পৌরুষ দম্ভে আদমের কাঙ্খিত আঙ্গিকে
প্রেমের কলম।
এক।
অন্ধকারে আহ্বান
নাহয় তুমি দানবের সাথে করো সঙ্গম
ঈর্ষায় মরুক ঈশ্বর, লজ্জা পাক পৌরুষ;
কাছে দাঁড়িয়ে বাহবা দেবো আমি।
তবুও নয় আদিম আলোয় আত্মবিসর্জন!
তাদের আলো থেকে বেরিয়ে আসো
লিলিথীয় অন্ধকারে অনাবৃত করে দাও বুক
লজ্জায় অন্দরে যাক ইভকাঙ্ক্ষী পুরুষ।
তোমার ফলন্ত বুক হতে ঝরতে থাকুক সমতার অমৃত;সঙ্গমের প্রভু জানুক তা হেমলক!
তুমি এসে দাড়াও উন্মুক্ত সমুদ্রের পাড়ে
কিতাবের পৃথিবী উল্টাতে থাকুক নিয়মের পাতা
গালি দিতে থাকুক- বলে রাতের রাণী!
তবুও দিলাম কন্ঠ নিলাম আন্ধারের ভার!
পুতুলের খেলাঘর থাকুক সজ্জিত- সেজদারত
থাকুক ইভআত্মা আদিম শক্তির পায়ে।
দুই।
মাটির মানবী
রাতের গভীরে বেড়ে যাওয়া শ্বাসকষ্টে
ফিরে আসে বিগত শতক।কবে কোন
হলুদ প্রজাপতি ঠোঁটে চেপে পৃথুলা পৃথিবী
ডুবে গিয়েছিলো সূর্যাস্তের ভেতর।
কবে কোন আগুনের নদী, জ্বালিয়েছিল
সাদা নৌকায় অবোধের যতটুকু বোধ।
মহাকাল পুরোনো বটগাছ, ছড়িয়ে দেয়
হাত-পা চারিদিকে; ঝরে পড়ে সময়ের ফল
কুকুরের লালার মত।
বক্ষবন্ধনী খুলে নীলিমা, ঝরঝর ঝরিয়েছে
সমস্ত নীল-আমি রঙ মাখি নি গায়ে।বুকে
নিয়ে পীযূষ পেয়ালা কত সমুদ্র পাঠিয়েছে
ভ্রু বার্তা! উপেক্ষা করেছি কতবার
ব্যবিলনীয় নারীদের উষ্ণ আহ্বান; বহুবার
পালিয়েছি উর্বশীদের নরম কোল থেকে।
জানি, মাটির মানবী রাখে তৃষ্ণার জল
মদিরার নেশা রাখে শরীরের ঘ্রাণে।
বহু মহাকাল পরিভ্রমণ পরিক্রমণ শেষে
ফিরে আসি শ্বাসকষ্ট আর শ্লেষ্মার রাতে
এক-দুই-তিন নয় সহস্র জন্মান্তরের হিসাব
মিশে যায় গভীর অন্ধকারে,শাশ্বত সত্য এই-
পোড়ামাটির পৃথিবীতে তুমি পেলব পলি
জনম থেকে জনমে করছি আমাকে চাষ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন