বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০১৯

চন্দন দাস


প্রান্তিক মানুষেরা যে কথা বলতে পারে না

চন্দন দাস

১.
এখন সমস্ত উৎকন্ঠা'য় বিষ ঢেলে দিলাম
আস্তে আস্তে কচলে উঠুক শ্রীচরনেষু বিষাদ
এরপর পালাবার উপায় থাকবে'না যখন
সন্ন্যাসী চোখে জোনাকি রাত পুঁতে দেবো।
২.
অপেক্ষা করো আত্মহত্যা মূলক গৌর-প্রবচন
তোমার সারা শরীরে এখন ঝালরক্ত বইছে
পৃথিবীর ইতিহাসে ধ্যানমগ্ন সব খড়কুটো বিকেল
আলো নিভে আসা পূর্বমুহূর্ত ব্যর্থতা চায়'না।
৩.
করতলে তামাক ঘসতে ঘসতে নেশায় বুঁদ
ক্ষতচিহ্নগুলো আত্মজনেষু দুঃচিন্তানগরী
সনাতনী কুকুর ধাওয়া করতে করতে যখন
পৌঁছে যাবে নক্ষত্রকাল, তুমিও তখন একান্ত
ঘুমিয়ে থাকো প্রেতাত্মা মাখা বিষাদ জড়িয়ে !
৪.
ইতিমধ্যে জেনে ফেলেছি সম্পর্কের রসায়ন
সমস্ত সম্পর্কে বিশ্বাস থাকা জরুরী নয়
দেবদারু বনে  ঘুরে ঘুরে এক ফকির বিকেলে
পাখি হতে শিখে গেছি, আকাশ বড় উদাসী!



আঙুলে বুনেছি   স্বপ্নজাল

চন্দন দাস


আলপথ ধরে ফাগুনরঙা মেঘ জল ছুঁয়ে সাঁকো আঁকে
মাঘীপূর্ণিমা রাতে কুমারীবউ সাধসেধে বেড়ে দিয়েছিল
 কচুপোড়া বিউলিডাল পান্তাভাতে একছটাক সঃতেল।
সন্ন্যাসীর মতো সবকিছু ছুঁড়ে দিয়ে সেরাত  নিঃশর্ত দরাজী
একটা প্রজাপতির মত চাঁদ ছুঁয়ে যাচ্ছে শূণ্য বেহালা।
এই অপূর্ব স্বচ্ছ কল্পনায় ডুবদিয়ে গেল তিমির জোৎস্না
ভাঙা তোরঙ্গের ভেতর ঝনঝন করে রবিঠাকুরের গান
তখনো কুমারীবউ ভালোবাসে শূন্য___শূণ্যের আকাশ!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন