বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৯

সম্পাদকীয় কলম,,,, সুপ্রীতি বর্মন


মহাত্মা গান্ধী,,,,(প্রথম ঘাত),,,,

(সামঞ্জস্যের সমীকরণ সূত্র),,,

সুপ্রীতি বর্মন,,,,,


৫০০ টাকার নোটে প্রতিমূর্তি তেলা টাক চকচকে চোখের উপর ভাঙা হাতল ভগ্ন হৃদয় জনগনের হাড় ক্যালানে হাসি মুখে গুঁজে বছরের পর বছর জাতির জনক তুমি বিকলাঙ্গ সভ্যতার এক এবং অদ্বিতীয় জনক। বিধ্বংসী আগ্নেয়গিরি চোখের ভেতর আর এক চোখ আত্মদর্শন ও বিচক্ষণতা মণিকোটরে অহিংসার শস্ত্র,,,,,


এই মেরো না মেরো না ওকে ছেড়ে দাও,,,,,
আমরা আজকে যেন এই অস্থির সময়ে আগাছার গোত্রনির্ণয় করতে বিশ্লেষণী তলোয়ারের উপর দিয়ে একা হেঁটে চলেছি,,,, আমরা তার বদলে আজ কিছুটা নিমকহারামি করি,,,, হারামজাদা হয়ে যার খাই তার থালায় বসে বসে চক্রবৎ মীনের আবর্তনে গড়বা নাচে গর্ত খুঁড়ি,,,,রমণীর রতিস্নিগ্ধ কোমর দুলিয়ে লুটিয়ে পড়ি তোমার পায়ে কারণ দিনের শেষে তোমাকেই তো হাতে লাঠি নিয়ে ছড়িদার পাহারাদার হয়ে শুষ্ক অস্থিচর্মসার দেহে হনহন পদাঙ্ক এ ছুটে যেতে হবে অশ্বদৌড়ে অস্তগামী সূর্য স্বাধীনতা খননে সত্যাগ্রহ অভিযানে,,,,,


তোমার মতন শাকমন্ড রসালো নিরামিষ ভোজন আমিশাশি লকলকে অজগর জিহ্বার মাংসভক্ষণে কখনোই পোষাবে না,,,, কি সব ছাইপাশ রাবিশ আবর্জনা পেটের গর্ত গোজাতালা এই প্লীজ এই তাহার চাবি কোনদিন তুমি উৎকণ্ঠা নিয়ে চিরুনি তল্লাশি করতে যেও না তাহলে ভাঁড়ার ঘরের অন্নপূর্ণা রাগ করবে বলবে হতচ্ছাড়া বুঝিস না এখনো যে তুই ছেলেমানুষ আছিস,,,, বোঝ বোঝ,,,  বোঝা না সামঞ্জস্য এর ঐকিক নিয়মের সমতা বিধান কাকডাকা ভোরে দীর্ঘায়িত দুশ্চিন্তা গলা টিপে ধরে বলে এই বয়স টা তো তোর কম হচ্ছে না,,, এবার ঊণকোটি চৌষট্টি সংসারের রতি কলা কামমুদ্রা ছেড়ে একটু দায়ের জাদু কি জাপ্পি ঘাড়ে চাপা,,,, মিষ্টি মিষ্টি ঐকতানের সুরে,,,, বাবু দে না দু আনা,,,, কিনে খাবো মিছরির দানা,,,,, তোমার দেওয়া নুনে পোড়া এক তরকারি ভাত,,,, নাগরিকত্ব,,, এর কোন বিকল্প সিভিলাইজেশন নেই,,,, আরে না একেবারে না,,, এসব ওসব ছাড়া ছাইপাশ ফ্যান্টাসি ভাবা,,, তুমি তো ভারি অদ্ভুত,,, এ জগতের কী তুমি বাসিন্দা ন‌ও,,,,
মগের মুলুকে একটু সামলে চলবো ধ্যাস্টামো ছেড়ে,,, না হলে বত্রিশ সিংহাসনের দাঁতকপাটি খুলে পড়ে যাবে,,,, তখন জনহিতের রাবড়ি হাঁড়ি চেঁছে খাবে কী করে চেটে পুটে নবশ্যামধর লাবণ্যে,,,,


দেখো দিকিনি হাড়ে দূর্বা গজানোর জন্য এসে গেছে এক তুখোড় ধুরন্ধর তিরন্দাজ,,, যখনি সময় পায় তখনি একটু সুযোগে ফাঁকফোকড়ে চুল ঝাঁকিয়ে লাফিয়ে পড়ে চ্যাঙড়া ব্যাঙ,,,, বলে আমি সবজান্তা পাকা লকলকে যেন কচুর লতি,,,, আমাদের পাতে তো মেন কোর্সের খাদ্য হিসেবে দেওয়াই চলে না,,, তবুও ক্রেতাদুরস্ত কমেন্টের চালে ঘাড় কামড়ায় আবার গায়ে পড়ে পায়ে পা লাগিয়ে শঙ্খলাগার ঘোরে "তুমি যে আমার" বলে পরম যত্নে আমাকে নিজের কুক্ষিগত তূণীর মধ্যে গচ্ছিত রাখতে চায় পরবর্তী ব্রহ্মাস্ত্র হিসাবে,,, যেন পরের ধনে পোদ্দারি,,,,


এখন যদি নেতাজীর মতন তোমাকে হিংস্র পরশুরামের শাপশাপান্ত কুড়ুলের ঘা এর শিরশিরানির ছোবল দিয়ে তোমাকে অক্কা দিই তাহলে তো তুমি বলবে আমাকে কোন স্বৈরাচারী আখ্যায় বিষাক্ত করে যে এটা আমার মুদ্রাদোষ,,,, কারণ আমি তো কক্ষনো তোমার অতিচেতনার গুহ্য অন্তরালে ঢুঁ মেরে নতুন কোন প্রেয়সীর আবেশের অন্দরমহল তৈরী করে উঠতে সম্পূর্ণ অপারগ,,,, তার থেকে বরং আপাতত একটু সরে থাকি ইঙ্গিতের অপভাষ্যে পথভ্রষ্ট না হয়ে সামঞ্জস্য বিধানের সমীকরণ তৈরী করি,,,, প্রশস্তি না করতে পারি প্রকাশ্যে তবুও অপ্রকাশ্য এ সকলের চোখে একটু সৌজন্য দেখিয়ে তারপর মানে মানে পালিয়ে শালীনতার বাঁধ বিনিময়ে রুখে দেওয়ার মতন চোখাচোখি বন্ধ করে দিই জন্মের মতন,,,,,,
মানিয়ে নেওয়া নিজের কোনরূপ ক্ষতিসাধন না করে দূরে থেকে তোমাকে অচ্ছুৎ দোষে আপৎকালীন প্রেক্ষাগৃহে সাজিয়ে রাখাই ভালো কারন তাতে সময়ের অপচয় বোধহয় অনেকটাই কম হয়,,,,

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন