প্রেয়সী সুড়ঙ্গের ইচ্ছেবিষে দেওয়াল লিখনে
অভিমানী আলপনা তোমার বুকের খাঁজে।
১. ইচ্ছেবিষ।
আমার বাড়ির উঠোন বৃষ্টিতে ভেজার ভয়ে সানসেট চায়
নারকেলের পাতায় পাতায় জমে ওঠে অভিমান
আমার পায়ে নূপুরের মতো শিকড় জড়ানো থাকে ... শিকড়ে শিকড়ে আটকে থাকি আমি ফুলগাছেরা চার দেয়ালের পাঁচালী পড়ে শোনায়
আমার বাড়িতে বিকেল এসে
চাঁদনি আলোর লোভ দেখিয়ে যায়...
জোৎস্না নাকি উপত্যকা বেয়ে শরীরে শরীরে নামে !
আমিও নামি
আমিও নামি ততটা
যতটা নামলে ওঠার রাস্তা থাকে
যেখান থেকে আবার কোনো নদী হওয়া যায়
ফুলের মাটিতে ইচ্ছেবিষ জেগে থাকে
পোড়া মাটির গায়ে লেখা থাকে শ্রাবনের গান
২. দেওয়াল লিখন।
বুকের মাঝে উল্কাপাতের মতো
টুপটাপ বৃষ্টি এলেই
অদূরের উষ্ণতা এসে আস্ত গিলে খায়
খাঁজে খাঁজে জমে থাকা
অনন্ত নির্বাক অক্ষর সংলাপ
আগুনে আগুন জ্বলে ছাই
দহনে দহনে খাঁটি হয়
তোমার ভিতর নিজেকে হারিয়ে
অবিরাম তোমাকে চেনা
দহনে দহনে দামী হয় বিষ
ততক্ষণে
খামখেয়ালী তোমার বুকে
অন্ধকারের আলপনা আঁকা শেষ
ততক্ষণে দাঁত দিয়ে যাপনের দাগ কাটা শুরু
সুড়ঙ্গের দেওয়াল জুড়ে দেওয়াল লিখন...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন