বুধবার, ৩০ মে, ২০১৮

শান্তা কর রায়ের কবিতা।




গৃহসুখের আলাপনের আঙ্গিকে প্রমীলার

 কলম।


১. কবিতা - কর্ণ।


খুঁড়ে দিয়ে গেলে সমস্ত ক্ষত

ছুঁড়ে দিয়ে গেলে আমায়

অনাগত ঝড়কে দাঁড়াতে বলেছি,

ভেজাচ্ছে শহর চোরাবালি স্রোত

এভাবেই হাতলবিহীন ঝড় ভালবাসি:

রাত অজগর হয়ে জড়ায় স্নায়ু

জটাধারী কেউ তেজী রূপ ঢালে

দৃষ্টি ছুঁয়ে যায় গর্ভতল ;

যোনিমুখে ঢেলে দাও বিষ

জন্ম হোক বিষবৃক্ষের

সূর্য প্রণামের নামে শপথ পরমায়ু

চেয়ে নেবে নিয়মমাফিক

চুরচুর ভাঙবে সকাল  ।



বড় বেশী দূরে গেছো তুমি

নগ্ন রাস্তায় ছড়ানো প্রমাণ সংকেত যত

নির্বেদ ছায়া ওড়ে চাবুকের মতো  ।



২. কবিতা: শাস্তি দিলাম প্রভু।


শান্তিজল নিয়ে ফিরে যাও

ভেবোনা ফেরাতে পারিনি!

শেওলা উঠোনে ছড়িয়েছি আবাহনী বীজ

ঝড়গতি চুম্বন করেছি

অনায়াসে হিমঘরে রেখেছি তোমায়

শূন্যতার উড়ানে রেখেছি চিঠি ।

ঝরাপাতা আমি,কি আসে যায়

উড়ন্ত যুক্তির ভগ্ন দেউলে হাত রেখে

কাঠফাটা রোদ হয়ে বাঁচি

রামধনু ছুঁয়ে ফিরে গেছি

শরীর বৃত্তে অনেক শব্দ ভিড় করে

আগের মতোই নীল সেই নীতি  ।

ভালবাসার জ্যামিতি থেকে ক্রমাগত

শুধু তুমি মুছে গেছো

শীতের দুপুরে শিল কুটো  শব্দ

প্রাণহীন প্রতিঘর কল্পনার মতো  ।



1 টি মন্তব্য: