দেউলের পর্নমোচী প্রাঙ্গনে ভিক্ষুক বাউল প্রেমের
আঙ্গিকে কলম।
১. খিলভূমি
বিষমলাগা কণ্ঠ্য আমার দাঁড়াই উঠে সম্মুখে
আদিগন্ত বিছায়ে দিয়েছো সোহাগ আঁচল।
এতো যে জল বাইরে গড়ায়,
এক কুঁজো সুখ দিতে পারি---
জলঘাটে ও-তরঙ্গ ভাসে
এমন চক্ষু কোথায় গড়বে ছবি হৃদয়ে!
হাওয়ায় মনোবিষ বয়,মাটিতাপ এসে রক্তে মেশে
টের পাও প্রিয়!
বিস্মৃত নয় কখন অনাবাদী জমি লিখে গেছে
বেদনা-লিপিতে কোনো এক অনাদি বাউল।
থেমে থেমে বৃষ্টি হয়,
অকস্মাৎ জাগে, ভেতরের প্রাচীন খিলভূমি।
২. গ্লোকোমা ও ছায়াতরুণী
দেখিনি তোমার চোখে বহুদিন হলো
বেড়েছে নয়নে এই জটিল গ্লোকোমা
বাইরে ভীষণ রোদ ভেতরে শীতল
তরুণী চেয়ারে বসে দেখছে পুরুষ
শীতল বাতাস ছুঁয়ে ওড়ে তার চুল
কাচের ছায়ায় আজ আকাশে শহর
সাঁই সাঁই যান ছুটে রোদের ঝালর
স্বরলিপি সব যেন উলট পালট
তুমি তার জেগে থাকা বিষণ্ন প্রণয়
সবুজ শহর লেখে কেমন অসুখ!!
এখানে গভীর রাতে জেগে উঠে পাপ
তরুণীরা বাড়ি যায় ছায়ার ভেতর।
আমি তার কিছু দেখি তোমার মতোন
গ্লোকোমা তো রোগ নয় অঙ্কের গমন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন