মহাত্মা গান্ধী (চতুর্থ ঘাত),,,,,
এক আগুন প্রজন্মের কচিকাচা ফিনিক্স পাখি সবে উড়তে শিখেছে শাখাপ্রশাখা তেমন একটা পাকাপোক্ত হয়নি তবুও বিহঙ্গের বিষ হাড় হিম উচ্ছন্নে স্বভাবদোষে জাপটিয়ে ডানা উড়তে চায় বাঁধাধরা গন্ডী ছেড়ে,,,, মুখে চোখে তার অগ্নিভাষণ,,,, কোন কথাই সহ্য হয়না পারদের উর্ধ্বগতির চাপে তার ফটাফট উত্তর প্রেরণ,,,, দিতে জানে ভালো করে ঘষে মুখে তাদের ঝামা,,,
যখন চারপাশে এই পার্থিব জগতের আগাছা জঞ্জালের অষ্টপ্রহর যাতনায় তাকে হতাশার ঝরাপাতা করে চেপে ধরতে লাগে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে,,,,
এই নষ্ট পচনশীল সভ্যতা যা ভয়ে দু পা পিছিয়ে সঙ্কোচনশীলতায় গুটিয়ে কাপুরুষের মোটা গন্ডারের চামড়া গায়ে সেটাকে অহিংসার নাম দিয়ে মোটা নাকে একটা নোটিশ ঝোলাতে থাকে মুখে বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে চুপ চুপ করো বলে,,, তখন সেই ফিনিক্স পাখি দিনে রাতে তার মগজে গুজে গুজে অবসাদের জীবাশ্ম কঠিন পাথরে বা স্তরীভূত শিলায় দ্রোহের উচ্চারণ শিখতে থাকে আর উত্থিত লাভার স্রোতের মতন উদ্গিরণ করতে থাকে,, তাতে আশেপাশে গুমোট দশা কেবল ছাই হয়ে যাবার উপক্রম সেই উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার দাবানলে,,,, তখন সকলে মিলে তাকে চুপ করিয়ে দিতে উদ্যত হয়ে ওঠে,,,, বলে অহিংস হও,,,,চুপ করো,,, তুমি কিন্তু প্রচন্ড ভুল করছো,,,,, লক্ষণসীমা ডিঙিয়ে আজ পর্যন্ত কিন্তু গৃহস্থের শুধু অমঙ্গল হয়েছে,,,, তাই অপেক্ষা করো,,,,
কিন্তু চাক্ষুষ তার প্রতিহিংসাপরায়ণ সত্য বা ফলশ্রুতি সে দেখতে পায়,,,,, যে মিথ্যা তখন ঝলসে যেতে শুরু করে দিয়েছে,, আর দুর্বলচিত্ত অসংগতির মিথ্যা খোলসে মুখোশে দুঃশাসন অত্যাচারীরা অবচেতনে ভাঙা শিরদাঁড়া নিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে পালাতে উদ্যত হয়েছে,,,, ভূমি ছেড়ে পলাতক নপুংসক,,,, তবে তুমিই কী হবে জনক আগামী প্রজন্মের,,,,
উদ্ভট উটের পিঠে হেলতে দুলতে চলতে থাকা জনগনমন,,,, কোথায় জনক তোমার,,, আছে না তাকে শুধু রেখেছো দর্শনে মনন তার ঘোলাটে বোধ অপসারণ,,,, সৌন্দর্য দেখতে দেখাতে কিন্তু নিতে নয়,,,, তাইতো চোখে সেই অগ্নিপ্রজন্মের ফিনিক্স পাখির জেগেছিল বিধ্বংসী আগুন,,,,ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল সেই মিথ্যাচারে অধ্যুষিত প্রতিষ্ঠিত কাঞ্চনমূল্যের জগত কে। পরিবর্তে আনতে চেয়েছিল প্রতিশ্রুতিশীল স্বচ্ছ নির্মল ভারত নাগরিকত্ব,,,,, আমাদের সার্বভৌম অধিকার,,,
কারণ এমন প্রতিশ্রুতিশীল আগুন লেলিহান ভীষণ প্রয়োজন এখন
প্রতিটি মহান সৃষ্টির আগে নষ্টকে ধ্বংস করা জরুরী যখন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন