রঙ ও প্রণয় সংখ্যা:
রক্তিম যুবতি পলাশের দোহন
সৌরভের শিখায় দগ্ধ প্রণয় সখা
রংমিলান্তি সোহাগে সজনী ফাগুন
কালরাত্রির এলোকেশে দংশন প্রণয়রাগ,,,
রক্তরাঙা আবীর আভরণ তন্বী এলার,,,,,
কবিতা: সম্পর্ক
নাম: মহাম্মদ আরিফ
তোমার কৃপার ব্যথা সন্দর্ভে গা এলিয়ে
দেখি চলমান দুপুর নিদাঘ।
রাতের মৌনতাগ্রাসী নিশাচরের ডাক
স্বপ্নগুলোকে ভেঙ্গে চুরচুর করে।
এখন যদি বা কাঠঠোকরার চঞ্চু দংশন
আমাদের ফেলে আসা শ্রান্ত বিছানাকে
শতচ্ছিন্ন করতে যাই,
তুমি এসে বাধা দাও।
চায়ের শেষ চুমুক দেবার পরও
তলদেশে লেপ্টে থাকার মতন কিছু টুকরো ভালোবাসা-
সংবাহিত বুঝি তোমার অভিমান ক্ষুদ্ধ মৌন দিন যাপনে।
সূর্যের কথা তোমায় বলব না আর
বীর পুঙ্গবদের মতো।
পারলে স্বনির্বাসন থেকে বেরিয়ে এসে
দেখো ঝাউয়ের মাথায় দাঁড়িয়ে থাকা সদ্য পূর্ণিমার চাঁদ।
কেমন খোলস ছাড়ে এক রঙ থেকে আর এক রঙে।
ঠিক তোমার মতো - আপাত অচঞ্চল
তবে ভেতরের সংক্ষোভ বেশ বুঝি।
স্তর্বাহ আত্মগরিমায় আমরা সতত যুযুধান-
কান্না চাপি, তোমাকে কাঁদাই , তোমাকে হারাই
নিজেও হারিয়ে গেছি কতবার!
এই সংকট সংসর্গে হুল্লোড়ের হাওয়ায়
তোমার হারিয়ে যাওয়া কুন্তল
রাত্রি যাপন করে সুদৃশ্য অট্টালিকায়
আঙুলের পাঁচটি ডগায় অর্থকরী মত্ততায়,
হিসাব বুঝি ষোলোআনা।
এই দহন ভালোবাসায় চুম্বনের সব রাগ
দু-জনার অধরে প্রমত্ত।
মস্তিষ্কের ছেঁড়া ছেঁড়া বার্তায় এলাকে
আর চেনা হয়ে ওঠে না।
ভুলেও গেছি, কবে যেন হয়েছিল আমার
পলায়মান অন্তর্জলি যাত্রা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন