শনিবার, ২৬ মে, ২০১৮

রবীন বসুর কবিতা




সোহাগের অতলান্ত ঐকান্তিক গভীরতায় লেখনী।



প্রেমের ভুবন




তোমাকে চুম্বনে ডাকি, আলিঙ্গনে ধরি

তোমার ও স্তনের স্পর্শে প্রতিদিন মরি,

কী কোমল পেলবতা সুগভীর পদ্মনাভি

ওখানেই মুখ রাখি, দেখি অনন্ত উদ্ভাসি l




তারও পরে নদীরেখা, বালুতট প্রসারিত

কামনা আছাড় খায়, পথ শুধু অবারিত,

অনন্ত গভীরে গিয়েই শিশ্ন খোঁজে তাকে

যোনি বলে ডাকে যারে আপামর লোকে l




তারপরেই অন্ধকার আশ্লেষে মোহিত হই

শীৎকারে জানান দাও তুমি প্রাণাধিক সই,

ঠিক পথে যাচ্ছে দণ্ড, হবে ঠিক বীর্যপতন

তোমারও সমুদ্রসুখ বয়ে যাবে নদীর মতন l




পাপপুণ্য তোলা থাক, তোলা থাক সংকোচ

সহবাসে তৃপ্ত হই, হাত ভরি মিলন-উৎকোচ,

সংরাগ তীব্রতায় তোমাকেই ফের করি চুম্বন

মুগ্ধ জীবন আজ, ভরে দেখি প্রেমের ভুবন l



২.  সম্ভোগেই তৃপ্তি জাগে


সঙ্গমে লিপ্ত হলে সম্ভোগেই তৃপ্তি জাগে মন

আশ্লেষে আবিষ্ট হয়ে পুরুষের শরীর খনন l

খননে যে অগ্নি ওঠে, অগ্ন্যুৎপাতে শুধু ধায়

জ্বলনে শীতলপাটি, কামসূত্র বহুদূরে যায় l


দেহের ভিতরে আছে অজানা সে আপনজন

তাকে ছুঁলে সম্ভোগ পেয়ে যাবে নিজস্ব মনন l

মন তো আসল চাবি, সব সুখ খুঁটে নিতে পারে

মোহিতে আবিষ্ট হয়, অন্তর্লীন অসুখ যে সারে l



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন