শনিবার, ২৬ মে, ২০১৮

ভজন দত্তের ব্যতিক্রমী রচনা



সংক্ষিপ্ত কথাকলি আঙ্গিকে স্পষ্ট স্বীকারোক্তির কলম।


ভজন দত্ত।


আটকুঠরি নয়দরজা


             ভজন দত্ত



তমসা পার হওয়ার পর দেখি/

মরুভূমিতে এক অনামা নদী /

কালের ঘড়ি সোহাগি চাঁদ /

শ্যামলী ঢেউয়ে ঢেউয়ে নষ্ট বাৎসায়ন/

#

জানলায় নিদ্রিত যৌবন/

দর্পণে মুখোশহীন/

ছৌএর তালে তালে গম্ভীর/

গম্ভীর আজ শিকারিপাখি/

নৃত্যে নৃত্যে এসো উৎসব/

 কিংবা জন্মদিন.../



সংলাপ গদ্য কাব্য।

একটি  সুসংবাদ
                      
                                        ভজন দত্ত

রবি ঠাকুর,
আমি আমার বসকে কোনদিন বলতে পারিনি,ট্রেনের কামরায় লেখা আপনার 
" চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির" পড়ে ভেবেছিলাম কাল রাতে, 

আগাম, আগাম বলবোই,
স্যার, একটা সুসংবাদ আছে, স্যার, 
কাল আমি ডিউটি যেতে পারবো না।

বলতে পারিনি,স্যার। 
আধঘণ্টা ধরে আপনার ন্যাকা ন্যাকা বিরক্তিকর বক্তৃতায় আমার মাথা ঘোরায়, বদহজম হয় স্যার।
আমার ভীষণ হাই ওঠে,ক্লান্তি আমায় একটুও ক্ষমা না করে, ভীষনভাবে আঁকড়ে ধরে।

বলতে পারিনি স্যার।
আপনি যেসব কথা এত বছর ধরে বলে আসছেন সেগুলি কি কোনদিন আপনি আপনার স্ত্রী পুত্র কন্যাদের শুনিয়েছেন?

কোনদিন যদি শোনাতেন, তবে স্যার, 
আপনার স্ত্রী তরকারিতে বেশী নুন দিতেন, 
না হয় ঝাল, আর তিনি যদি স্বয়ংসিদ্ধা হতেন, তবে আপনার বক্তৃতা চলাকালীনই আপনাকে শুনিয়ে শুনিয়ে মোবাইলে তার প্রেমিকের সঙ্গে ঘর ছাড়ার কথাটা এবেলা পাকা করে নিতেন, 
আপনার ছেলে তার ট্যাবলেটে ক্যান্ডিক্রাস খেলতো
আর মেয়ের ঠিক তখনি টিউশন যাওয়ার তাড়া থাকতো

স্যার,আমি আপনাকে গত একশ আঠান্ন বছর ধরে বলার চেষ্টা করছি, একশো আঠান্ন থেকে আপনার ক্ষমতায় আপনি  একশো কেটে নিলেও আঠান্ন তো থাকে স্যার। আমি গত আঠান্ন বছর ধরেই আপনাকে বলতে পারিনি, স্যার,একটা সুসংবাদ আছে, আমি কাল ডিউটি জয়েন করতে পারবো না,  কাল আমার ছুটি।

সত্যি, সত্যি ছুটি। 
ঠাকুরের আকাশের আলোয় আলোয় আমার মুক্তি।
স্যার, একটা সুসংবাদ আছে স্যার
সেদিন সত্যিকারের রবীন্দ্র জয়ন্তী...


1 টি মন্তব্য:

  1. অসাধারণ অভিঘাত....
    আশা করি টেগর সাহেব ছুটি মঞ্জুর করবেন.....

    উত্তরমুছুন