শুক্রবার, ১৮ মে, ২০১৮

আলিঙ্গন।







কবিতা: আলিঙ্গন।
নাম: সুপ্রীতি বর্মন।

ঝাউবনের অনিন্দ্যসুন্দর শীৎকারে বজ্রপতন ঝঞ্ঝা,
উরুর তটে প্রসারিত শীর্ণ কায়া দুধসাদা মুক্তোর খোঁজ।
ফেনিল উচ্ছ্বাস সমুদ্রের অন্তরে গহীন সাম্রাজ্যে,
আলিঙ্গন দুয়োরানীর আধখোলা বুক উষ্ণতার আবদার।।

চুরুট গন্ধে নিকোটিনের আসক্তি দুফোঁটা বাঁচা,
কৃষ্ণগহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে জঠর ক্ষুধা, উষ্ণ প্রসবন ধুঁকছে।
অক্সিজেনের অভাবে হাঁপর টানছে পাঁজরে, গামছায় ভগ্নাংশ ঘাম জড়িয়ে উফ কি অস্বস্তি গোঙায়, ফোঁপায়।।

তোমার আঁচলে মমতার আদরে শিশুর হাত ফেলে,
চোষা স্তনের বোঁটায় কলকল নদীর যৌবনের উদ্দাম বেগ,
নাভিমূলে আরোহন নীচে ভাঙাচোরা সাঁকো।
রুগ্ন তোমার কাঠামো, দিব্য পুরুষ সামলে যেও,
অসাবধানে পিছলে যাবে, আলিঙ্গনে অন্ধ চৌকাঠ।।

মৃত আগ্নেয়গিরি বাঁচার জন্য ছটফট, ক্লান্ত ঘুম।
ব্যাস্তানুপাতে শূন্যভার তোমার কাঁধে অর্পণ,
লক্ষ্মীছাড়া পা আটকে তোমার শৃঙ্খলে, কোটাল বাণ।
হুড়মুড়িয়ে গঙ্গাপ্রাপ্তি আদরে চাদর ভিজে।।

সাদা মেঘ ট্রাউজার ঘন ঘন চুমুর স্বীকারোক্তি,
নাসিকা রাঙানো ঘষটে যাওয়া একচিলতে সিঁদুর,
তোমাকে চাই শুধু তোমাকে, একপশলা বাসি হোক পুড়ানো খই আটচালার প্রাঙ্গনে, ভোররাতে।।

হাট করে খোলা জানলা গর্ভবতী হোক ভাঙাচোরা পংক্তি,
আমার সবটাই স্ফীত ইতিহাস অহম শিকলে বাঁধা।
শায়িত দীর্ঘ স্তুতিকাব্য কামশাস্ত্র প্রশস্তি লোকমুখে।
অস্থির শিল্পী আমাকে করো পদ্মাবতী,
তোমার শৈল্পিক ক্ষুধার স্পর্শে,
আজ তুমিই হও আমার প্রেমের ঐকান্তিক স্পর্ধায়,
আমার ভাস্কর।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন