রবিবার, ৩ মার্চ, ২০১৯

অভিজিৎ দাসকর্মকার


অতিচেতন-২

কৌতুহলী ট্রাউজার

অভিজিৎ দাসকর্মকার

একা আমি
অন্তঃসত্ত্বার ভিতরে
লাল ত্রিকোণ
চতুষ্কোণি ক্ষারবিন্দুতে
নারীকূল সা রে গা মা পা -র ছন্দে-

   টাটকা তাকনো ছেঁড়াপাতার ক্যানভাসে
বান্ধবীগাছটির লালিত্যসুখ
একটি কুঁড়ি পানসে শিমুলগাছে
জলসাঘর লেখে
লুকোচুরি লেখে ফাগুন আঁচড়
      রাতের শুক্রাণুরা বিছানা ছাড়েনি
         রাজসুখ
                 হৃদ-ঘাম-পিণ্ড
     নিশ্চিন্ত লোমকূপে
                ছটফটে ফুসফুস
আর আমার কৌতুহলী ট্রাউজার


অতিচেতন-৮

স্রোতস্বিনী জলের শব্দনাচ

অভিজিৎ দাসকর্মকার

একটু পর বাতিটির আলো থেকে পাতিলেবু অন্তোদ্বয়সীমার কাছে বিশ্লেষণ করবে আমার কোরা কাগজ আর ক্লিওপেট্রার মনকেমনকরা ফিকে চোখ। চাঁদের অ্যানিমিক আলো লোহিত কণিকা জোগাড়ে ব্যস্ত। শরীরের সিলেবাসে মধুমালতীর পদক্ষেপ। দেহতত্ত্বের গহ্বরে স্যাক্সোফোন বাজায় স্রোতস্বিনী জলের শব্দনাচ। সিম্ফনি তোলে সিগারেটের তন্বী মেয়েটির গালে।
অস্রাব্য ভাষা বিলাস বাগান ফুল বিধবার নগ্নবুকে কার্বনধ্বনিত সিঁদুর খেলা আর
শ্রীরাধার কোলে পারদ হয়ে শুয়ে আছে কালোশ্যামের বাঁশি...*


একটু অন্যরকম

অভিজিৎ দাসকর্মকার।

ধ্যানস্ত পুরুষটিকে আমার পেনদানির প্রতিটি পেন চিনে নিয়েছে
পাশে ফোল্ডিং কাঁচি আর নেল-কাটার
পালিশ করে পৌরুষ বলিরেখা

লাল পেন=অহংকারী রূপকথার রাজকুমার
নীল পেন=হিংসার ষোলআনার পানাজল

বজ্রসভার রম্ভা বল-ড্যান্সে কথা বলে
পায়ের নিচে নোটিফিকেশন টোন আর
ঐরাবতের পিঠ
হিপ-হপ্ ককটেলে ভাঙাতে চায়
শৈলজ দৃঢ়তা

গাঢ়ত্বের হাতে গুরুত্ব দিয়ে নাম লেখে নটরাজ নাচা পেন্সিলটি
কানে রথযাত্রার উল্টোনো রিমিক্স গান শোনে

ঝকমকি আলোজ-নগরে পড়ে থাকা
উলঙ্গ সামাজিক-রাত=ধ্যানমগ্ন টাকা
অগুন্তি রেকর্ডিং শব্দ= জাতকের কাহিনী।*

অতিচেতন-২৩

বিছের জ্বালা

অভিজিৎ দাসকর্মকার

আরেকটা শরীর ঝাঁপিয়ে পড়লে
আমার শরীরে পরাগমিলন হয়।
অসম্ভব ব্যাথায় কেঁদে ওঠে পলাশফুল
দুপায়ের মাঝে
তখনও নায়াগ্রা আর নাইট ক্যুইন,

যমুনাবাঁধে শ্রীপদি রাধা গীতগোবিন্দ ভুলে
শুকপাখির ঘরে ঢোকে
আর-
গুগলপেজে স্ট্যাটাস দ্যাখে
জিরো বাউন্ডারির জাড্য ঝাড়া কুলীন মেয়েটি
        কোমরে বিষাক্ত বিছের জ্বালা
        চোখে মাসকারা মাখানো ক্লান্তি
        ক্লিভেজ জুড়ে ঠোঁটের গন্ধ...

আবহ সঙ্গীতে
ফুল ফোটা বাউলের
ঘুঙুর-লহরী,আর-
ভালোবাসা আর্চি-স গ্যালারি হয়ে যায়।***

সিরিজ:2
সংখ্যা।

অভিজিৎ দাস কর্মকার।

বেদ সমগ্র

ধুলো খেলায় মেতে থাকা মেয়েটি কিশোরীবেলায় আজ
আগলখোলা বটঝুরিও সংযমী
রক্তকরবী আ-ঘ্রাণ মেখে
বন্দি থাকা কারাগার কবি মুক্তি পাবে
একমুঠো মরচে ধরা রোদ।


ঋতুরাজ

আমাকে চুরি করা যদি যায়
প্রতিষ্ঠিত দেওয়াল থেকে শ্যাওলা ঝরে পড়বে
অসমাপ্ত অমাবস্যা মানেই আরো একটি জ্যোৎস্নার জন্ম নেবে চাঁদের ভরা পোয়াতি বেলায়।

সাতসাগর

সারা শরীর ময় অশরীরী গন্ধ লাগে
চুল থেকে উড়ে আসে কচুরিপানার জঞ্জাল আর জলজ জট
খুলে ফেলা হুক বাইরে তাকায় বুকের না-ফোটা অবগাহন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন