রঙ ও প্রণয় সংখ্যা:
রক্তিম যুবতি পলাশের দোহন----
সৌরভের শিখায় দগ্ধ প্রণয় সখা----
রংমিলান্তি সোহাগে সজনী ফাগুন ----
নির্মাণের ভেতরে
কুমারেশ তেওয়ারী
প্রণয় প্রকৃত অর্থে নির্মাণের খেলা
নির্মাণের কত রূপ, জড়ানোর চূড়ান্ত বিশ্বাস
ঢেউয়ের ভেতরে, তার ব্রেকারের কাছে
মোমের দহনে আর মোমের গলনে
নির্মাণের কত রং, মিলান্তির খেলা
নিহারিকা থেকে ছিটকে আসা আলোতে
খুঁজে পায় কেউ কেউ রাইরঙা পাখি
কেউ বা আবার কৃষ্ণগহ্বরের দিকে চেয়ে দেখে
বাজিয়ে বাঁশি বেঁধে রাখছে গাভীদের সম্মোহন
কালোরঙা রাখালবালক
স্বপ্নের ভেতরে গড়ে উঠতে উঠতে কোনো সে নির্মাণ
হঠাৎ চেঁচিয়ে ওঠে, বাতিল বাতিল
ভেঙে পড়ে পাহাড়ের চূড়ো
স্রোতেরও অভিমুখ বদলে যেতে যেতে সাঁতার
ক্রমশ এগিয়ে যায় কিনারার দিকে
জেগে ওঠে কোনোখানে গোপন নজর
নির্মাণের গোপন ভেতরে বিভাজিকা গড়ে আর
ভেঙে দেয় উড়াল রঙের এক পাখি
প্রবালকথা
কুমারেশ তেওয়ারী
মনের ভেতরে থাকে প্রবালের দ্বীপ
যেখানে ছোট ছোট জলজ পলিপেরা
ক্রমাগত মরে যেতে থাকে সারাবছর ধরেই
তাদের শরীরে চুন জমে জমে তৈরি হয়
ভীষণ সুদৃশ্য এক প্রবাল পাথর
রূপ দেখে তার সবাই অশ্চর্য হয়
আর সেকি রঙের বাহার
নীল সাদা কালো গোলাপী আবার
কোনোটা গাঢ় মাংসরঙা
প্রবালের টুকরো কেটে একে ওকে উপহার দিই
তবে কখনোসখনো এমনটাও হয়
যতটা ঠাণ্ডা বা গরম থাকলে পলিপেরা গর্ভবতী হয়
তার চেয়ে কম বা বেশি গরম হয়ে পড়ে জল
তখন আর প্রজন্ম তৈরি হয় না কোনও
শুধু পড়ে থাকে প্রবাল স্তুপের শুকনো কঙ্কাল
পাণ্ডুলিপি
কুমারেশ তেওয়ারী
ক্রমশ পাণ্ডুলিপিটি নীল হয়ে পড়ছিল
প্রণয়ের সবুজ উত্তাপে
তবে বুঝি তার অক্ষরে অক্ষরে ছিল রামী-চণ্ডীদাস ?
প্রণয় অবৈধ হলে খুব ঘূর্ণাবর্ত ওঠে
জলস্তম্ভ থেকে বের হয়ে আসে
আগুনরঙা ঘোড়া আর বাতাসরঙা পাখি
পাণ্ডুলিপিটির ভেতরে একটি উটবোঝাই জাহাজ
বন্দরের থেকে তার চুম্বন দূরত্বে ভেসে ছিল
উটেদের কুঁজের ভেতরে এক-একটা মরুভূমি
সেইসব মরুভূমি জুড়ে কত তৃষ্ণার কোলাজ
রক্তিম যুবতি পলাশের দোহন----
সৌরভের শিখায় দগ্ধ প্রণয় সখা----
রংমিলান্তি সোহাগে সজনী ফাগুন ----
নির্মাণের ভেতরে
কুমারেশ তেওয়ারী
প্রণয় প্রকৃত অর্থে নির্মাণের খেলা
নির্মাণের কত রূপ, জড়ানোর চূড়ান্ত বিশ্বাস
ঢেউয়ের ভেতরে, তার ব্রেকারের কাছে
মোমের দহনে আর মোমের গলনে
নির্মাণের কত রং, মিলান্তির খেলা
নিহারিকা থেকে ছিটকে আসা আলোতে
খুঁজে পায় কেউ কেউ রাইরঙা পাখি
কেউ বা আবার কৃষ্ণগহ্বরের দিকে চেয়ে দেখে
বাজিয়ে বাঁশি বেঁধে রাখছে গাভীদের সম্মোহন
কালোরঙা রাখালবালক
স্বপ্নের ভেতরে গড়ে উঠতে উঠতে কোনো সে নির্মাণ
হঠাৎ চেঁচিয়ে ওঠে, বাতিল বাতিল
ভেঙে পড়ে পাহাড়ের চূড়ো
স্রোতেরও অভিমুখ বদলে যেতে যেতে সাঁতার
ক্রমশ এগিয়ে যায় কিনারার দিকে
জেগে ওঠে কোনোখানে গোপন নজর
নির্মাণের গোপন ভেতরে বিভাজিকা গড়ে আর
ভেঙে দেয় উড়াল রঙের এক পাখি
প্রবালকথা
কুমারেশ তেওয়ারী
মনের ভেতরে থাকে প্রবালের দ্বীপ
যেখানে ছোট ছোট জলজ পলিপেরা
ক্রমাগত মরে যেতে থাকে সারাবছর ধরেই
তাদের শরীরে চুন জমে জমে তৈরি হয়
ভীষণ সুদৃশ্য এক প্রবাল পাথর
রূপ দেখে তার সবাই অশ্চর্য হয়
আর সেকি রঙের বাহার
নীল সাদা কালো গোলাপী আবার
কোনোটা গাঢ় মাংসরঙা
প্রবালের টুকরো কেটে একে ওকে উপহার দিই
তবে কখনোসখনো এমনটাও হয়
যতটা ঠাণ্ডা বা গরম থাকলে পলিপেরা গর্ভবতী হয়
তার চেয়ে কম বা বেশি গরম হয়ে পড়ে জল
তখন আর প্রজন্ম তৈরি হয় না কোনও
শুধু পড়ে থাকে প্রবাল স্তুপের শুকনো কঙ্কাল
পাণ্ডুলিপি
কুমারেশ তেওয়ারী
ক্রমশ পাণ্ডুলিপিটি নীল হয়ে পড়ছিল
প্রণয়ের সবুজ উত্তাপে
তবে বুঝি তার অক্ষরে অক্ষরে ছিল রামী-চণ্ডীদাস ?
প্রণয় অবৈধ হলে খুব ঘূর্ণাবর্ত ওঠে
জলস্তম্ভ থেকে বের হয়ে আসে
আগুনরঙা ঘোড়া আর বাতাসরঙা পাখি
পাণ্ডুলিপিটির ভেতরে একটি উটবোঝাই জাহাজ
বন্দরের থেকে তার চুম্বন দূরত্বে ভেসে ছিল
উটেদের কুঁজের ভেতরে এক-একটা মরুভূমি
সেইসব মরুভূমি জুড়ে কত তৃষ্ণার কোলাজ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন