নজরুলের বিদ্রোহদ্দীপ্ত অগ্নিক্ষরা কন্ঠে জাগ্রত
কলম।
১. কবিতা: দিনকাল।
দিনকাল যে দিশায়
চুমা চামি গুলো দিও আড়ালে ।
নচেৎ আলিঙ্গনেই চামড়া খুলে --
ডুগডুগি বাজিয়ে বুড়ো ভোমরারা
গান গাবে যে মেট্রো ট্রেনের খোলে !
দিনকাল যে দিশায় --
গেল গেল রব চারিদিকে !
কী গেল , কতটুকু গেল ,
মাপ নিয়েছিলে কি নিজের ভরা যৌবনে ?
আজ দেখে রাগে --
যতই ঠেঙ্গাও , তোমারও ওষ্ঠ
ছিলনা কি এ ছবির অধীন ?
পড়ন্ত রোদে চোখ নাহি চলে --
তাই বুঝি রাগে হলে বিলীন !!
২. কবিতা: বিদ্রোহী।
হঠাৎ বেমরসুম বৃষ্টি এসে --
ভিজিয়ে গিয়েছে দেখি স্মৃতির দ্বার !
অনেক ছবি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে
বুকের গভীরে আমার ।
তোমরা গিয়েছো চলে নির্বিকারে
যে যার পথরেখা ধরে --
উৎসবের উপান্তে থাকা উচ্ছিষ্টের মত
পড়ে থাকা কিছু ছবি যেন
আজো ডাক দেয় হৃদয়ে আবৃত তলে ।
শ্রাবণী --- কোথায় যেন তুমি ছিলে !
বর্ষার ছিটায় ছিটায় আর কালের
ক্ষয়ে যাওয়া দাগ ধরে --
আজো দেখি হৃদয়ে গহীন অতলে
তোমার হাতের স্পর্শ লেগে !
জীবনেরে আমার ছুঁড়ে ফেলে গেছে
কর্ম অবসর যেন বাহুবলে --
এ পৃথিবীর সবেরই তো দেখি মূল্য আছে !
সেই মূল্যের জগতে আমার কলমের দামে
যায়নি কিনতে পারা সেই ছবি , তাই দ্রোহী !
তাই জীবনের অতল কর্দমের নীচে গাঁথা
এ জীবনের একমাত্র বুনিয়াদে --
হঠাৎ হঠাৎ জাগে কাঁপন , আর তুমি
হঠাৎই অতল হতে দাও ডাক ,
আর এ কলমও হয়ে উঠতে চায় বিদ্রোহী !
ভালে
উত্তরমুছুন