সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৯

অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়

রঙ ও প্রণয় সংখ্যা


রক্তিম যুবতি পলাশের দোহন----

সৌরভের শিখায় দগ্ধ প্রণয় সখা----

রংমিলান্তি সোহাগে সজনী ফাগুন ----



স্নানকাল

অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়

পরিপার্শ্ব আড়াল করো।
আমার বাঁচোখে রাখো হাত,
ডানচোখে ভালোবাসা
মৃত্যুর দুয়ার আগলে রাখো,

নির্জন প্রপাতের সামনে
নির্গুণ তৃতীয় নেত্র মেলে
আজন্ম রমণ করি তোমাতে।

সজ্ঞানে দূরত্ব মেলি,
আলো থেকে এই যেন
যোজন যোজন,

পৌরাণিক দিন শেষে
শরীরের আঁধারখন্ড
তান্ত্রিক আয়োজনে ফেলে
যখন স্নান করতে নামি...।




রসায়ন

অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়

ইস্কুলে রসায়নের স্যার শিখিয়েছিলেন, কিভাবে সমস্ত মিশ্রণই একটু তাপ বাড়ালেই আলাদা হয়ে যেতে পারে। এই বিচ্ছেদ, পাত্রে অধঃক্ষেপ ছাড়া
কিছুই রেখে যেতে পারে না।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রথম প্রেমিকা এই তত্ত্ব বুঝিয়ে দিল আরও গভীরে। বিকারের আকাশে
অধঃক্ষেপটুকু নিয়ে আমি ফিরে এলাম। কর্কশ সাইরেন গেয়ে উঠল, বসন্ত শেষের গান।

চড়কের প্রান্তরে রাঙা রোদ মাথায় করে আমি দোকানে দোকানে গেলাম। তারপর, সারাটা বৈশাখ শুধু কলসে-কলসে, গেলাসে-গেলাসে কতোনা রঙিন তরলে আমি দ্রবীভূত করতে চেয়েছি নিজেকে।

আসলে রঙ নয়। আকন্ঠ তৃষ্ণার তাড়নায়।

কিন্তু, পেয়েছি গুঁড়ো অধঃক্ষেপ।

লাল-নীল-হলদে-বেগুনি গুঁড়ো অধঃক্ষেপ।

আমার ক্যানভাসগুলোতে যত ছবি দেখছেন,
হে মহামান্য অতিথি! সেইসব রঙ দিয়ে
আমারই নগ্ন আঙুলে আঁকা। কেমন হয়েছে?

1 টি মন্তব্য: