অজন্তা ভাস্কর্যের আঙ্গিকে প্রেমের কলম।
১.
প্রেয়সী, তোমায় দেখে দাবানল জ্বলে এ-বুকে
তোমার কোটিদেশে শিহরণে ঘুরে বেড়াতে চায় আমার সমস্ত স্বাদকোরক...
নারী, তোমার দুর্গম সব জলপ্রপাতের বানে ভেসে যেতে চায় আমার আজন্ম লালিত সব পৌরুষ
তোমার ভাস্কর্যের মত গঠিত আবেদনের শরীর
আমি পাখির মত খুঁটে খুঁটে খেতে চাই, বুঝতে পারো?
তোমার সেসব প্রাচীন ভাস্কর্য
বোকার মত সারা রাত্রি প্রহরা দেয় ঋতুচক্রে সিক্ত রাত্রিবাস..
তারা বোঝে না
ওভাবে আগলে রাখা যায়না এ যৌবনের শ্রেষ্ঠ সব সম্পদ..
তারা বোঝে না, এক রাতে আমি দস্যুর মত আসবই,
তোমায় হাঁটকে, লন্ডভন্ড করে, লুঠ করে নিয়ে যাবো সব আগল, সব পরিমিতিমাপ, সকল ইতস্ততবোধ..
তোমার ক্লিভেজের জন্মদাগরা শুধু টের পাবে, মুষলধারে কামড়-বৃষ্টি,
বুঝতে পারোনা, শুধু তোমার সামনে সুধারসে স্নান করব বলে আমার সমস্ত পৌরুষকে কাঠিন্যের আগুনে জ্বেলে রেখেছি, হে প্রেমিকা...
২.
তোমাকে, বেশভূষা, অলঙ্কারে না পারি,
সোহাগে, গৌরবে পূর্ণ করব, প্রেমিকা আমার...
এসো প্রেম করি উন্মাদের মত,
পর্ণমোচীর বনভূমি, চিরহরিৎ এর জঙ্গল পেরিয়ে,
বরফকুচি তোমার উরু ছুঁইয়ে গুপ্তধনের সন্ধানে উঠেছে ধীরে ধীরে
জেগে উঠেছে তোমার ওই বৃন্তরা, জেগে উঠে
বিষাক্ত সর্পদংশন কামনা করেছে তারা।
যৌবনের রাগে আমি উপগত হই তোমারই সিংহাসনে,
আমার সকল পৌরুষ স্খলন হয় তোমারই অন্দরে
তোমার স্তনে, গভীর নিতম্বে, উত্থিত বক্ষে,
কামনার পিঠে
পরাগরেণু প্রবিষ্ট করি বারবার...
করো শীৎকার, করো শীৎকার, করো শীৎকার;
আদরে আদরে নিকিয়ে নি সব রহস্য...
--
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন