মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০১৯

পঙ্কজ কুমার সরকার


রঙ ও প্রণয় সংখ্যা:

রক্তিম যুবতি পলাশের দোহন

সৌরভের শিখায় দগ্ধ প্রণয় সখা

রংমিলান্তি সোহাগে সজনী ফাগুন


আহ্লাদিত আগুনে ঊনিশ,,,,, কিশোরী,,,

সিঁদুর বিশল্যকরণীর ছোঁয়ায় ছাইচাপা আগুন,,,,,বধূ


স্বাভিমান  // পঙ্কজ কুমার সরকার

বিপ্লব দেখেনি  ;
পড়েনি ফিদেল কাস্ত্র ,
তাকায়নি চে গুয়েভারার সাহসী চোখের দিকেও ...
তবু ,  ওরই চোখে আজ উদ্ধত অভিমান !

কেউ কি ওর পায়ের নীচে গড়িয়ে দিয়েছে জল ?
না কি কেউ অবাঞ্ছিত হাওয়ায় ধুলোয়
ঢেকেছে  ওর  আহ্লাদিত আগুন ঊনিশ ...

 ও কেন তির্যক দেখছে -- পরিযায়ী পাখিদের
                               আবির গন্ধ সকল কুর্নিশ !



জন্মান্তর   //    পঙ্কজ কুমার সরকার

দ্বিরাগমনের গন্ধ এখনও গায়,
এখনও  রপ্ত হয়নি ,
কোন্  চাবি কোন্  তালায়  ;
সন্ধ্যা প্রদীপে
তেল জবজবে সলতে সাজিয়ে,
ভাত কাপড়ের শাড়ির আঁচলে
                            পিঠ ঢেকে --
       তুলসি তলায় এসে বধূ --
           পড়েছে ভীষণ ভাবনায় ;                      
                                       
ইচ্ছে , না আগুন !                                            
         এখনি  তার কী প্রয়োজন  !

যদি ইচ্ছে,
কোন ইচ্ছে !
যে ইচ্ছে মরতে মরতে বেঁচে গেছে ,
সিঁদুর নামক এক,
 বিশল্যকরণীর  হঠাৎ ছোঁয়ায় !

নাকি এ বাড়িতে আসার আগে,
যে সব ইচ্ছের শিওরে
           রাশি রাশি প্রত্যাশা রেখে,
সে  ঘুম পাড়িয়ে এসেছে
                    ও বাড়ির বিছানায় !

নাকি  যাদের অভাবে,
             সে পায়নি নদীর  শরীর ;
   আর মহুয়া ম্যাডাম ,
                        মনের মাটি !

না কি,  সেই  ইচ্ছে ,
যা তাকে করেছে  --
বান্ধবীদের ঈর্ষাকাতর -- সৌভাগ্যবতী !
               
কিংবা ;
যে ইচ্ছে গুলোকে হত্যা করার পর,
সে পেয়েছে
      পুণর্জন্মের  কাঙ্ক্ষিত  আহ্লাদ ;
পেয়েছে পাখির বাসার মতো
                         এক গর্বিত গৃহ !

যে গৃহে  তার বর এখনও  বন্ধুই  !

কেননা,  যখন চালের কিলো চল্লিশ,
অতি কষ্টে জোটানো --
দু' পাঁচ হাজার মাস মাইনের চাকরিতে --
ছেলেরা, বড়োজোর
 ফুচকা খাওয়ানো প্রেমিক,
কিংবা বন্ধুই হতে পারে,
                       তার বেশি কিছু নয় !

তবু দীর্ঘ বন্ধুত্ব যে দাম্পত্যে গড়ালো !
একটা জন্মান্তর হল জীবনে ,
নিজের করে পেল প্রণয়ী পুরুষ..!

তার জন্যে -- মনের খাঁচা থেকে,
যে সব পোষ্য ইচ্ছেকে,
সে  মুক্ত করে এসেছে,
মধুপুর  জ্যোৎস্না ডাঙায় ;
                                     
                             সেই সব ইচ্ছে...

কিংবা যদি আগুন !
কোন আগুন  ?
যা সে নিবিয়ে এসেছে ---
                 ছাদনা তলার মঙ্গলঘটে !
নাকি মনে মনে জমে ওঠা --
 যে সব উপসমহীন অসন্তোষ জ্বরে ,
            এখনো পুড়ছে বন্ধু বান্ধবীরা...?

পুড়ে গেছে মেঘ মাসিদের পাখিগ্রাম !

কিংবা যে আগুন একটু বাদে,
প্রদীপের সলতে পোড়া গন্ধে  ;
অস্থির করে তুলবে --
এই আধা বস্তির সিধা গলি !
অথচ কেউ কিচ্ছুটি বলবে না !
মেনে নেবে,
যুগলে আত্মহত্যার খবরের মতো
নিতান্তই সয়ে যাওয়া এক
             গন্ধ হিসাবে !
                     সেই আগুন !

না কি,
এই প্রদীপের  মৃদু আলো হয়ে
                              জ্বলে উঠে --

যে আগুন  ;
দুজনের মাঝে  দুজনকে  খুঁজে দেবে,
                             এক অমূল্য হৃদয়
                                    সেই আগুন !
                                             
                                    সেই আগুন !

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন