গৃহসুখের আলাপনের আঙ্গিকে প্রমীলার
কলম।
১. কবিতা - কর্ণ।
খুঁড়ে দিয়ে গেলে সমস্ত ক্ষত
ছুঁড়ে দিয়ে গেলে আমায়
অনাগত ঝড়কে দাঁড়াতে বলেছি,
ভেজাচ্ছে শহর চোরাবালি স্রোত
এভাবেই হাতলবিহীন ঝড় ভালবাসি:
রাত অজগর হয়ে জড়ায় স্নায়ু
জটাধারী কেউ তেজী রূপ ঢালে
দৃষ্টি ছুঁয়ে যায় গর্ভতল ;
যোনিমুখে ঢেলে দাও বিষ
জন্ম হোক বিষবৃক্ষের
সূর্য প্রণামের নামে শপথ পরমায়ু
চেয়ে নেবে নিয়মমাফিক
চুরচুর ভাঙবে সকাল ।
বড় বেশী দূরে গেছো তুমি
নগ্ন রাস্তায় ছড়ানো প্রমাণ সংকেত যত
নির্বেদ ছায়া ওড়ে চাবুকের মতো ।
২. কবিতা: শাস্তি দিলাম প্রভু।
শান্তিজল নিয়ে ফিরে যাও
ভেবোনা ফেরাতে পারিনি!
শেওলা উঠোনে ছড়িয়েছি আবাহনী বীজ
ঝড়গতি চুম্বন করেছি
অনায়াসে হিমঘরে রেখেছি তোমায়
শূন্যতার উড়ানে রেখেছি চিঠি ।
ঝরাপাতা আমি,কি আসে যায়
উড়ন্ত যুক্তির ভগ্ন দেউলে হাত রেখে
কাঠফাটা রোদ হয়ে বাঁচি
রামধনু ছুঁয়ে ফিরে গেছি
শরীর বৃত্তে অনেক শব্দ ভিড় করে
আগের মতোই নীল সেই নীতি ।
ভালবাসার জ্যামিতি থেকে ক্রমাগত
শুধু তুমি মুছে গেছো
শীতের দুপুরে শিল কুটো শব্দ
প্রাণহীন প্রতিঘর কল্পনার মতো ।
বাঃ। সুন্দর।
উত্তরমুছুন