ছন্দপতন ধ্রুপদী রাগে প্রনয়ের আস্ফালন।
১. ধ্বংসের পর ফের।
চাঁদের পিঠে যখন ঘন জ্যোৎস্না
আস্তাবলের ঘোড়াগুলো জ্যান্ত হয়ে
মুক্ত ভালোবাসার বোঝাপড়ায় নামে
আশ্চর্য প্রবল ধারণ ক্ষমতার
পরিমিত আঘাতে যত্ন ঝরায়
শুধু সামান্য কিছু শব্দ
সেসব ছেনি হাতুড়ির কথকতা
মূর্তির পেলবতায় আঙুল ডুবিয়ে
সামান্য ত্রুটিগুলো নিটোল ও মসৃন
বোধহয় সেজন্যই স্বতঃস্ফূর্ততার
চিবুক ছুঁয়ে উন্মুক্ত এই সম্ভাষণ
আদি গুহামুখে কী নিগূঢ়
পাঁজর ছোঁয়া অনিবার্য শিল্প প্রণয় ...
২. তিলক তর্জনীতে যখন মেজরাব।
গণতন্ত্রের ছাড়পত্র আর ডারউইনের মতবাদ
কপটতার বেহিসেবি ওজন
কেউ কুনকে দিয়ে
কেউ এক-দুই-হাজার ক্রোড়ে মাপছে
ভৌগোলিক মধ্যাকর্ষণে আমরা অটল
অক্ষাংশে কাঁটাতারের দাবি আমার তোমার
মাটির দাওয়ায় আলপনা আঁকে যে বউটি
তার সিঁথিপথ ধরে বেশরম রসিক কল্পনায় মেতে
চিত্রকর ডেকে ঘোড়া সাজিয়ে ফেলে
আঁকিয়ে ফেলে তলদেশের সিঁথির রেখা
ঋতুমতীর বস্ত্রহরণ নাটকটি
কোজাগরী রাতে চাঁদ জাগলে ...
৩. একটা ত্রিভুজ।
কবিতা ও অকবিতার মাঝের দেয়ালে
অসুখ বাসা বাঁধলে প্রাণহীন জড়তায়
ক্রমে না বলা কথার ঘুণ
নখ ও ঠোঁটের হিমোগ্লোবিন সেড পাল্টায়
দমসম বল্গাহীন দুঃখ পাঁজর নাড়ায়
চিবুক জুড়ে উলঙ্গ স্নানপর্বের সে স্ফটিক ঝর্ণায়
পরিকল্পিতভাবে সুতোর তোয়াক্কা করেনা
তবু একটা রুমাল এসময় দরকার
আবহাওয়ায় পূর্বাভাস না থাকলেও জলোচ্ছাসে
চিকুর মুকুর সিঁদুর সীমন্ত-সীমা বরাবর
শব্দরা এলোমেলো অনাদর ধ্রুপদী
সে রাগ-এ বর্ণান্ধ হয় ভালোবাসা ...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন