বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

সৌমিত্র চক্রবর্তী


ও স্বাধীনতা

সৌমিত্র চক্রবর্তী


কতবার বলে যাব, ভালোবাসি … ভালোবাসি …
কতবার গারদের ওপারে দাঁড়িয়ে দিতে হবে প্রমাণ!
#
তিরিশের নীচে চাল অখাদ্য। ডালের চেহারাও ভুলতে বসেছি বিগত কয়েক যুগ। চিনির বদলে খাই সালফারের গুঁড়ো। পরনে থাকে চীনে তৈরী অবশ্যম্ভাবী চর্মরোগের বাহন সিন্থেটিক সস্তার কাপড়।
#
আজকাল আর দিনের হিসেব, রাতের হিসেব
নিউরনের মাঝের তরল ধরে রাখতে পারে না,
কাঁচাপাকা চুলে তেল পড়ে না, গায়ের চামড়া
খসখসে অলিখিত কর্পোরেট প্রেমের নির্মা সাবানে।
#
বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের দোলাচলে শেষের ঠিকানা খুঁজি মন্দির, মসজিদ, পীর বা সন্তের দরগায়। হাতের পাঁচ আঙুলে প্লাস্টিকের গ্রহরত্ন। কব্জিতে বিপত্তারিনী। কনুইয়ের ওপরে ঢলঢল তীক্ষ্ণ বিশ্বাসের নগদের বিনিময়ে মাদুলি, তাবিজ।
#
প্রত্যেক প্রশ্নের আড়ালে লুকিয়ে থাকে রগরগে
কামসূত্র স্কিনি হাসি সূক্ষ্ম পরিহাস ছলে,
কতবার বলেছি, অপাংক্তেয় মানুষ হয়েও
যদিও মানুষের মতো, যদিও মানুষ হই পঞ্চবার্ষিকী
সময়ের সুনির্দিষ্ট অন্তরে, তাহলেও
ভালোবাসি … ভালোবাসি …
ও ত্রি রঙ পতাকা! ভালোবাসি তোমাকেই!

                            *****


স্বাদ হীনতা

সৌমিত্র চক্রবর্তী

চর্কি আর হাউইগুলো শিস কেটে
উড়ে যাচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত আনন্দে,
অতিরিক্ত নান আর চিলি চিকেন
ঢুকে যাচ্ছে ফ্রিজিডিয়ারের পেটে,
সুমন কে গলায় তুলে অয়্যারলেস
মাইক্রোফোন হাতে হাসির ফুলঝুরি
ছড়িয়ে স্টেজে উঠছে রূপঙ্কর, নচিকেতা,
ছেষট্টি মিটার তিন রঙা ফ্ল্যাগ
উপমহাদেশে একচ্ছত্র আধিপত্যের
তর্জনী উঁচিয়ে ওড়ার জন্যে তৈরী।

ডাস্টবিনের পাশে পাড়ার কেলো
আর ন্যাংটো নামহীন জড়াজড়ি-
মশাও আর রক্ত পায়না ওদের
কাঠি কাঠি হাত পায়ে।

ছেচল্লিশের ক্ষতবিক্ষত চেহারাগুলো
বিস্মরণের কোন ঢেউয়ে ডুবে টাইটানিক,
বর্ডার এখন দুই প্রতিবেশীর
উচ্ছিষ্ট ভাগের কুকুর কেলেঙ্কারি,
আলু পেঁয়াজের নিত্যমূল্য
এখন দেশদ্রোহীর এজেন্ডা।

শুরু হয়ে গেছে চক দে ইন্ডিয়া,
বাজচমকানো হাততালিতে উড়তে থাকে
ভাসমান সরের তৈরী ফানুস,
আজ শুধুই সুখের কথা হোক!


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন