বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

Butterscotch 8



২. কবিতা: বেপরোয়া

সুতনু হালদার




নিছক কৌতূহলী  হয়ে মুহূর্তকে টইটম্বুর হতে দেখে প্রশ্ন করেছিলাম সেই কোন শৈশবে, ঝালাপালা দিনগুলোর মধ্যে প্রেমের আঁচড়ের দাগ মাখা মুহূর্ত


কোথাও মাংসাশী ভরবেগ পুড়ে খাঁক হতে থাকে, প্রেমিকার মতো জড়িয়ে থাকে সমস্ত শিহরণ...



নিদানকাল আস্তে আস্তে এগিয়ে যখন প্রায় মধ্যচ্ছদার কাছাকাছি, ঠিক তখনই নিকোটিন আর রক্তের প্রবল সহবাস! বিছানার লণ্ডভণ্ড সংলাপগুলো পুড়ে যাবার পরে সন্ন্যাসীর আমেজে রোদের শীৎকার শোনা যায়


অনেকেই হয়ত অলিন্দ থেকে নিলয়ের বারান্দাতে শিরা-উপশিরার স্ফুটনাঙ্ককে চুমুর মতো মসৃণতা দিয়ে ভালোবাসে, কিন্তু চুমুতে মিশে থাকা আগুনের ভ্রুণ কবিতার মতো পঙক্তির পর পঙক্তিতে অভিস্রবণে মেতে ওঠে...


এত কিছুর পরেও ভালোবাসার কুয়াশা জ্যোৎস্নার তরঙ্গদৈঘ্যে হিসেবের খসড়া মেলাতে মেলাতে একদিন গদ্যের মতো বেপরোয়া খোসা ছাড়িয়ে ইশারায় নাবিক হয়ে যায়।


মোহনায় মিশে যাওয়া স্রোতগুলো আসলে অ্যানাটমি বোঝে না!


তাই বোধহয় সমুদ্রের কলতানে নক্ষত্রের ব্যভিচার ধরা যায়...




৩. কবিতা: ক্ষয়ে যাওয়া দুপুরের গন্ধ

    সুতনু হালদার


নিজস্ব দুপুরগুলো বয়সের সাথে সাথে আস্তে আস্তে ক্ষয়ে যায়, যে নদী একান্তে মেঘের সাথে মিশে থাকত, সেই নদীই যেন মোহনায় অচেনা!


স্রোতের বদল হয়। অচেনা অক্ষর মক্ষীরানি হয়ে গুঞ্জন তোলে, রঙের ঘোর বর্ণালীকে পরিচিতি দিলেও গোপন অভিসারের কথা চেপে রাখে


অভিসারের প্রাগৈতিহাসিক গন্ধ আজও যথারীতি যুবতি হয়েই জ্যোৎস্নার আলোতে মমত্ব মিশিয়ে দুধ আর জলকে আলাদা করতে ক্রমান্বয়ে ব্যর্থ!


এরপরই চারকোল, ভুষাকালি-অঙ্গারের ছোঁয়াচে

প্রতিবিম্ব ঘিরে থেকে যাওয়া বৈষয়িক হীরের

স্বপ্নদোষের আস্ফালন...


শক্তির মহোৎসাহ ঢেকে যায় মুখোশের বাহুবলে-

জ্যামিতিক বিচূর্ণিত রাশি, শব্দ, জঙ্ঘার বিমূর্ত অনুভূতি, নাক্ষত্রিক যৌনরস মিশে যায় প্রেমের প্রমার অমর্ত্যে


তবুও মনের কার্নিশে লেগে থাকা জারজ প্রেমের বীমাগুলো প্রতি রবিবারে প্রিমিয়াম নিতে আসে, একা...


কোথাও যেন নিজস্ব নিঃস্বতাগুলো

রেখে গ্যাছে হস্তিনীর মতো আঁশটে যৌনগন্ধ


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন