী বিকেলের দিগন্ত দর্শক
যেন সাত জন্মের অভিমান নেমে আসছে চিবুক বেয়ে
তুমি আল ধরে ফিরে এসে আমায় ছুঁয়ে নিচ্ছো বারংবার ।
কুলুপ এঁটে রেখেছে সমাজ, শিরা-উপশিরা ভরা চোখে।।
সীমা অতিক্রম করে এগিয়ে এসেছো আরো কাছে,
স্মৃতিঘুম লেগে থাকা গল্প বন্দী কথা সঙ্গীনি রাতের
সভ্যতার রাশ টেনে ধরো এখনই, চশমার শক্ত ফ্রেমে।
নয়ত কৈফিয়ত দিতে হতে পারে কাল ফের-
নিস্তার নেই আর-উদ্দেশ্যের নিস্তব্ধতা এখন স্রোতস্বিনী।
স্বপ্নেরও মৃত্যু ঘটে।যা আগে কখনও দ্যাখোনি! !
৪. কবিতা: ফুটপাথ
আরিয়ান প্রিয়স (পাল)।
সভ্যতার মশাল দাউ দাউ করে জ্বেলেছো তুমি,
কিন্ত অসহায় মানুষের নিৰ্বাক-নিস্তব্ধ যত
সহস্র ঘাম তোমায় কটাক্ষ দৃষ্টিতে লক্ষ্য করে চলেছে।
-আর তাদের সঙ্গী হয় নিশ্চুপ ফুটপাথ।
যার ধূলিকণায় সাজতো ফাগুন বাতাস,
১৪৪ধারার মাতাল আবেগ ভরদুপুর রোদে বসে এলোচুলে শুকাতো,
যার কারণে হঠাৎ বসন্তই বিদায় চায়।
স্ট্রিট লাইট সন্ধ্যের গোপন অভিশাপ লুকিয়ে রাখে,
প্রেমাস্পদ কে যথা সময় স্নেহভাজন আলিঙ্গন করে
অদৃশ্য অন্ধকার তৈরি করে বীৰ্য আস্ফালন,
এসব ঘটিত ঘটনা অনায়াসে হজম করে ফুটপাথে ক্ষুধার্ত শিশুটি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন