///যেভাবে সন্ধ্যা আসে///
—————————————
((অজ্ঞাতবাসের গুমোট সন্ধ্যা শঙ্খযন্ত্রণা গৃহস্থের অস্তগামী একটি দিনের প্রয়াণ,,,,
আগামীর দিকে জড় পদার্থের যাত্রা))
রোনক ব্যানার্জী
বিষণ্ণ পথ অবসাদের ঘড়ি ভেঙে এসেছো সনাতন,
দুয়ারে দাঁড়িয়ে চিরন্তন কালবেলা, পার্থক্যসূচক সাঁঝবাতি;
স্থবির দীর্ঘ সূর্যাস্ত বাইনোকুলারের কাঁচের মতো দৃশ্যমান,স্ফটিক জলে
চিঁড় ধরা কাঁচের মতো নীলিমায় ক্ষতচিহ্ন,বিদ্যুৎলেখার দাপট,অভব্য অভিব্যক্তি।
ছাপোষা আঁধার নামে গেরস্থের বুকে,দিকবিদিক সমুদ্রগর্জন,
একরোখা পায়চারি,বিশ্বস্ত গুমর ভাঙে ছিনির শব্দে;
কারা যেন ফিরে ফিরে যায় নিরাপদ দূরত্বে, অস্পৃশ্য ছাঁচ
পিছনে ফিরে তাকালেই উধাও,ভূত প্রেত নাকি জাদুকর।
কার্নিশে কার্নিশে বাড়ি-ঘর দিয়ে উঁকি দেয় নির্মোক ছায়ামূর্তি
বাদামি ঘুম,ইমন বেহাগের টপ্পা ঠুংরি শুনতে অভ্যস্ত
নারকেল গাছের মাথার ওপর নোলকের মতো ধ্রুবতারা
দূরে অরণ্যে প্রলাপ বকে যায়, তারকাখচিত সোহাগি উঠোন।
সন্ধ্যারতি হয়, শাঁখ বাজে তুলসীতলায়, কিছুটা আনন্দের সময়
কূপমন্ডূকতা ছেড়ে জেগে ওঠে নিশাচর,মায়া প্রপঞ্চময়
তালগাছ সুপুরিগাছের শলা পরামর্শ,ছাদে স্বর্গবাতি,
পূর্বপুরুষের ঘ্রাণ নেমে আসে শরীরের ভাঁজে, ঝুমঝুমি বাজে।
খেলনার দোষ নেই, সময়ের দোষ, ভ্রূক্ষেপ নেই,
উত্থান থালা, যেভাবে সন্ধ্যা আসে, নাবিকের মতো,
সুবাসের মতো,ভেসে ভেসে,কন্যার মতো,চৌকাঠ ললাটে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন