১. কবিতা:
চৈত্র বিবাহ
তাপস দাস।
এই রুক্ষ নারীটির আঁচলে
এক অনিবার্য প্রেমের ঢেউ
আমি একা দেখেছি
শেষ বসন্তের গা চিনচিনে রোদ্দুরে অভিশাপের
খোলসে সর্পিণীর মতন...
সামাজিক গায়ে হলুদ তার হবে না
ঝুলে থাকা দিন মাতালের ঠোঁটে খুঁজে যাচ্ছে ঠাঁই
ঝুলে পরা বেহিসাবি উন্নত বুকটা তবুও নরম
চৈত্র বিবাহ, কিসের লজ্জাশরম...!
গরিয়ে যাওয়াই তো জল তার ধর্ম তার মর্ম
পাতায় মর্মর তোলা তো নয়, ভিজিয়ে দেওয়ায়
বিষে নাশে পরশে ঘাসে একাকার
এক আকার
তার ভালোবাসায়...
হে নয়ন তুমি চোখ পেরিয়ে জন্মাও
খড়ের আগুন ওই প্রাচীনতা হয়ে যায়
দমকা দোলন ওই প্রেম চৈত্র বিবাহ প্রেম
ভাঁটফুল বিছানায়
২. কবিতা:
মধুযামিনী
তাপস দাস
চুলে রাত আসে
বাধা খুলে দেয় নয়ন
অন্ধকারে বিকারে আকার পেতে ইচ্ছে করে
প্রেম- পিচ্ছিলতা।
সুনামগুলো দাঁত দিয়ে কেটে ফেলে গন্ধ গহীনে
গেয়ে ওঠে অলিক সুনামি
প্রজাপতিদের সুপ্ত যাপন মধুযামিনী।
উলঙ্গ আদিম পদচুম্বন,সিঁড়ি ওঠা,খোঁজ
কবচ খুলে ফেলে নিভৃতে
শারীরিক জন্ম থেকে কবিতা সঞ্চয়ন।
ইচ্ছে করে
ঠোঁটের ওপরে নদীকে ভেজাই,
নাব্যতা পাহাড়ে দাঁড়িয়ে
প্রাচীনতা দেখাই, আজ ভালোবাসা
কিভাবে সবুজ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন