প্রানভ্রোমরায় অধিকন্তু অবান্তর বোলচাল
গুজগুজ অনতিক্রম্য প্রেমের বালিয়াড়ি।
১. #কলসপত্রী।
সকলি বিলুপ্ত হবে ৷
মস্তিষ্কে মেদের মতো মোহ জমে এলে
চাঁদও আকর্ষিত হয় ; আমার জানালায় ৷
যতই লুকিয়ে রাখি খেজুরের দেহের মতো
মিষ্টতার প্রলেপে কঠিন প্রাণবীজ,
ততই অনাবৃত বুকে জমে ওঠে অবান্তর কিছু ঘাস !
মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে জীবনের সবটুকু সায়াহ্ন অতিক্রান্ত হলে
জলপ্রাপ্তির দিনে হাত কাটা পড়ে যায় ৷
বিলুপ্ত সকলই হয়, জেনেও
সময়ের জংধরা হাড়গোড় নিয়ে হেঁটে চলে
দাসত্বপ্রাপ্তির পর মৃত কিছু মানুষের দল—
পৃথিবী মৃতদের দেশ ৷
তার মধ্যে প্রাণ খুঁজে ফিরে আমার আজন্ম কেটে গেলে দেখি
নিজেই জীবিত ছিলাম না কোনো কালে !
বলো কলসপত্রী—
লুকানো মধুর লোভে এ দন্ডিত নিষ্পেষণের কাল কবে শেষ হবে?
২. #সীমানায়।
একশতাব্দী পথচলা বাকি আছে জেনে
রাস্তার পাশে রেখে যাও অঙ্কুরিত বীজ !
এভাবেই সামলে চলো বিধ্বস্ত ফাটলময় কানাঘুঁজিগলি ৷
সীমানার কাছে গিয়ে দাঁড়াও !
যেখানের পর আর কোনো অতিক্রাম্যতা নেই,
নেই কোনো ভয়াতুর শেষ !
তোমার জানালার কাঁচ বাষ্পাকূল হলে
মাঝরাতে কবিতা লিখতে বসি, কম্পমান !
ভিজে যায় কলমের অনাহারী শরীর ৷
আঙুল দিয়ে চোখে নদী এঁকে নিলে
আমার ডায়রীতে জোয়ার আছড়ে পড়ে ৷
শোনো
কখনো চোখের কাছে মেঘ নেমে এলে
পাঠিয়ে দিও এই মরুভূমির বাড়ি ৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন