কবিতা: সন্ধ্যাপ্রদীপ।
নাম: সুপ্রীতি বর্মন।
সন্ধ্যাপ্রদীপের নিঃশেষ জ্যোতি ফরফর, তলানির তৈলাক্ত সমুদ্রে হাবুডুবু।
বুক পকেটের ভাঁজে তিরতির অসামান্য জ্বরে কেঁপে নামে সন্ধ্যা।
এইবারে এইখানে থে থাম হও, অনেক হয়েছে প্রেমিক তোমার শুঁয়োপোকা।
বিষাক্ত কীটের যেন শান্তশিষ্ট নৃত্য হামাগুড়ি সর্পিল সর্বাঙ্গ,
আদম আপেলে পুরুষত্বের সাতকাহন মালকোঁচা।
মনের কোনগুলো শক্ত খুঁটে বেঁধে রাখা আমার সংসার, আমার দাম্পত্য।
অনিবার্য সঙ্গমের তোর ঘুমস্নান আমার আলগোছে সামাল তোর নোঙ্গর,
লক্ষ্যের শিখর থেকে নিশিদিন বিচ্যুত পোড়া কপাল।
রাখালিয়া ডাকে কোথায় বাঁশি বাজাবি তমাল গাছের নীচে,
তা না স্পর্ধিত স্বরে ডাকছে সন্ধ্যাতারা আয় আয় প্রজাপতি,
তোর সৌন্দর্য্যতৃপ্তিতে হোক আমার বিবাহ যোগ।
মলিন আকাশে অগনিত তারার আঁচল,
বিহ্বল করে চালুনির ফাঁকে বিন্দু বিন্দু আকাশ।
সুগন্ধী ধূপের ক্ষেপাটে আদম নৃত্যে অস্থির ঈশ্বর,
থাম থাম এবার বেমানান শুঁয়োপোকা খুব ঘটা তোর প্রজাপতি হবার।
ঝাঁঝালো শাস ছাড়িয়ে পুষ্ট মাংসে দাঁত,
তুমি খুব সেয়ানা হতে চাও শুকতারা, হোক তবে সুপ্রভাত।
বিষাক্ত মথ মন্ত্রে সহজ শরীরে অদৃশ্য সখ্যতার সন্ধান।
লাটিমের মতন আত্মকেন্দ্রিক শুধু চায় অমৃতসুধাভোগ।
গায়ে গা ঘেঁষে এসে বসেছিলি মনে আছে ঐ সান্ধ্যভ্রমনে,
হৃদপিন্ডে আছড়ে পড়া আমার চিবুক,
তুই তো ভেবেছিস আমার আর নেইকো গতি,
আমি যেন কোন উন্মাদিনী।
কর্পূরের মতন দগ্ধ অগ্নিশিখায় দপ করে উবে যাওয়া,
তোর শরীরের গন্ধ শুষে আমি নিজেই এখন প্রজাপতি।
বদ্ধ ঘরের একপাট ওকপাট ছুটছে জরায়ু গন্ধ পেতে,
কিন্তু সে তো অসম্ভব যতক্ষন না লাগছে বিয়ের যোগ।
তবে সন্ধ্যাপ্রদীপেই তোর সোহাগ আগুন অস্তমিত হোক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন