মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১৮

দুলাল বর্মনের কবিতা।



উড়ো মন চাতক পিপাসা মাধুর্য্যে তোমার

 প্রেয়সীর অখিল স্পন্দন,,,,,, আঙ্গিকে কলম।


১. তট।
         

গন্ডদেশ থেকে নেমে পরি নাভীদেশ

চুবিয়ে নেয়া মনটা মন্তব্য করে

খাতটা আরও বাড়ে, চলে যাই অনেকে অনেক গভীরে

পঁচা ভাতে জিভ ঢুকিয়ে দেয় ভাইরাস

আর কোৎ দূর,নড়ে ওঠে জীবাত্মা

অদ্ভুত একটা ব্যাপার আধুনিক খোলসের

বাইরের ভিতরের সত্ত্বা আলাদা আলাদা

জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে সম্পর্কটা।


২. হৃৎপিণ্ড।
       

রক্ত করবী বোঁটায় ঝুলছে

পিচ রাক্ষস রাস্তার হঠাৎ বাঁক

মুড়িয়ে নিচ্ছে কেবল বিশ্বস্ত অনুভূতি

দূরে সরে যেতে থাকে চেনা মুখ

বাড়ানো বাহুটা কেঁন্নোর স্বভাবে গুটিয়ে পড়ে

ঝাপসা হতে থাকে বুড়ো হৃৎপিণ্ড

কালকূট একচ্ছত্র শামুকের পদচিহ্ন

কোঁকাতে থাকে মৃত স্মৃতির ঘোষণা

সার্জারি হতে চায় বুড়ো হৃৎপিণ্ডটা।


৩. আড়ালে আবডালে।
                   

হাতে আসে জলঘর

ফড়িংয়ের মাথায় মাথায় বন

সুর ওঠে ব্যবহৃত রাতের ডানায়

কার্পেটে শুয়ে পড়ে রাত

বাদুড়ের গলায় অন্ধকারের ওড়না

কালো বিড়ালের চোখ তাকিয়ে থাকে

সূর্য্য নিরবধি নিঃশব্দ তলানিতে

আলোর নীতিমালা প্রণয়ের প্রান্তরে

নব প্রজননের আশাহুত নিরাশার ঢেউ

আড়ালে থাকে প্রগতি, আবডালে দুর্মতি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন