সোহাগের অতলান্ত ঐকান্তিক গভীরতায় লেখনী।
প্রেমের ভুবন
১
তোমাকে চুম্বনে ডাকি, আলিঙ্গনে ধরি
তোমার ও স্তনের স্পর্শে প্রতিদিন মরি,
কী কোমল পেলবতা সুগভীর পদ্মনাভি
ওখানেই মুখ রাখি, দেখি অনন্ত উদ্ভাসি l
২
তারও পরে নদীরেখা, বালুতট প্রসারিত
কামনা আছাড় খায়, পথ শুধু অবারিত,
অনন্ত গভীরে গিয়েই শিশ্ন খোঁজে তাকে
যোনি বলে ডাকে যারে আপামর লোকে l
৩
তারপরেই অন্ধকার আশ্লেষে মোহিত হই
শীৎকারে জানান দাও তুমি প্রাণাধিক সই,
ঠিক পথে যাচ্ছে দণ্ড, হবে ঠিক বীর্যপতন
তোমারও সমুদ্রসুখ বয়ে যাবে নদীর মতন l
৪
পাপপুণ্য তোলা থাক, তোলা থাক সংকোচ
সহবাসে তৃপ্ত হই, হাত ভরি মিলন-উৎকোচ,
সংরাগ তীব্রতায় তোমাকেই ফের করি চুম্বন
মুগ্ধ জীবন আজ, ভরে দেখি প্রেমের ভুবন l
২. সম্ভোগেই তৃপ্তি জাগে
সঙ্গমে লিপ্ত হলে সম্ভোগেই তৃপ্তি জাগে মন
আশ্লেষে আবিষ্ট হয়ে পুরুষের শরীর খনন l
খননে যে অগ্নি ওঠে, অগ্ন্যুৎপাতে শুধু ধায়
জ্বলনে শীতলপাটি, কামসূত্র বহুদূরে যায় l
দেহের ভিতরে আছে অজানা সে আপনজন
তাকে ছুঁলে সম্ভোগ পেয়ে যাবে নিজস্ব মনন l
মন তো আসল চাবি, সব সুখ খুঁটে নিতে পারে
মোহিতে আবিষ্ট হয়, অন্তর্লীন অসুখ যে সারে l
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন