১. কবিতা: বৃষ্টি
সুতনু হালদার
মেয়েটির বুক বরাবর নিটোল জ্যোৎস্নার মতো দাগ ছিল! এক রহস্যঘন বিচ্ছুরণের গন্ধ আমাদের যাবতীয় সত্তায় মিশে আছে, মিশেছে অক্ষরের প্রতিটা পৌনঃপুনিকতায়...
মেঘের দুষ্টুমির সমস্ত জলজ আবেগ তোমার মতোই ক্যানভাস ছিঁড়ে আমাকে বন্য করে তোলে! কামার্ত শীৎকার বাতাসের আলিঙ্গনে নির্জনতা খোঁজে, দীর্ঘশ্বাসগুলো প্রকৃত যানবাহন না পেলে অচল হতে হতে স্তব্ধতাকেই ভালোবেসে ফ্যালে!
প্রতিটি বৃষ্টিকণায় লেগে থাকা উদ্ধত যুবতির পীনোন্নত বুকের দুঃসাহসিক অভিযান আজও চাঁদের প্রৌঢ়ত্বে আকাশ এঁকে দ্যায় ; দু'চারটি অভিযোজন আয়ত্ত হয় বায়বীয় রূপে, আর আরক্ত চুম্বন ঝরে পড়ে খরস্রোতা নদী হয়ে মিষ্টি ঠোঁটে, ঘাড়ে, বক্ষবিভাজিকা থেকে যোনিভেদ করে সুতীব্র পিপাসায় ছুটে চলে মরীচিকার নিভৃত প্রদেশে...
অদম্য বালিয়াড়ি থেকে মরুদ্যান-
মায়াবী স্পর্শসুখের ইঙ্গিতে মাতোয়ারা হতে হতে পাখোয়াজ বাজায়, প্রান্তরে ভেসে যায় প্রেতযোনি...
কখনো প্রেমিকার ঘনিষ্ট গন্ধ জমা রেখে ঘরে ফেরে উদ্বেলিত অঙ্কুরোদ্গম; লুকিয়ে রাখা নিষিদ্ধ লিপস্টিকের দাগ বহুরূপতাকে পরম আমেজে চুমু দ্যায় আর অব্যয়ীভাব সমাসের মতো চিরকাল চেটেপুটে খেতে গিয়ে মেঘের দুষ্টুমিতে ধরা দিয়ে ফ্যালে-- নতুনত্বে
অঝোর ধারায় আবার বৃষ্টি শুরু হয় পুরুষ আর প্রকৃতিতে...
Khub sundar
উত্তরমুছুন