অপরূপ নৈসর্গিক স্পর্শের নাব্যতা আঙ্গিকে কলম।
১. দংশন ও নিরাময়
ঠোঁটের কালো তিলের বাইরে একরাশ সাদাফুলের রাতপথ।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি সেই তীব্র সুগন্ধে, তারপর শিরদাঁড়া
অসাড় করে ভেসে যেতে থাকি আকাশ পাখির কম্পনে, কোন
ইচ্ছা নেই চুম্বনের। নিরাময় চায় দংশনে, আকাশের
শুক্লপক্ষ নিয়ে উঁকি দিয়ে যায় মাধুকরী খিদে, আমি তরঙ্গ বাঁধি
সেই মাটিতৃষ্ণার নির্বাক উর্বরতায়
মৃত্যুর জন্য যা যা পাওয়া যায় নি এখনও সেই সব বসন্তকাল
লাবণ্য খুঁজছে যৌবন নামক মানব, আঙুল দিয়ে লিখে চলেছে
ব্রহ্মাণ্ডের ঋতুমতী নিঃসঙ্গতা, এই ভয়ে দূরত্বের কাছে দিকে
এগিয়ে যেতে থাকি। পানকৌড়ি ডুব দেয়, আমার বুকে গুগলি,
ঠোঁটের আঘাত নিতেই ডুবে থাকতে চাই পাঁকের শীতল নাভিতে।
কাছের অন্ধকারে জলের ছায়া পড়ে, চলো, একটা বিকেল উষ্ণতায়
মিশে যাই মকুল সৃষ্টির গান গেয়ে--
২. চারুতৃষা
এক জোড়া আগুন ঠোঁটের নীরবে বেজে যায় বেহালা, নিঃশ্বাসের শব্দভারে
চারুচোখ ভেসে আসে, অহল্যা পাষাণ থেকে মুক্তি চায়
আলো কি তবে ঘিরে ফেলে অন্ধকার
এরকম অনেক কাম হেঁটে গেছে জঙ্গলে জঙ্গলে, সেই পদশব্দের খিদে নিয়ে
সুগন্ধি মায়া, দু হাত ছড়ানো আকাশে
যাদের কোনো চাঁদহীনতা নেই
যে একটুকরো বনবাস রেখেছিলে আমার জন্য, মেঘ ভাঙা বানে অবিকল
ভেসে চলি বসন্তে চড়াই উৎরাইয়ে। আশ্রয় বন্ধনে উদার আকাশ
এক কুঁজো জল দিল উপহার
এই নিবিড় দুরত্ব নিয়ে বিন্দুআলো, দোল খায় ভোর স্বপ্নের অস্থিরতায়,
দূর জ্যোৎস্নার নদী থেকে হে প্রান,
তুমি জেগে থাকো অনন্তের পরাজন্মের ভেতর
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন