সোমবার, ১১ মার্চ, ২০১৯

সোনালী মন্ডল আইচ


মাঘ শেষের আয়না
সোনালী মন্ডল আইচ


তোমার অন্য মানে ছিল
শীত শেষের অন্যরকম ছায়া
মাঝরাতের খ ভেজা চাঁদনী

মায়াময় অন্ধকার প্রথম পুরুষ
কমলা রঙের কৃষ্ণচূড়ার বালখিল্য
পশমি পোশাকের বিদায় ক্ষণ

আমার আধেকলীন মৃত চামড়া
খোলস ছেড়ে সর্পিল দেহ
হিসহিস শব্দে বুকে হাঁটে

তোমার গা ঘিনঘিনে ঘেন্না
তোমার নীল বিষের ভয়
অতএব পিছিয়ে যায় মুহূর্তরা  ...



সঞ্জীবনীর খোঁজ
সোনালী মন্ডল আইচ


যখন ছেলেটির একনিষ্ঠতার শৃঙ্খলায় একটা বাহ্যিক ভাব জীবনযাত্রায় এলো
তখন বেনেবউ মনে বুকচেরা স্নেহ উথলে ওঠে----
সে বৃষ্টি নামলে পালক ভেজায়, নোলক দোলায়, কাছে ডাকলে হরিণীর মতো ছুটে আসে।

কিছুদিন পর ছেলেটি বায়না করে মেয়েটি যেন বিড়াল পায়ে হাঁটে, মিউমিউ ডাকে ------

 আরও অভিব্যক্তি বা সাংকেতিক চিহ্নে সে চায় এমন ছাইভস্ম লিখে একগাদা বন্ধুত্ব করে বা কর্মরত হয়ে লোকের প্রশংসা কুড়ানোটা তার পক্ষে যারপরনাই চক্ষুলজ্জার ,কেননা সে একজন পদস্থ ।

এসব তার একমাত্র বিশেষ শত্রু হয়ে ওঠে ,  অতএব ব্যক্তিজীবনের যা কিছু অনাব-সনাব সম্পূর্ণ কেটেছেটে বাদ দেবার পর মেয়েটির  হাতে রইলো ---
লোহার শিক দেওয়া প্রকান্ড পর্দাতোলা জানলা,মেঝের ঝকঝকে প্রসার ,তাজা ফুল, পারফিউম শাড়ি গয়না --- অথচ বেনবউ-এর কাছে এসব অতি নিকৃষ্ট, সে আতিপাতি খুঁজে চলে মৃত দিনকে বাঁচিয়ে তোলার অনুঘটক...




তিথি-নক্ষত্র যখন
সোনালী মন্ডল আইচ


কমলালেবুর কোয়া মরশুমি স্বাদে
লক্ষ্মীছাড়া সাহসী ঠোঁট

লোকমুখে নিন্দা বা প্রশংসা
কিচ্ছু তোয়াক্কা না করে

কাটা হিরের দ্যুতির ছটায়
জেদি লিপস্টিক মুছে যায়...




একটি সাক্ষাৎকার

আসলে নয় অশঙ্কিনী
নরম গ্রীবা নিয়ে
হরিণীর মতো ছোটা
ধুলো মাটির কাছে
কোথাও তৃণ নেই
অথচ ক্ষিধে দিলে

তোমার ক্ষিধে আমি
লাগাতার হিংস্র তাড়া
আমার শুকনো বুক
জলাধারে ওঁৎ পাতা
থাবায় থেঁতলে যায়
তোমার গ্রাসে রক্তমাংস

স্বপ্নের দেয়ালা নয়
ঘটনাটা হত্যা দৃশ্য
অথচ প্রমান নেই
চারশো বিশ স্কোয়ারফিটে
কেবল দেয়াল চৌকাঠ
পাল্লা বন্ধ কোলাপসিবল
জানালায় লোহার শিক

কাঁধে হাতের স্পর্শ
চমকে দেখি ছায়া
ক্লান্ত চোখে দাঁড়িয়ে
এই তো জীবন
দাঁতের চাপে ঠোঁট থেকে
রক্ত গড়িয়ে নামে ...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন