বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০১৯

তাপসকিরণ রায়


বসন্ত পিপাসা

তাপসকিরণ রায়

উৎক্ষেপ্য লতার মত তোমার মসৃণ শরীর,
তার মধ্যে প্রসাধনী ডাক--আমি সংস্কার খুলে রেখে
তোমার ফুটন্ত শরীর দেখি-- .
কামাদ্রী থেকে উঠে আসছে এক তিরতির নদী ধারা
তোমার বসন-ব্যসন আমার চোখে লাগা নেই।
ব্লগাহারা এক জানোয়ার খুলে আসছে তার শরীর প্যাটারা ঠেকে
দেখি বসন্ত কোথাও নেই--নিজেকে খুইয়ে এক নেকড়ের মত।
বীজগন্ধ ফেনা রন্ধ্র ডুবে আছে--
মনে হয় তোমার শরীর ফালফাল করে লাল ব্রা ছুঁড়ে ফেলি দূরে--
জ্বলন্ত বৃন্ত থেকে তখন ধুঁয়া উড়ে যাচ্ছে
আমার ঠোঁটের ফাঁকে পলাশ শিমুল দুমড়ে মুচড়ে যায়।

বন্ধুর খাঁজে খাঁজে ভাজ করা রহস্য সমুদ্রর--
এবার লন্ডভন্ড বিপর্যয়ের মাঝখান দিয়ে
ক্ৰমশঃ এক লেলিহান ছুরিফলা বিঁধে যাবার আস্ফালনে
ঘামার্ত ঘ্রাণের মাঝে এক চিনচিন বেদনা উল্লম্ফন--
খাপে খাপ মিলিয়ে দেবার উদ্ধত সেই ঠেক--
আমি হিংস্রতার মাঝে চিড়ে দিই সেই উত্তপ্ত লাল শলাকা।
ঘর্ষণে আগুনজ্বলা সেই তপ্তকুন্ড--
আর সেই তাথৈ তালে তাল হিস্ হিস্ শব্দ লহরী--
শীৎকার শব্দগুলি যেন মুদ্রিত হয়ে যাচ্ছে...
ধ্বনিত হয়ে যাচ্ছে কোটর কন্দর।
আমি বসন্তের কৃষ্ণচূড়া ও পলাশের লাল লাল ছিঁড়ে ছিঁড়ে কুটিপাটি করি।
বসন্ত পিপাসা প্রলাপে তুমি আমি দগ্ধ হই মন্থন ও ঘর্ষণ শরীরে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন