সোমবার, ৪ মার্চ, ২০১৯

সুতনু হালদার


এ সখি হামারি দুখের নাহি ওর

সুতনু হালদার


ছবিটা খুব সুন্দর ছিল, খুব উজ্জ্বল; আমি ততটা মরিয়া ছিলাম না বলে ক্যাথোড রশ্মির বিকিরণের তেজস্ক্রিয় ঘুমে আচ্ছন্ন হতে পারলাম না! তবে যখন থেকে ছবিটাতে আমি নিজেকে দেখলাম, তখন থেকে ওটাতে সাতরঙা বর্ণালীর ছোঁয়াচে প্রেম তোমার চিকণ দুই ঠোঁটের প্রথম উপহার, আমার তো তোমাকে লালরঙা পোশাকেই বেশি ভালো লাগে দেখতে; বলেওছিলাম তোমাকে - ক্লাসরুমে সদ্যোজাত মরীচিকা স্নান করানোর সেই মুহূর্তগুলো যেন সমুদ্রের মতো প্রবল ঢেউ হয়ে তোমায় চুমু খেত! আমিও স্থির থাকতে পারিনি তখন, রিকটার স্কেলের উত্থিত যৌবন তোমার বুক ববারর একটা আঁচিল দেগে দিয়েছিল; তখন কিন্তু বুঝিনি ওই আঁচিলেই লেখা আছে আমাদের ভবিতব্য! বর্ণমালার ডায়ালিসিস হয়ে যখন ওই আঁচিলে মিশত তখন আমাদের শোবার খাটে কিছু বেহিসাবি কুয়াশা হামাগুঁড়ি দিত, সেই কুয়াশার অন্তরাতে লেখা থাকত - ' এ ভরা বাদর মাহ ভাদর শূন্য মন্দির মোর'..



আলাপচারিতা

সুতনু হালদার


শীৎকারের বলিরেখাগুলো মাঠের আলপথ ধরে
দ্রুততার সঙ্গে যেমন নিষেকের সাক্ষাৎকার নিতে
চায় তেমনভাবেই কুয়াশার যোনিজ মোহ পরাগের
ডানপিটে ছলনাকে চিনে ফ্যালে

দহনের জ্বালা মিশতে মিশতে দাম্পত্য পরিণত হয়ে ওঠে; সমস্ত সততা মেহগনি সামর্থ্যানুযায়ী সারণীবদ্ধ,
কারুকার্যের বায়বীয় মাধুর্যে কোথাও প্রেমিকার সুতীব্র চুম্বন...

দাবালনের আগুনে প্রেমের ধুনুচি নৃত্য-
বনফুলের ফ্যাজেলীয় চলনের মধ্যচ্ছদায়
সমস্ত প্রেমী-যুগল মহাকর্ষীয় ত্বরণকে চিনে ফ্যালে

কেঁপে ওঠে নাদব্রহ্ম!
নাভিকুণ্ডের দৈহিক সমতায় আয়নার প্রতিবিম্ব
           আলস্যের ফানুসে নৈব্যক্তিক আলাপচারিতা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন